তামিমের ফাইনালে কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
তামিম খেললেন অতিমানবীয় এক ইনিংস

তামিম খেললেন অতিমানবীয় এক ইনিংস

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের সেরাটা তাহলে ফাইনালের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল?

প্রথমে তার অসাধারণ অপরাজিত সেঞ্চুরি! তারপর ফিল্ডিংয়ে দুটো দর্শনীয় ক্যাচ! তামিমময় ফাইনালে জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ষষ্ঠ বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন। ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৭ রানে হারিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লার ১৯৯ রানের জবাবে ঢাকার ইনিংস থেমে গেলো ১৮২ রানে। ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মানেই চ্যাম্পিয়ন। চারবারের লড়াইয়ে দু’বার তারা ফাইনালে খেলেছে, দু’বারই চ্যাম্পিয়ন!

তবে ছয়বারের বিপিএলে এই প্রথমবার কোন দলের হয়ে তামিম ইকবাল ফাইনালে খেললেন। আর নিজের প্রথমবারের সেই ফাইনালকেই অবিস্মরনীয় করে রাখলেন মাত্র ৬১ বলে হার না মানা ১৪১ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে।

জয় নিশ্চিত হতেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ডাগআউট থেকে পুরো দল মাঠে ছুটলো স্প্রিন্টের গতিতে। মাঠের সবাই ছুটলেন ডাগআউটের দিকে! সুভেনির স্ট্যাম্প সংগ্রহের দৌড়াদৌড়িও চললো। মাঠে এবং গ্যালারিতে লাল জার্সির কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্সের উৎসবের রঙ তখন লালে লাল!

বাতাসে উড়তে থাকা রঙিন কনফেত্তির ফাইনালের এই রাতে অনেক ভিড়ের মধ্যেও একজনকে সবচেয়ে বেশি রঙিন দেখালো; তামিম ইকবাল। এই ফাইনালের রাত যে রাঙিয়েছে তার ক্রিকেট ব্যাট!

কুমিল্লার ১৯৯ রানের পিছু তাড়া করতে নেমে ঢাকা ডায়নামাইটসের শুরুটা হয়েছিলো সত্যিকার অর্থেই বিষ্ফোরণের মতোই! ৬ ওভারেই ১ উইকেটে ৭১ রান। রনি তালুকদার ও উপুল থারাঙ্গা যে গতিতে ব্যাট করছিলেন তাতে স্কোরবোর্ডে কুমিল্লার বিশাল স্কোরকেও নিরাপদ মনে হচ্ছিলো না! তবে থারাঙ্গা ৪৮ ও রনি তালুকদার ৩৮ বলে ৬৬ রান করে ফেরার পর এই ম্যাচে ঢাকার ভরসা ছিলো দুটো নাম; আন্দ্রে রাসেল ও কাইরন পোলার্ড। তবে তামিম ও কুমিল্লার উৎসবের এই রাতে রাসেল ও পোলার্ডও কিছু করতে পারেননি।

ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখানো ফাইনালে কুমিল্লার পেসার ওয়াহাব রিয়াজ বোঝালেন ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা আসলেই অনেক বড় ফ্যাক্টর। নিজের প্রথম ওভারে ১৫ রান খরচা করা ওয়াহাব রিয়াজ পরের স্পেলে করলেন স্বপ্নের বোলিং; ৪ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট। তার বোলিং অভিজ্ঞতার কাছেই ভেস্তে গেলো ঢাকার ব্যাটিং পরিকল্পনা।

কুমিল্লার ইনিংসের সময় নিশ্চিতভাবে ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মনে গেলোবারের ফাইনালের দুঃস্মৃতি মনে পড়ছিলো। সেই ফাইনালেও রংপুর রাইডার্স দুুশো ছাড়ানো স্কোর গড়েছিলো। বাঁহাতি ওপেনার ক্রিস গেইল সেঞ্চুরি ও ছক্কার উৎসবে মেতেছিলেন। এবারো ঠিক তাই! শুধু রংপুরের জায়গায় কুমিল্লা। আর ক্রিস গেইলের বদলে তামিমই ইকবাল। দুজনেই ওপেনার। দুজনেই বাঁহাতি! কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের রান উৎসবের এই ফাইনালে ব্যাটিংয়ের সব মৌতাত শুধু তামিম ইকবালকে ঘিরেই।

শুরুটা যেভাবে করেছিলেন তামিম তাতে দেখে বোঝার উপায় ছিলো না কি অসাধারণ কিছু অপেক্ষা করছে তার ব্যাটে! প্রথম ১৬ বলে করলেন মাত্র ২০ রান। পাওয়ার প্লে’র পরই বদলে ফেললেন নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা। যে ব্যাটিং করলেন তাকে আপনি নিশ্চিন্তে বলতে পারেন-বলের সুতো খুলে ফেলা ব্যাটিং! ৩১ বলে ৫০ রান পুরো হলো তার। কিন্তু মাত্র ওটুকুতে সন্তুষ্ঠ থাকতে ফাইনালে খেলেনি তামিম। বিপিএলে এটা তার প্রথম ফাইনাল। আর সেই ফাইনালকেই স্মরণীয় করে রাখলেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে। হাফসেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে গেলেন যেন চোখের পলকে। ৫০ বলে বিপিএলের ইতিহাসে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পুরো করলেন। যাতে ৮টি বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কা।

টি-টুয়েন্টিতে সেঞ্চুরি তোলার পর সবাই ভাবেন, অনেক হয়েছে। আর তামিমের ভাবনা যেন শুরুই হলো সেঞ্চুরির পর। কোন থামাথামি নেই। সামনে যে বল পাচ্ছেন সমানে পেটাচ্ছেন। বল কখনো বাতাসে ভেসে গ্যালারিতে। কখনো মাটি ছুঁয়ে বিদ্যুৎ গতিতে বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করছে। নিজের খেলা শেষ ১১ বলে তামিম করলেন ৩৮ রান। যা এলো ৪ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে।

তামিমকে থামাতে পারেনি ঢাকার বোলিং। ৬১ বলে হার না মানা ১৪১ রানের তার ঝড়ো ইনিংস এবারের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে চমকপ্রদ ও সেরা ব্যাটিংয়ের দাবিদার। দলের ১৯৯ রানের মধ্যে ১৪১ রানই তামিমের! তাও আবার স্ট্রাইকরেট ২৩১.৫০!

