সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড সেঞ্চুরি, তবুও ইনিংস হার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
শতরানে রাঙালেন সৌম্য সরকার

শতরানে রাঙালেন সৌম্য সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

দুজনেই জানতেন কি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে তাদের সামনে, দলের সামনে এই টেস্টে। কিন্তু সামনের সেই সঙ্কট তাদের থামিয়ে-দমিয়ে রাখতে পারলো না। দুজনেই খেললেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। করলেন সেঞ্চুরি। স্মরণীয় সেঞ্চুরি। তবে তাদের সেই সেঞ্চুরি সত্ত্বে হ্যামিল্টনে ইনিংস হার এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংস ও ৫২ রানে ম্যাচ হারার আগে বাংলাদেশ ঠিকই লড়লো। করলো ৪২৯ রান।

দলের এই ৪২৯ রানের মধ্যে সৌম্য করলেন ১৪৯ রান। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট হাসলো ১৪৬ রানে। দুজনের সেঞ্চুরিই আবার রেকর্ডে ভাস্বর। মাত্র ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেলেন সৌম্য। টেস্টে এটি বাংলাদেশের হয়ে দ্রততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সৌম্য এখন এই রেকর্ডটি ভাগাভাগি করছেন তামিম ইকবালের সঙ্গে। আর মাহমুদউল্লাহর জন্য তো বিশ্বের সবচেয়ে পয়মন্ত মাঠ হলো হ্যামিল্টন। টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ রান পেলেন মাহমুদউল্লাহ এই মাঠে। দুটি টেস্ট খেলেছেন এই ভেন্যুতে। দুটিতেই সেঞ্চুরি। একটি ওয়ানডে খেলেছেন। তাতেও সেঞ্চুরি!

এই দুজনের বীরত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি সত্তে¡ও বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানেই হারলো। তবে এই দুইয়ের বড় সেঞ্চুরিে যা জানান দিলো তার নাম লড়াই! লড়তে জানা। সৌম্য-মাহমুদউল্লার রেকর্ড সেঞ্চুরিতে হ্যামিল্টন টেস্টের চতুর্থদিন পাওয়া গেলো লড়াকু মেজাজের ভিন্ন ব্যাটিংয়ের বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচের সিরিজে ০-১ এ পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের বড় অর্জন সেটাই।

ম্যাচ বাঁচলো না কিন্তু সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি এই টেস্টে বাংলাদেশকে এনে দিলো লড়াইয়ের তেজ।

চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ছিলো ৮ উইকেটে ৪২৪ রান। তখনো ইনিংস হার বাঁচাতে চাই ৫৭ রান। মাহমুদল্লাহ রিয়াদ লড়ছিলেন ১৪১ রান নিয়ে। চা বিরতির পর মাহমুদউল্লাহ ১৪৬ রান করে টিম সাউদির বলে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস টিকলো আর মাত্র চার বল!

চতুর্থদিনের সকালের সেশন থেকেই ব্যাটিংয়ের মেজাজ বদলে ফেলে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার পাল্টা আক্রমণকে টিকেই থাকার সেরা অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন। শুরু করেন ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং। আগের দিনের ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সৌম্য দ্রæতই হাফসেঞ্চুরিতে পৌছে যান। সেঞ্চুরিতে পৌছাতেও বেশি সময় নিলেন না। নিউজিল্যান্ডের বাউন্সার, শর্ট বল মোকাবেলায় দারুণ দক্ষতা দেখান। মাত্র ৯৪ বলে টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সৌম্য। বলের হিসেবে টেস্টে এটি বাংলাদেশের দ্রæততম সেঞ্চুরি। যে রেকর্ডটি এতদিন ছিলো শুধুই তামিম ইকবালের। এখন তাতে সৌম্যের ভাগ।

৬০ বলে হাফসেঞ্চুরি পান সৌম্য। পরের ফিফটি আসে তার মাত্র ৩৪ বলে! ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন দারুণ বীরত্বপূর্ণ কায়দায়। মাত্র ৯৪ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় সেঞ্চুরি পুরো তার।
 
এদিকে সৌম্যের সেঞ্চুরি আর অন্যপ্রান্তে মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরি পুরো। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সঞ্চয় বাড়ছে।

সেঞ্চুরির পর সৌম্য সরকার তার ব্যাটিং কৌশল বদলে ফেললেন। কোন ঝুঁিক নেয়ার পথে গেলেন না। ধৈর্য্য নিয়ে সামনে বাড়লেন। সৌম্যের সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহও সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। ১৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৮৩ বলে তার সেঞ্চুরির জন্য একটা শব্দই ফুটে বেরুলো-ক্যাপ্টেনস নক! মাহমুদউল্লাহও সেঞ্চুরির পর আরো অনেক দুর যেতে হবে এই চিন্তায় মনোনিবেশ করলেন।
 
 সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেট জুটিতে পেলো বাংলাদেশ ২৩৫ রান। ১৪৯ রান করে সৌম্য সরকার ফিরে আসার পর লিটন দাস ও মেহেদি মিরাজ এই ম্যাচে দ্বিতীয় দফা ব্যাটিংয়ের ব্যর্থ। লিটন দাস বাইরের বল টেনে এনে বোল্ড হলেন। আর মিরাজ হয়তো ভেবেছিলেন এটাই খেলার শেষ বল, ছক্কা না হলে যেন হয় না! হুক শটে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন।
 
চা বিরতির খানিকবাদে মাহমুদউল্লাহ ১৪৬ রান করে ফিরে আসার পর সাউদির সেইওভারেই ম্যাচ জিতে নিলো নিউজিল্যান্ড।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর: তৃতীয়দিন শেষে, বাংলাদেশ ১ম ইনি: ২৩৪/১০ (৫৯.২, তামিম ১২৬, সাদমান ২৪, মুমিনুল ১২, মিঠুন ৮, সৌম্য ১, মাহমুদউল্লাহ ২২, লিটন ২৯, মেহেদি ১০, আবু জায়েদ ২, খালেদ ০, এবাদত ০, অতিরিক্ত ০, ওয়াগনার ৫/৪৭, সাউদি ৩/৭৬)। নিউজিল্যান্ড ১ম ইনি: ৭১৫/৬ ডি. (রাভাল ১৩২, লাথাম ১৬১, উইলিয়ামসন ২০০*, নিকোলস ৫৩, ওয়াটলিং ৩১, গ্র্যান্ডহোম ৭৬*, মিরাজ ২/২৪৬, এবাদত ১/১০৭, সৌম্য ২/৬৮)। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনি: ৪২৯/১০ (১০৩ ওভারে, তামিম ৭৪, সাদমান ৩৭, মুমিনুল ৮, মিঠুন ০, সৌম্য ১৪৯, মাহমুদউল্লাহ ১৪৬, বোল্ট ৫/১২৩, সাউদি ৩/৯৮, ওয়াগনার ২/১০৪)। ফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৫২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামস।

   

শীর্ষ পাঁচটি লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যারা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ হয়ে গেছে ইউরোপীয় ফুটবলের ২০২৩-২৪ মৌসুমের সকল ম্যাচ। ইতোমধ্যে সেরা পাঁচ লিগের জয়ী দলের হাতে শিরোপাও উঠেছে। যদিও কয়েকটি স্থান নির্ধারণ এখনো বাকি আছে। তবে বেশিরভাগ দলের নামই নিশ্চিত হওয়া গেছে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২৪-২৫ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট নিশ্চিত করা দলগুলোর নাম।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে চার দল। তারা হলো ম্যানচেস্টার সিটি (চ্যাম্পিয়ন), আর্সেনাল, লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।
ইউরোপা লিগ থেকে টটেনহাম ও এফএ কাপ জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

লা লিগা থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে চার দল- রিয়াল মাদ্রিদ (চ্যাম্পিয়ন), বার্সেলোনা, জিরোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদ।
ইউরোপা লিগ থেকে অ্যাথলেটিক বিলবাও ও রিয়াল সোসিয়েদাদ।
কনফারেন্স লিগ থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল বেতিস।

বুন্দেসলিগা থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে পাঁচ দল- বায়ার লেভারকুসেন (চ্যাম্পিয়ন), ভিএফবি স্টুটগার্ট, বায়ার্ন মিউনিখ, লাইপজিগ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
ইউরোপা লিগ থেকে হফেনহাইম। কনফারেন্স লিগ থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে হফেনহাইম।

সিরি আ থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে পাঁচ দল- ইন্টার মিলান (চ্যাম্পিয়ন), জুভেন্টাস, এসি মিলান, আতলান্তা ও বোলোনিয়া।
ইউরোপা লিগ থেকে রোমা ও লাতসিও।

ফ্রেঞ্চ লিগ আ থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে চার দল পিএসজি (চ্যাম্পিয়ন), মোনাকো, ব্রেস্ত ও লিল।
ইউরোপা লিগ থেকে নিস ও লিও।
কনফারেন্স লিগ থেকে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে লাঁস।

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ বাতিল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ে নামার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচটি বাতিল করেছে আইসিসি। ম্যাচ বাতিলের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বৈরি আবহাওয়াকে।

ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে অবশ্য আগে থেকেই শঙ্কা ছিল। ম্যাচের আগের দিন মুষলধারে বৃষ্টি ও আকাশ মেঘলা থাকায় ম্যাচ মাঠে গড়াবে কিনা সেটি নিয়ে ছিল প্রশ্ন। যদিও ম্যাচের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস খানিকটা স্বস্তিই দিয়েছিল বাংলাদেশি সমর্থকদের। বলা হচ্ছিল ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যদিও পরে রং বদলেছে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ। আর তাতেই শেষ হয়ে গিয়েছে ম্যাচটি। মাঠে গড়ায়নি একটি বলও।

বাংলাদেশের পরবর্তী প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১ জুন। যেখানে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি সারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দর। যেখানে দারুণ খেলা উপহার দিয়ে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নেওয়ায় এখন মূল লক্ষ্য বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অবশ্য এই ম্যাচটি বাতিল হওয়ার আগেও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে অবশ্য প্রস্তুতিতে ঘাটতিই চোখে পড়েছে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে শেষ ম্যাচ জিতে কোনো রকমে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে তাই ব্যাটারদের মনোবল বাড়াতে এই প্রস্তুতি ম্যাচটি বড্ড বেশি দরকার ছিল বাংলাদেশের। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি সম্ভব হয়নি আবহাওয়া জনিত কারণে।

;

সাঁতারে তোফায়েল ও অ্যানির ঝলক, চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইফপাওয়ারটেক জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের ৩৬ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিকেএসপি। আসরে মোট ৮৪টি সোনা, ৫৭টি রুপা ও ১৬টি ব্রোঞ্জ জিতেছে বিকেএসপি। রানার্স আপ হওয়া কিশোরগঞ্জের নিকলী সুইমিং ক্লাব জিতেছে ৫টি সোনা, ৭টি রুপা ও ২২টি ব্রোঞ্জ। প্রতিযোগিতায় দারুণ পারফর্ম করে সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হয়েছেন বিকেএসপির মোহাম্মদ তোফায়েল ও অ্যানি আক্তার।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসানের হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে নিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন বিকেএসপির সাঁতারুরা। গত তিন দিন ধরে দাপটের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন বিকেএসপির সাঁতারুরা। অবশেষে ট্রফি হাতে নিয়ে সেই পরিশ্রমের পুরস্কার পেলেন তারা। ছেলেদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন বিকেএসপির মোহাম্মদ তোফায়েল। তিনি জিতেছেন ৯টি সোনা ও ১টি রুপা। এরমধ্যে ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ডও রয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীর এই সাঁতারুর।

মেয়েদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন অ্যানি আক্তার। বিকেএসপির এই সাঁতারু ১২টি সোনা জিতেছেন। এর মধ্যে ৫টিতেই গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড।

মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০টি ইভেন্ট। এর মধ্যে শেষ দিনে হয়েছে আরও ৪টি রেকর্ড। সব মিলিয়ে সাঁতারে রেকর্ড হয়েছে ২০টিতে।

বিকেএসপির দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র তোফায়েল ২০১৪ সালে প্রথম বয়সভিত্তিক সাঁতারে অংশ নেন। কিন্তু এর আগে কখনও সেরা সাঁতারু হতে পারেননি। এবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি, ‘এবার আমার আত্মবিশ্বাস ছিল সেরা সাঁতারু হতে পারব। আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। অনেকগুলো ইভেন্টে অংশ নিয়ে একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেই কষ্ট ভুলে গেছি সেরা সাঁতারু হওয়ার পর। আমি দেশের হয়ে একদিন এসএ গেমসে সোনা জিততে চাই।’

অ্যানির অবশ্য সেরা সাঁতারু হওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। এর আগে আরও ২ বার হয়েছেন সেরা। ২০১৯ ও ২০২২ সালের পর আবারও সেরা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত কুষ্টিয়ার আমলার কিশোরী, ‘দ্বিতীয় দিনে আমি অনেক পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কোনও রেকর্ড হয়নি সেদিন। ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমি সেরা সাঁতারুর পুরস্কার পাবো না। কিন্তু পরের দুই দিন আবারও নিজের সেরা টাইমিং করে সাঁতরিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেরা হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

যদিও নিজের টাইমিং নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে অ্যানির, ‘এই টাইমিং নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো কিছু করা অসম্ভব। এজন্য আমাকে আরও টাইমিংয়ে উন্নতি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

প্রতিযোগিতা শেষ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ।

;

