বোলাররা আমাকে ভয় পায়: গেইলের গর্জন!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপের আগে কথার উত্তাপ ছড়ালেন ক্রিস গেইল

বিশ্বকাপের আগে কথার উত্তাপ ছড়ালেন ক্রিস গেইল

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের মাঠে আগেভাগে পুরোদুস্তর রেসলিংয়ের আমেজ ছড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রিস গেইল! টুর্নামেন্ট এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু মাঠের বাইরে দাড়িয়ে তর্জন-গর্জন শুরু করে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই মারকুটে ওপেনার।

রেসলিংয়ে যেমন খেলা শুরুর আগে মাইক হাতে নাটকীয় কায়দায় মঞ্চে প্রবেশ করে কুস্তিগীররা নিজের প্রশংসা গাইতে শুরু করেন, সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে কথার তুবড়িতে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান-একই মেজাজ দেখালেন বিশ্বকাপের শহরে পৌছে ক্রিস গেইল।

এটি গেইলের পঞ্চম এবং শেষ বিশ্বকাপ। তো শেষ বিশ্বকাপ শুধু নিজের জন্য নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য স্মরনীয় করে রাখার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন ব্যাটিংয়ের দ্য ইউনিভার্সল বস্!

শুনি কি বলছেন ক্রিস গেইল-‘মানছি আমার রিফ্লেক্স এখন আর তেমন দ্রুত নয়। যেমনটা আগে ছিলো। তবে তারপরও তারা (বোলাররা) আমাকে ভয় পায়। বোলাররা ভালোই জানে দ্য ইউনিভার্সল বস্ কি করতে পারে? এই চিন্তা মাথার মধ্যে নিয়েই তারা মাঠে নামবে। আমাকে বল করার আগে তাদের মস্তিস্কে চিন্তার ¯্রােত বয়ে যাবে-সামনে দাড়ানো এই ব্যাটসম্যানটা বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান!’

-সত্যিই বোলারা আপনাকে এমন ভয় পায়?

প্রশ্নকর্তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন ক্রিস গেইল, বললেন-‘যাও ওদেরই গিয়েই প্রশ্নটা করো। ক্যামেরার সামনে এনে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করো, তখন তারা বলবে-না ওকে আমরা কেউ ভয় করি না। কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ করে আবার জিজ্ঞেস করো। দেখবে এবার তারা বলতে শুরু করবে-আরে হ্যাঁ, এই তো সেই লোক। এই তো সেই ব্যাটসম্যান!’

চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর নিজের ৪০তম জন্মদিনের কেক কাটবেন ক্রিস গেইল। তবে এখনো বোলারদের সঙ্গে ক্রিকেট মাঠের লড়াইটা দারুণ উপভোগ করেন বলে জানালেন-‘ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে লড়তে আমি পছন্দ করি। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ মেজাজ নিয়ে খেলতে নামি। বাড়তি চ্যালেঞ্জ অনুভব করি । এমন মেজাজে থাকলে ব্যাটিংয়ে একটু বাড়তি তাগিদ পাই আমি।’

মুখ বেজার করে ক্রিকেট খেলার পক্ষে নন ক্রিস গেইল। বাঁচো এবং আনন্দ নিয়ে বাঁচো এই দর্শনে নিজের ক্রিকেট জীবনকেও সাজিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা।

হাসি-আনন্দ-মজা-কৌতুকের সঙ্গে ক্রিকেটীয় চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করেন গেইল। ড্রেসিংরুম মাতিয়ে রাখেন আনন্দে-‘ এই যে দর্শকরা ছক্কা চাই, ছক্কা চাই বলে দাবি তুলে, তাদের এই আওয়াজও আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করে, উৎসাহিত করে।’

ওয়ানডে ক্রিকেটের পেছনের চারটি বিশ্বকাপ খেললেও ট্রফি জেতা হয়নি তার। জীবনের শেষ বিশ্বকাপে সেই স্বপ্ন পুরো করতে চান গেইল-‘সত্যি বলতে কি আমার আসলে আর কিছু প্রমান করার নেই। এখন খুব ভালো হয় যদি বিশ্বকাপটা জিততে পারি।’

খুব ভালো ফর্মে আছেন গেইল। আইপিএলে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ১৩ ইনিংসে ৪৯০ রান করেছেন। তার আগে ঘরের ক্যারিবিয়ানের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৪২৪ রান করেন। সিরিজে তার রান গড় ১০৬। ছক্কার সংখ্যা ৩৯!

