শচীন-সাঙ্গাকারা-স্মিথের পাশে সাকিব



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
টন্টনে সোমবার উইন্ডিজের ক্রিকেটার ড্যারেন ব্র্যাভোর অভিনন্দনে সিক্ত সাকিব

টন্টনে সোমবার উইন্ডিজের ক্রিকেটার ড্যারেন ব্র্যাভোর অভিনন্দনে সিক্ত সাকিব

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সাকিব এই বিশ্বকাপে বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন তিনি নাম্বার ওয়ান। কেন তিনি বিশ্বসেরা!’-একদিন আগেই বার্তা২৪.কমের সঙ্গে এভাবেই গলা গেছে প্রশংসা করেছিলেন মেহরাব হোসেন অপি। সাকিব আল হাসানে মুগ্ধ বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান! মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোমবার টন্টনে শতরানের পর এক নতুন উচ্চতায় মিস্টার অলরাউন্ডার।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে ৯৯ বলে ১৬ চারে ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব! এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে যান তিনি। তার দাপটেই ৭ উইকেটে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

২০১৫ বিশ্বকাপে রীতিমতো বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে তুলে নিয়েছিলেন টানা দুই সেঞ্চুরি। তার ব্যাটেই ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্বসেরার এই টুর্নামেন্টে প্রথম শতরান দেখে বাংলাদেশ। সেই ব্যাটসম্যানটি ৬ ম্যাচ খেলে ৭৩ গড়ে তুলে নিয়েছিলেন ৩৬৫ রান।

মাহমুদউল্লাহই ছিলেন বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। হ্যাঁ ছিলেনই বলতে হচ্ছে! কারণ তাকে টপকে এখন নতুন উচ্চতায় সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার ৪ ম্যাচেই তুললেন ৩৮৪ রান। গত বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে মুশফিকুর রহিম তুলেছিলেন ২৯৮ রান।

এই অর্জনে কিংবদন্তিদের পাশেও চলে গেলেন সাকিব। বিশ্বকাপে টানা ৪ ম্যাচে ফিফটি কিংবা তারচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যা হাতে গোনা। সাকিবের আগে এই কীর্তি গড়েন ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে নভজ্যোত সিং সিধু, ১৯৯৬-এ শচীন টেন্ডুলকার, ২০০৭-এ গ্রায়েম স্মিথ আর ২০১৫ বিশ্বকাপে কুমার সাঙ্গাকারা।

বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরিতে মাহমুদউল্লাহর পাশে আছেন সাকিব। একই কীর্তি এর আগে গড়েছেন মার্ক ওয়াহ, রাহুল দ্রাবিড় ও রিকি পন্টিং। টানা চার সেঞ্চুরিতে চূড়ায় আছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা।

এ অবস্থায় ৫ ম্যাচে ৩৮৪ সাকিবের। ২ সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরিতে গড় ১২৮! এবারের বিশ্বকাপে এখন অব্দি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। ৩৪৩ রান করে এরপরই আছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

   

টিভিতে আজ যেসব খেলা দেখবেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেট
আইপিএল : ফাইনাল
কলকাতা-হায়দরাবাদ
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ফুটবল
লা লিগা
সেল্তা ভিগো-ভ্যালেন্সিয়া
রাত ৮-১৫ মি., র‍্যাবিটহোল
সেভিয়া-বার্সেলোনা
রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল

সিরি আ
নাপোলি-লেচ্চে
রাত ১০টা, র‍্যাবিটহোল
ভেরোনা-ইন্টার মিলান
রাত ১২-৪৫ মি., র‍্যাবিটহোল

টেনিস
ফ্রেঞ্চ ওপেন
১ম রাউন্ড
বেলা ৩টা, সনি স্পোর্টস ২ ও ৫

;

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের 'প্রথম' ১০ উইকেটের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুর দুই ম্যাচ হেরে সিরিজটা আগেই খুইয়ে বাংলাদেশের এবারের লড়াই ছিল সিরিজ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে এমন সমীকরণের দিনে ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শুরুটা ছিল মুস্তাফিজের রেকর্ড উইকেটের স্পেল ও রিশাদের রেকর্ড ইকোনমিকাল বোলিংয়ের স্পেল দিয়ে। পরে ব্যাটিংয় নেমে তামিম-সৌম্যর ওপেনিং জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

