বিসিবির ম্যাসেজ পড়েই দেখেননি সাকিব, তাই ফটোসেশন মিস!
বিশ্বকাপ দল ১৫ জনের। কিন্তু অফিসিয়াল ফটোসেশনের ছবিতে আছেন ১৪ জন। সাকিব আল হাসান অনুপস্থিত। এমন নয়, যে সেদিন সাকিব দেশের বাইরে ছিলেন অথবা অন্য কোন বড়ো ব্যস্ততা ছিলো। অফিসিয়াল ফটোসেশনের ঘন্টাখানেক আগেও সাকিব মিরপুরে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু ফটোসেশনের জন্য সবাই প্রস্তুতি নেয়ার আগেই সাকিব স্টেডিয়াম ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন!
-কেন?
সোমবার দুপুরে প্রশ্নটা খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও করেছিলেন। কিন্তু তিনি তখন কারো কাছ থেকে কোনো উত্তর পাননি। শেষমেষ সাকিবকে ছাড়াই অফিসিয়াল ফটোসেশন হলো। বিশ্বকাপ দলের সবাই আছে সেই ছবিতে, নেই শুধু সাকিব। যিনি আবার দলের সহ-অধিনায়ক!
এমন নয় যে আনুষ্ঠানিক এই ফটোসেশনের ব্যাপারটা সাকিবকে বিসিবি আগে জানায়নি। বাকি সব ক্রিকেটারদের মতো সাকিবকেও আগেভাগেই জানিয়ে দেয়া হয়-২৯ এপ্রিল সোমবার বিকালে মিরপুরে পুরো বিশ্বকাপ দলের অফিসিয়াল ফটোসেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেল ফোনে ম্যাসেজ এবং ই- মেইলে বিশ্বকাপ দলের সব ক্রিকেটারদের এই ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছিলো। অবহিত করা সেই তালিকায় সাকিবের নামও ছিলো।
কিন্তু সবাই এলেন, ছবিও তুললেন। সাকিব স্টেডিয়ামে এলেন, কিন্তু ছবিতে নেই!
সোমবার বিকেলে সাকিবের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে করা নিজের প্রশ্নের উত্তর রাতে পেলেন বোর্ড সভাপতি। রাতেই বোর্ড সভাপতির সঙ্গে তার বাসায় দেখা করতে যান সাকিব। সেখানেই নিজের অবস্থান ব্যাখা করেন তিনি। সাকিব বোর্ড সভাপতিকে জানান-‘আমাকে বিসিবি’র পক্ষ থেকে যে ম্যাসেজ জানানো হয়েছিলো সেটা আমি পড়িনি!’
মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি ধানমন্ডিতে তার বেক্সিমকোর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই প্রসঙ্গে বলছিলেন-‘সাকিব আমাকে জানিয়েছে, তাকে ম্যাসেজটা দেয়া হয়েছিলো ঠিকই। কিন্তু সে সেটা পড়িনি। আর তাই সে জানতোই না যে, ওখানে ফটোসেশন আছে!’
পাপন জানান-‘সাকিব বলছে না যে, তাকে এই ম্যাসেজ পাঠানো হয়নি। সে বলছে, ম্যাসেজ তাকে বিসিবির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে পড়ে দেখেনি!’
-প্রশ্ন হলো সাকিবের ব্যাখায় বিসিবি সন্তুষ্ঠ কিনা?
উত্তরে বিসিবি সভাপতি জানান-‘আমার মনে হয় এই প্রশ্নের উত্তর আমি আগের দিনই দিয়েছি। তবে সে যেহেতু স্বীকার করছে ম্যাসেজটা সে দেখেনি। যদি ম্যাসেজটা দেখতো তবে অবশ্যই ফটোসেশনে থাকতো। এটা সে বলেছে আমাদের।’
বোঝাই যাচ্ছে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোসেশনে সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে বিসিবি সোমবার দুপুরে খানিকটা ‘গরম’ থাকলেও রাতেই অলরাউন্ডারের ব্যাখা পেয়ে ‘নরম’ হয়ে যায়!
প্রশ্ন আরেকটা আছে। সাকিব যদি বিসিবির পাঠানো ম্যাসেজ নাই পড়েন, তাহলে তিনি কিভাবে জানলেন যে ওইদিন তাকে স্টেডিয়ামে রিপোর্ট করতে হবে।
উত্তর হলো-ম্যাসেজ তিনি পড়েছিলেন ঠিকই, তবে পুরোটা নয়!
আরো পড়ুন :