তার ব্যাটিং পরিসংখ্যান দেখে বোলারদের আসলে ভয় পাওয়ারই কথা!

   

হৃদয়ের লড়াকু ফিফটিতে সম্মানজনক সংগ্রহ বাংলাদশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেক্সাসে পা রাখতেই বাংলাদেশ দলকে হারিকেন-গোছের এক ঝড়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। আজ নিশ্চয়ই ব্যাট হাতে প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে লিটন-শান্তরাও তেমন ঝড় তুলেই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টপ অর্ডারের সে ইচ্ছে বাস্তবে রূপায়িত হল না। তবু তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহর লড়াকু ব্যাটিংয়ে অন্তত মান বাঁচানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ, ২০ ওভার ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া লিটন দাস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আরো একটা সিরিজ পেয়েছেন। কিন্তু সে সুযোগ অন্তত প্রথম ম্যাচে লুফে নিতে পারলেন না। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জেসি সিংয়ের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে করতে পেরেছেন ১৫ বলে ১৪ রান।

লিটনের চেয়ে অন্য ওপেনার সৌম্য সরকারের শুরুটা তুলনামূলক আশাজাগানিয়া ছিল। তিন চার হাঁকিয়ে ভালো একটা শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু লিটন ফেরার তিন বল পরেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। স্টিভেন টেইলরের বল হাঁটু গেঁড়ে স্লগ সুইপ করেছিলেন, সীমানা দড়ির সামনে থেকে সে ক্যাচ মুন্সিয়ানার সঙ্গে হাতে জমান নীতিশ কুমার। ১৩ বলে ২০ রানে সাঙ্গ হয় সৌম্যর ইনিংস। দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

লিটনের মতো টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে ভুগতে থাকা অধিনায়ক শান্তও টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা। অতি ধীরগতির শুরুর পর খোলসমুক্ত হতে গিয়ে টেইলরকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বলের লাইন করে উল্টো স্টাম্পড হয়ে ফেরেন ১১ বলে ৩ রানে।

তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়। সে প্রচেষ্টায় তার সঙ্গী হতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তবে হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬ রানে রানআউট হন তিনি।

তবে সাকিবের সঙ্গে না হলেও আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। এর মধ্যে নিজের ফিফটিও তুলে নেন। ২২ বলে ২ চার, ১ ছয় সহযোগে ৩১ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৮ রান আসে তার ব্যাটে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর ৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

;

টস জিতল যুক্তরাষ্ট্র, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ



Apon tariq
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দিন আগে মাঠের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডো ম্যাচটা মাঠে গড়ানোই ফেলে দিয়েছিল শঙ্কায়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া মাঠ জানান দিচ্ছিল এই মাঠে ম্যাচ আয়োজনটা কষ্টকরই হবে। সে কষ্টসাধ্য কাজটা করেই ফেলেছেন আয়োজকরা। নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। 

টস হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। টস ভাগ্য বাংলাদেশকে সঙ্গ দেয়নি। টস জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে ব্যাটিংয়ে।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ নামছে লিটন দাসকে একাদশে রেখে। শেষ কিছু দিনে তিনি ছিলেন তোপের মুখে। যে ফর্মের কারণে এ পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, তা ফিরে পাওয়ার সুযোগ আজ পাচ্ছেন তিনি। তাকে জায়গা করে দিতে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তানজিদ তামিম।

এছাড়া একাদশটা বেশ অনুমিতই। দুই পেসার নিয়ে দল গড়েছে বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব আর তাসকিন আহমেদ আছেন স্কোয়াডের বাইরে। একাদশে আছেন তিন স্পিনার, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী ও সাকিব আল হাসান।  

বাংলাদেশ একাদশ–
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

;

ইংল্যান্ড দলে নতুনের কেতন, বাদ স্টার্লিং-রাশফোর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোর জন্য ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। গ্যারেথ সাউটগেটের এই দলে রয়েছে একাধিক চমক। পুরোনো মুখ রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাশফোর্ডদের বাদ দিয়ে তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে দল গড়েছেন তিনি।

ইংল্যান্ড অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই দলকে প্রাথমিক স্কোয়াড না বলে প্রাক-ইউরো অনুশীলন ক্যাম্প স্কোয়াড হিসেবে অভিহিত করেছে।

