আবাহনীর ট্রফি জেতার ম্যাচটা কিন্তু সৌম্যের!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড

  • Font increase
  • Font Decrease

হিসেবটা সহজ ছিলো আবাহনীর জন্য। শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে। তখন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দিনের অন্য ম্যাচে জিতলেও তাতে আবাহনীর কোন সমস্যা হবে না। শিরোপা আবাহনীরই থাকবে। পয়েন্ট রূপগঞ্জের সমান হলেও উন্নততর রান রেট আবাহনীকে টেবিলের শীর্ষে রাখে।

শেষ পর্যন্ত সেই রানরেটই আবাহনীকে এনে দিলো ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ২০ নম্বর শিরোপা। তবে আবাহনীর চ্যাম্পিয়নশিপের এই ম্যাচটা বিখ্যাত হয়ে থাকবে সৌম্য সরকারের কীর্তির জন্য।

ব্যাট হাতে এই ম্যাচে নিজের সব ইচ্ছে পুরো করেছেন আবাহনীর এই ওপেনার। ১৫৩ বলে অপরাজিত ২০৮ রান। ১৪ বাউন্ডারি ও ১৬ ছক্কা। লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে কোনো ব্যাটসম্যানের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এটাই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এক ইনিংসে এটাই সবচেয়ে বেশি ছক্কা। যে কোনো উইকেট জুটিতে ৩১২ রান-সর্বোচ্চ জুটিরও রেকর্ড।

একদিনে তিন রেকর্ডের সবকটিতে সৌম্য সরকারের নাম! এই ম্যাচ, এই রেকর্ডের ডাবল সেঞ্চুরি, ছক্কার ঝড়-ক্রিকেট নিয়ে গল্প করার মতো এক ম্যাচে অনেককিছু পেয়ে গেলেন সৌম্য সরকার।

মঙ্গলবার সকালে সাভার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে জিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ব্যাটিং বেছে নেয়। শুরুতেই সমস্যায় পড়ে তারা। মাশরাফির বোলিং তোপের মুখে পড়ে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় শেখ জামাল। কিন্তু তানভীর হায়দারের সেঞ্চুরির সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৩১৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শেখ জামাল। লিগের শেষ ম্যাচে মাশরাফি চার উইকেট পান।

ম্যাচ জিততে আবাহনীর চাই ৩১৮ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনশ’র ওপর যে কোন রান তাড়া করা কঠিন কাজ। উইকেট তা সে যতোই ব্যাটিং সহায়ক হোক না কোনো? তবে আবাহনীর দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও জহুরুল ইসলাম যেভাবে শুরু করলেন তাতে আবাহনীর জন্য এই ম্যাচ জেতাটা হয়ে দাড়ায় ‘দুধ-ভাত’!

৮ ওভার দলের ৫০ রান পুরো। নিজের প্রথম ৫২ বলে সৌম্য সরকার হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ব্যাট তুললেন। ইনিংসের বাকি সময়জুড়ে সৌম্যের ব্যাটে বিদ্যুৎ চমকালো! ৭৮ বলে পেলেন সেঞ্চুরি। ১০৪ বলে করলেন ১৫০ রান। ততক্ষনে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১ ছক্কার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। হাঁকিয়েছেন ১৫ ছক্কা। নিজের রান দেড়শ হওয়ার পর বুঝলেন ইচ্ছে করলেই ডাবল সেঞ্চুরি সম্ভব। সেই চিন্তায় নিজের খেলা কিছুটা বদলে ফেললেন। নিরাপদে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে চললেন। আর আবাহনী সামনে বাড়লো ট্রফি হাতে নিয়ে উৎসবের আলো ছড়িয়ে। সঙ্গী ওপেনার জহুরুল ইসলামও তুলে নিলেন চলতি লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৪৯ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পুরো করার আনন্দে দু’হাত তুলে উৎসবে মাতলেন।

জয়ের জন্য ৩১৮ রানের বড় লক্ষ্য আবাহনী টপকে গেলো অনায়াস ভঙ্গিতে প্রায়। জিতলো ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। তখনো ম্যাচের ১৭ বল বাকি!

দিনের অন্যম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে মিরপুরে রূপগঞ্জ হারালো ৮৮ রানে। আরেক ম্যাচে মোহামেডানকে ৩ রানে হারালো প্রাইম দোলেশ্বর। কিন্তু সেইসব ম্যাচের ফল যে সব তখন গুরুত্বহীন।

সব আলো এবং আলোচনা যে আবাহনীর জয় এবং সৌম্য সরকারের ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৩১৭/৯ (৫০ ওভারে, তানভীর হায়দার ১৩২*, ইলিয়াস সানি ৪৫, মেহরাব হোসেন ৪৪, মাশরাফি ৪/৫৬)। আবাহনী: ৩১৯/১ (৪৭.১ ওভারে, জহুরুল ১০০, সৌম্য ২০৮*, ইমতিয়াজ ১/১০)। ফল: আবাহনী ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: সৌম্য সরকার।

   

টানা চার ম্যাচেই হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসরের শুরু নয় ম্যাচে হার কেবল একটি। নয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ছিল ১৬। সবার আগে শেষ চারীর টিকিট নিশ্চিতসহ অনায়াসেই শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়েই ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে আসরের গ্রুপপর্বের শেষ দিকে এসে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। গত মঙ্গলবার দিল্লির কাছে লক্ষ্ণৌয়ের হারের পরই অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে রাজস্থানের প্লে-অফের জায়গা। তবে এ নিয়ে টানা ম্যাচেই হারের মুখ দেখল সঞ্জু স্যামসনের দলটি। 