বিটিএস এর টানে কোরিয়ার সমর্থকদের ভিড় ইনডোরে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পপ ব্র্যান্ড দক্ষিণ কোরিয়ার বিটিএস। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপি ছড়িয়েছে এর খ্যাতি। বাংলাদেশেও প্রচোর বিটিএস ফ্যান রয়েছে, বিশেষ করে তরুণীরা। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে খেলতে এসে সেই বিটিএস ফ্যানদেরই সমর্থন পাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারি জুড়ে বসে আছে শতাধিক স্কুলের ছাত্রীকে দেখা গেছে কোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে গলা ফাটাতে।

দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন দেওয়া তরুণীদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তারা স্থানীয় আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। ইন্দোনেশিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ শুরুর আগে কোরিয়ান খেলোয়াড়রা যখন কোর্টে ঢুকছিলেন, তখন ওই ছাত্রীরা গ্যালারি থেকে তারস্বরে চিৎকার করে ওঠে। তাদের অনেকেই কোরিয়ান খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে ‘উড়ন্ত চুম্বন’ ছুঁড়ে দিচ্ছিল। তাদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এত দল থাকতে কোরিয়ান খেলোয়াড়দের জন্য তাদের এই ভালোবাসার কারণ কি? কারণ জানার জন্য দ্বারস্থ হতে হলো স্কুলটির সিনিয়র শিক্ষিকা শরীফা আক্তারের। তার মাধ্যমে কথা হয় স্কুলটির চার শিক্ষার্থীর সঙ্গে। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম আক্তার ও সাদিয়া আক্তার। নবম শ্রেণীতে পড়ে ফাতেমা গাজী মেহেরুন এবং আনিকা আক্তার লিলি।

মিম ও সাদিয়া সলজ্জ্ব কণ্ঠে জানালো, ‘কোরিয়া দল ও তাদের সংস্কৃতি আমাদের অনেক ভাল লাগে। ওদের সবকিছুই অনেক ভাল লাগে। আসলে কোরিয়া দলকে সাপোর্ট করছি দেশটির বিশ্বখ্যাত পপ-ব্যান্ড দল বিটিএস-এর কারণে! বিটিএসের গায়কদের মাঝেই যেন এই কোরিয়ান কাবাডি দলকে খুঁজে পাচ্ছি।’

তবে এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ দ্বিমত পোষণ করে মেহেরুন ও লিলি, ‘আমরা কোরিয়ান দলকে সমর্থন করছি তাদের খেলার স্টাইলের কারণে।’ এই চার কোরিয়ান-ভক্ত মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসে। এখানে আসতে পেরে দারুণ খুশি তারা। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে এই কাবাডি টুর্নামেন্টের কথা শুনেই তারা স্টেডিয়ামে আসতে আগ্রহী হয়। সময়-সুযোগ পেলে আগামীতে ভলিবল-ক্রিকেট খেলাও দেখতে আসতে চায়।

মেহেরুন-লিলি আরও যোগ করে, ‘কোরিয়ান কাবাডি দলের মতো আমরাও এই প্রথম এই স্টেডিয়ামে এসেছি। এর আগে টিভিতে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দলের খেলা দেখেছি। জানি এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সবচেয়ে বড় সমর্থন বাংলাদেশের প্রতিই থাকবে। তারপরই কোরিয়া।’ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে মিম-সাদিয়াও।

মিম-সাদিয়া বিটিএস ব্যান্ডের যে ভক্ত, তার খানিকটা পরীক্ষাও দিল, ‘বিটিএস ব্যান্ডে মোট সাত জন গান গায়। সবার নামও জানি-জাংকুক, জি, সুগা, আরএম, জিমিন, জে-হোপ এবং ভি। প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা বিটিএস ব্যান্ডের ভক্ত।’ কিছুদিন আগে বিটিএস ব্যান্ডের সদস্যদের প্রেমে পড়ে বাংলাদেশের তিন কিশোরী ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল চাকরি করে, টাকা জমিয়ে, কোরিয়ান ভাষা শিখে কোরিয়া গিয়ে জাংকুকদের সঙ্গে দেখা করবে (সম্ভব হলেও বিয়েও!)। এ ঘটনার কথা মিম-সাদিয়ারা জানে। এ ব্যাপারে তাদের ভাষ্য, ‘ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তারা মোটেও ঠিক কাজ করিনি। আমরা কোনদিনও এমনটা করবো না।’

মেহেরুন চাঁদপুরে নিজের গ্রামে গিয়ে কাবাডি খেলেছে শখ করে। এমনিতে তারা স্কুলে ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, কাবাডি, ক্রিকেট খেলে থাকে। সবশেষে সবাই জানায়, কালও তারা কাবাডি খেলা দেখতে আসবে এবং মনেপ্রাণে কামনা করে বাংলাদেশ যেন আবারও শিরোপা জেতে।

;