১০ উইকেটের রেকর্ড এই জয়ে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে শেষ করলো শান্ত-সাকিবরা।

আগের দুই ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে এদিনও টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দলটি।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের দুই ম্যাচ হারের পর অবশেষে টপ-অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১১ ওভার ৪ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন তামিম। এদিকে সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৪৩ রান করে।

এর আগে আদ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। এরপর মুস্তাফিজের পেস তোপে ভুগেছে পুরো স্বাগতিক দল। গুনে গুনে একাই ছয়টি উইকেট তুলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বোলার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেট পেলেন। এদিকে ৪ ওভারে ১ উইকেট পাওয়া রিশাদ হোসেন দিয়েছেন স্রেফ ৭ রান, যা এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলিং।

এছাড়া এই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ দুটিই ছিল মিরপুরে। এদিকে এটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৫তম ১০ উইকেটের জয়।

 

;

মুস্তাফিজের পেস তোপে অল্পেই থামল যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওপেনার আন্দ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালোই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। এরপর মুস্তাফিজের পেস তোপে ভুগেছে পুরো স্বাগতিক দল। গুনে গুনে একাই ছয়টি উইকেট তুলেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আন্দ্রেস গুসের ব্যাটিং ঝড়ে শুরুটা বেশ ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ৪ ওভার ৫ বলে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলে ফেলে তারা। তবে পরের বলেই শেষ হয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ১৫ বলে ২৭ রান করা গুসকে ফেরান সাকিব।

পরে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেইডেন। সেই শুরু মুস্তাফিজের পেস তোপের। যার সামনে টিকতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাটারই। শেষ ১৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৫৪ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। যেখানে উইকেটও হারায় সাতটি। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের মামুলি সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যারন জোন্সের দল।

৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান খরচে মুস্তাফিজ নেন ৬ উইকেট। এটি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় ফাইফার এবং প্রথমবারের মতো ছয় উইকেটের কীর্তি।

এদিকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো বোলার টি-টোয়েন্টিতে ছয় উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মুস্তাফিজ। এদিকে রিশাদ ৪ ওভারে দিয়েছেন স্রেফ ৭ রান, নিয়েছেন একটি উইকেটও। যেটি বাংলাদেশি কোনো বোলারের সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলিংয়ের রেকর্ড। 

;

সিটিকে স্তব্ধ করে দিয়ে ইউনাইটেডের এফএ কাপ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচের আগের দিন খবর বেরিয়েছিল, এফএ কাপের ফলাফল যাই হোক ফাইনালের পরই কোচ এরিক টেন হাগকে বরখাস্ত করবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এমন পরিস্থিতিতে এফএ কাপের ফাইনালে পাহাড়সম চাপ মাথায় নিয়েই নেমেছিল প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের আট নম্বরে থেকে মৌসুম শেষ করা দলটি। তবে সে চাপ জয় করে এফএ কাপ জিতে নিয়েছে রেড ডেভিলরা। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উৎসব করেছে তারা।

এই জয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলা নিশ্চিত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে অনেকটা ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ইউনাইটেড। তাতে অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ইয়সকো ভার্দিওলের দায় আছে। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বলটা ক্লিয়ার করতে বক্স ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সিটি গোলরক্ষক স্টেফান ওর্টেগা।

তবে তার সামনে থেকে বল হেড করে বল বিপদমুক্ত করতে চান ভার্দিওল। শেষমেশ বলটা ক্লিয়ার হয়নি আর। তা গিয়ে পড়ে ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গারনাচোর পায়ে। সহজ ট্যাপ ইনে বলটা তিনি জড়ান জালে।

এর ৯ মিনিট পরই সিটি খায় আরও এক ধাক্কা। ইউনাইটেডের ব্যবধান বাড়ান তরুণ ফরোয়ার্ড কোবি মাইনু। সেই দুই গোলের লিড নিয়েই ম্যানইউ যায় বিরতিতে।

দ্বিতীয়ার্ধে সময় যত গড়িয়েছে, সিটি গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে তত। তাদের সে চেষ্টা সফলতার মুখ দেখে ৮৮ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে জেরেমি ডকুর শট আন্দ্রে ওনানার হাত গোলে গিয়ে জমা পড়ে জালে। তবে ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও সমতাসূচক গোলের দেখা পায়নি সিটি। ২-১ গোলের জয় নিয়ে ইউনাইটেড ঘরে তোলে শিরোপা।

;