প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক অলরাউন্ড পারফর্মে গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান। এতে ১৩ ম্যাচ শেষের পয়েন্টটা আটকে থাকলো ১৬-তেই। এবং শেষ চারের টিকিট কনফার্ম থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে প্রথম কোয়ালিফায়ারের রাজস্থানের খেলা দাঁড়িয়েছে শঙ্কায়। 

এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। এতেই প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। গত রাতের ম্যাচটি অধিনায়ক কারেনের ছিল এই আসরের শেষ ম্যাচ। কেননা জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে হবে এই ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার। আসরের শেষ ম্যাচে তাই খেলে গেলেন গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যাপ্টেনস নক। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৬৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন কারেন। 

গৌহাটির ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা। 

লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে আভেশ-বোল্টদের পেস তোপে শুরুতেই তা কঠিন হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের জন্য। ৪৮ রানেওই হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেটে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কারেন। জিতেশ ২২ রান করে ফিরলেও কারেন টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এদিকে ১১ বলে ১৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন আশুতোশ শর্মা। এতে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আভেশ ও চাহাল, একটি পান বোল্ট। 

আসরের ১৩ ম্যাচে এটি ছিল পাঞ্জাবের পঞ্চম জয়। আগের দুটি ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেল তারা।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জশ বাটলার ইংল্যান্ডে ফিরে গেলে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার টম কোলার-ক্যাডমোর। এটি ছিল তার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। তবে তা মোটেও সুখকর হলো না।  ২৩ বলে ফিরেছেন স্রেফ ১৮ রান করে। জয়সওয়াল ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৩৮ রান উঠে রাজস্থানের। পরে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ক্যাডমোর-স্যামসন দুজনেই। পরে অর্ডার বদলে পাঁচে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবং রিয়ান পরাগের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা হলেও সামলান। পরে ২৮ রান বলে অশ্বিন ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। কেবল রিয়ানের ৪৮ রানে ইনিংসে চড়ে লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছায় তারা। 

আসরের শুরু থেকে দাপুটে পারফর্মে লম্বা সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে ছিল রাজস্থান। তবে একের পর এক হারে এবার শীর্ষে দুইয়ে জায়গা নিয়ে জেঁকেছে সংশয়।

;

মেসিবিহীন ম্যাচে মায়ামির হোঁচট 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজর লিগ সকারের ইন্টার মায়ামির সবশেষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে মন্ট্রিয়েলের ডিফেন্ডার জর্জ ক্যাম্পবেল ফাউল করেছিলেন মেসিকে। তবে তখন প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি গতকালের লিগে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছিলেন অনুশীলনও। তবে মেসিকে নিয়ে বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি মায়ামি। এতেই এ ম্যাচে খেলেননি বিশ্বের অন্যতম এই মহাতারকা। 

এদিকে মেসি একাদশের বাইরে যেতে না যেতেই জয়ের যাত্রাও যেন হাতছাড়া হলো মায়ামির। লিগে এর আগের টানা পাঁচ ম্যাচেই জিতেছিল তারা। তবে মেসিকে ছাড়া অরল্যান্ডোর বিপক্ষে ম্যাচটিতে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্লোরিডার দলটি। 

লিগে গতরাতের ম্যাচে জয়ের দেখা না পেলেও টানা ৮ ম্যাচে অপরাজিত আছে মায়ামি। এমএলএসের  ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে মেসি-সুয়ারেজদের দলই আছে শীর্ষে। ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সিনসিনাটি। 

এদিকে মেসিক না থাকলেও এদিন শুরু একাদশেই ছিলেন তার সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১১টি গোল করেছেন তিনি। যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এদিনও ম্যাচের শুরুতে পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সুয়ারেজের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন অরল্যান্ডো গোলরক্ষক। ম্যাচের বাকি সময়ে আধিপত্য সফরকারী মায়ামি দলের থাকেলও গোলের উদ্দেশ্যে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। 

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লা লিগায় আজ আছে বার্সেলোনার ম্যাচ। এদিকে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নামবে গুজরাট টাইটান্স। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

আইপিএল

হায়দরাবাদ–গুজরাট

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

লা লিগা

আলমেরিয়া–বার্সেলোনা

রাত ১টা ৩০ মিনিট, র‍্যাবিটহোল ও স্পোর্টস ১৮–১

সৌদি প্রো লিগ

আল খালিজ–আল ইত্তিহাদ

রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

;

ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন লামিচানে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপাল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকার নাম সন্দীপ লামিচানে। অথচ ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময়ে গুরুতর এক অভিযোগে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল তার। ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আপিলের মাধ্যমে সে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এই নেপালি ক্রিকেটার।

২০২২ সালে ১৮ বছরের এক তরুণী লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। সে অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ বছরের কারাবাসের শাস্তি দেন দেশটির আদালত। লামিচানে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আপিল করেছিলেন।

সে আপিলের রায়েই আজ (বুধবার) লামিচানেকে খালাস দেয়া হয়েছে। নেপালের পাতান হাইকোর্টের মুখপাত্র বিমল পারাজুলি এএফপিকে বলেছেন, ‘সন্দীপ লামিচানে খালাস পেয়েছেন।’

ধর্ষণ মামলায় শাস্তি হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করেছিল নেপালের ক্রিকেট বোর্ড। তবে এখন খালাস পাওয়ার পর আবার তার ক্রিকেটে ফেরার পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

;