প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমসেরা ফুটবলার ফিল ফোডেন, সেরা উদীয়মান ফুটবলার কোল পালমার, জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকাদের দিয়ে গড়া ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড লাইন সম্ভবত এবারের ইউরোরই অন্যতম সেরা। সঙ্গে অধিনায়ক ও বায়ার্ন মিউনিখে খেলা গোলমেশিন হ্যারি কেইন তো রয়েছেনই।

মধ্যমাঠে ডেকলান রাইস, কনর গ্যালাঘারদের সঙ্গে তরুণ কোবি মাইনু ও অ্যাডম হোয়ারটনের সুযোগ করে দিয়েছেন সাউথগেট।

রক্ষণে বরাবরের মতো রয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুয়ের। এছাড়া ম্যানসিটির কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, নিউক্যাসলের কিয়েরান ট্রিপিয়াররাও দলে জায়গা পেয়েছেন।

ইংল্যান্ডের ২৬ সদস্যের দল

গোলকিপার: জর্ডান পিকফোর্ড, ডিন হেন্ডারসন, অ্যারন রামসডেল, জেমস ট্র্যাফোর্ড

ডিফেন্ডার: জ্যারাড ব্রান্থওয়েট, লুইস ডাঙ্ক, জো গোমেজ, মার্ক গুয়েহি, এজরি কনসা, হ্যারি মাগুয়ের, জ্যারেল কোয়ানসা, লুক শ, জন স্টোনস, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, কাইল ওয়াকার

মিডফিল্ডার: ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড, কনর গ্যালাঘার, কার্টিস জোনস, কোবি মাইনু, ডেকলান রাইস, অ্যাডাম হোয়ারটন

ফরোয়ার্ড: জুড বেলিংহ্যাম, জ্যারড বোয়েন, এবেরেচি এজে, ফিল ফোডেন, অ্যান্থনি গর্ডন, জ্যাক গ্রিলিশ, হ্যারি কেইন, জেমস ম্যাডিসন, কোল পালমার, বুকায়ো সাকা, ইভান টনি, ওলি ওয়াটকিন্স

;

আস্থার প্রতিদান দিতে চান কাবাডি কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের গত তিন আসরে বিদেশী কোচের উপর আস্থা রেখেছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এবার দেশী কোচদের উপর আস্থা রেখেছে ফেডারেশনটি। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে চান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত কোচ আবদুল জলিল। তিনি বলেন, গেল তিনটি আসরে বিদেশী কোচের মাধ্যমে আমরা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। চতুর্থ আসরে দেশী কোচদের উপর দায়িত্ব দেওয়ায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।

কোচ জলিল বলেন, এবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো শক্তিশালী দল আসছে। কেনিয়াও বেশ শক্তিশালী। অন্যসব দলগুলো কমবেশি ব্যালেন্সড ও শক্ত প্রতিপক্ষ। কাউকে দুর্বল ভাবার অবকাশ নেই। তবে আমরা টেকনিক্যাল দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আমরা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব। 

কোচ আবদুল জলিল বলেন, আসন্ন এ টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে দল প্রশিক্ষণে রয়েছে। যদিও সবশেষ জাতীয় দলে খেলা কয়েক জন অবশ্য ইনজুরি ও ফর্মে না থাকায় দলে আসতে পারেননি। তবুও অভিজ্ঞ আর উদীয়মানদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে আমরা আশাবাদী। বর্তমানে জাতীয় কাবাডি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন সকাল-বিকেল দু’ বেলা কঠোর অনুশীলনে খেলোয়াড়রা শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, লম্বা সময় ধরে দলের প্রস্তুতি চললেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। এ নিয়ে তিনি অবশ্য চিন্তিত নন। সাবেক এ তারকা খেলোয়াড় বলেন, আমরা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন দল। সেই সাফল্যে উজ্জীবিত দলের সবাই আরেকটি শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন। এ মুহূর্তে আমরা শেষ মুহূর্তের ভুল-ক্রটিগুলো শুধরানোর চেষ্টা করছি। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের দুর্বল ও সবল দিকগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কোন কৌশলে দল খেলবে এ নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।  

উল্লেখ্য, প্রথম আসরে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায়। এরপর ২০২২ সালেও সেই কেনিয়াকে ফাইনালে পরাজিত করে স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। তারপর ২০২৩ সালে অবশ্য চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। এবার লাল-সবুজ পতাকাধারীদের চোখ চতুর্থ শিরোপা জয়ের দিকে। সে লক্ষ্যেই তাদের প্রস্তুতি জোরেশোরে এগিয়ে চলছে।

;