শ্রীলঙ্কার দুই ক্রিকেটারের বর্ণনায় সেদিনের ভয়াবহতা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুস শানাকা ও হাসিথা বায়োগোরা/ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুস শানাকা ও হাসিথা বায়োগোরা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় তিনশ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহতের সংখ্যা পাঁচশ’র বেশি। ভাগ্যগুণে এই নৃশংসতার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই ক্রিকেটার। এদের একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ পরিচিত-দানুস শানাকা। তিনটি টেস্ট ও ১৯টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছেন শানাকা।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলে গেছেন শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডার। হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হলেন হাসিথা বায়োগোরা।

শ্রীলঙ্কার অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হাসিথা বায়োগোরা এবং টেস্ট ক্রিকেটার দানুস শানাকা এই হামলা থেকে সৌভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলেও সার্বিক ঘটনার ভয়াবহতায় মানসিকভাবে দুজনেই প্রায় বিধ্বস্ত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/23/1556001223767.jpg

নেগাম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিন চার্চ রোববার সকালে (২১ এপ্রিল) বোমা বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠে। এই চার্চে পরিবারের সঙ্গে দানুস শানাকারও থাকার কথা ছিল। সেই দুঃস্মৃতি প্রসঙ্গে শানাকা বলছিলেন-‘নেগাম্বো আমার নিজ শহর। সেদিন সকালে মা ও দাদির সঙ্গে আমারও চার্চে যাওয়ার কথা। কিন্তু আগের দিন সন্ধ্যায় ১৭০ কিলোমিটার দূরের অনুরাধাপুরা থেকে বাসায় ফেরার পর ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাই সকালে চার্চে আর যাইনি। মা ও দাদি সকাল সকাল চার্চে যায়। আমি বাসায় ছিলাম। হঠাৎ করে একটা জোরে বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনি। বাইরে বেরিয়ে দেখি লোকে বলাবলি করছে চার্চে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। আমার চোখের সামনে তখন মা ও দাদির চেহারা ভেসে উঠে। সঙ্গে সঙ্গে আমি চার্চের দিকে ছুটি। সেখানে পৌঁছে যা দেখি! উফ সেই দৃশ্য আমি কোনদিনই ভুলবো না! ও মাই গড! সেকি ভয়াবহতা!! গোটা চার্চই যেন ভেঙ্গে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপ! লোকজন ভেতর থেকে প্রাণহীন মানুষের দেহ টেনে বের করে আনছে। আমি প্রথমেই মাকে খুঁজলাম। ভাগ্যক্রমে পেয়েও গেলাম। তাকে কোলে নিয়েই আমি হাসপাতালে ছুটলাম। আমার বাকি বন্ধুরা চার্চের বাকি আহতদের উদ্ধারের জন্য সেখানে থেকে গেল। আমার মা চার্চের জানালার পাশে বসে থাকায় বিস্ফোরণের ধাক্কা বেশি লাগেনি তার। জানালার সেই পাল্লা তাকে রক্ষা করে। কিন্তু তার আশেপাশে অনেকেই বিস্ফোরণে মারা যায়। মাকে হাসপাতালে রেখে আমি আবার চার্চে ফিরি। দাদিকে খুঁজি। শুনলাম দাদি নাকি ভেতরের দিকে বসেছিল। মানুষের কান্না, চিৎকার, অসহায়ত্ব দেখে কষ্টে আমার বুক ভেঙ্গে যাচ্ছিল। চার্চের একদম ভেতরের দিকে ঢুকেই দাদিকেও পেয়ে গেলাম। এবং হ্যাঁ, জীবিত! চারধারের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জীবত কাউকে পাওয়াটা ছিল অবিশ্বাস্যই বটে! যেভাবে পুরো চার্চ ভেঙ্গে পড়েছিল সেখানে জীবত কাউকে খুঁজে পাওয়াটা বিস্ময়করই ছিল। আমার দাদি মুলত বেঁচে গেছে আশপাশের ভিড়ের কারণে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় মানুষের নিস্প্রাণ শরীরগুলো দাদির ওপর পড়ায় বিস্ফোরণটা তাকে সরাসরি আঘাত করেনি। দাদির মাথায় অবশ্য একটা বিস্ফোরণের টুকরো এসে পড়ে। অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে যাই’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/23/1556001241510.JPG

শ্রীলঙ্কার আরেক ক্রিকেটার অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য হাসিথা বায়োগারা ইস্টার সানডে উপলক্ষে তার পরিবার পরিজনের সঙ্গে কলম্বোর পাঁচ তারকা সাংগ্রি-লা হোটেলে সকালের নাস্তা করার জন্য বসেছিলেন। ঠিক তখনই হোটেলে বিস্ফোরণ হয়। ভাগ্য ভালো যে এই বিস্ফোরণে হাসিথার পরিবারের কেউ গুরুতর ভাবে আহত হয় নি। তবে সেই ভয়াবহ ঘটনায় তরুণ ক্রিকেটার হাসিথা বায়োগারার মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। গতবছর শ্রীলঙ্কার বর্ষসেরা স্কুল ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা হাসিথা বলেন-‘আমি তো এখন রাস্তায় বের হতে বা হাসপাতালে যেতেও ভয় পাচ্ছি’!

তবে এই তরুণ জানান-এই হামলা, বিস্ফোরণ কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কিন্তু শ্রীলঙ্কার সাহসকে টলাতে পারেনি!

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;