১০ বাউন্ডারি ও ১১ ছক্কায় সাজানো তামিমের এই ইনিংস কুমিল্লাকে ম্যাচের মাঝপথেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফির অর্ধেকটা এনে দিলো।

ম্যাচের বাকি অর্ধে কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে নিয়ে উল্লাসের আনুষ্ঠানিকতা সারলো মাত্র!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯৯/৩ (২০ ওভারে, তামিম ১৪১*, লুইস ৬, এনামুল ২৪, ইমরুল ১৭*, রুবেল ১/৪৮, সাকিব ১/৪৫)। ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৮২/৯ (২০ ওভারে, থারাঙ্গা ৪৮, রনি তালুকদার ৬৬, সাকিব ৩, পোলার্ড ১৩, নুরুল হাসান ১৮, মাহমুদুল হাসান ১৫, সাইফুদ্দিন ২/৩৮, ওয়াহাব রিয়াজ ৩/২৮, পেরেইরা ২/৩৫)। ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ফাইনাল: তামিম ইকবাল।

   

কন্তেকে ফিরিয়ে ফ্রান্সের ইউরো দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের মধ্য মাঠের অন্যতম সদস্য ছিলেন এনগোলো কন্তে। তবে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে। জাতীয় দলের হয়ে কন্তের সবশেষ ম্যাচটি ছিল ২০২২ সালের জুনে। এর পর থেকেই জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা মেলেনি কন্তের। গত গ্রীষ্মে চেলসি ছেড়ে এখন সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদের হয়ে খেলছেন তিনি। দুই বছর পর এবার সরাসরি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়েই জাতীয় দলে ফিরছেন ৩৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। 

আগামী ১৫ জুন জার্মানিতে শুরু হতে যাচ্ছে ইউরোর এবারের আসর। তার প্রায় মাসখানেক আগে ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশমের দলে সবচেয়ে বড় চমক কন্তেই। দেশমের মতে, কন্তের অভিজ্ঞতা ফ্রান্সকে বেশ এগিয়ে রাখবে। এদিকে ইউরোর এবারের আসরে প্রত্যেক দল সর্বোচ্চ ২৬ সদস্যের দল সাজাতে পারবে। এতে দলে আরও একজনকে ভেড়ানোর সুযোগ থাকছে ১৯৮৪ ও ২০০০ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। 

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরলেও কন্তেকে নিয়ে বেশ আশাবাদী দেশম। ফ্রেঞ্চ টিভি চ্যানেল টিএফ১ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কন্তেকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও ইউরোপীয় লিগে নয়, সৌদি আরবে, তবু সে পুরো একটা মৌসুম খেলে এসেছে। সে পুরোপুরি ফিট। আর তার যা অভিজ্ঞতা, তাতে আমি নিশ্চিত ফ্রান্স দল তাকে নিয়ে বেশ শক্তিশালীই হয়ে উঠবে।’

সবশেষ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোতে ফ্রান্স বরাবরই হট ফেভারেট। ২০১৬ ইউরো রানার্স-আপ, ২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন এবং ২০২২ বিশ্বকাপেও ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স। তবে ইউরোর আগের আসরে বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকেই। এবার সেই ব্যর্থতা ছাপিয়ে আরও একটি শিরোপার লড়াইয়েই নামবে দিদিয়ের দেশমের দল। 

এদিকে ফ্রান্সের এই দলে জায়গা মিলেছে ১৭ বছর বয়সী ওয়ারেন জাইরে-এমেরির। যিনি কিনা এখনো পার করেননি স্কুলের গণ্ডিই। এবং সামনে তার স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। এতে স্কুলের অনুমতি নিয়েই ইউরো খেলতে যাবেন পিএসজির এই তরুণ ফরোয়ার্ড।

ইউরোর আসন্ন এই আসরে শক্তিশালী গ্রুপ ডি তে আছে ফান্স। গ্রুপটির বাকি তিন দল নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া।  আগামী ১৭ জুন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে লস ব্লুজদের ইউরো যাত্রা। 

২০২৪ ইউরোর ফ্রান্স স্কোয়াড: 

গোলরক্ষক: আলফন্সে আরেওলা, মাইক মাইগনান, ব্রাইস সাম্বা.

ডিফেন্ডার: জোনাথন ক্লস, ইব্রাহিমা কোনাতে, উইলিয়াম সালিবা, জুলস কুন্দে, থিও এর্নান্দেজ, ফেরলান্দ মেন্দি, বেঞ্জামিন পাভার্দ, দায়ত উপামেকানো।

মিডফিল্ডার: এনগোলো কন্তে, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আদ্রিয়েন রাবিও, আঁতোয়ান গ্রিজমান, অরেলিয়াঁ চুয়ামেনি, ওয়ারেন জাইরে এমেরি, ইউসুফা ফোফানা

ফরোয়ার্ড: কিলিয়ান এমবাপে, ব্র্যাডলি বারকোলা, উসমান দেম্বেলে, কিংসলে কোমান, মার্কাস থুরাম, রান্দাল কোলো মুয়ানি, অলিভিয়ের জিরু

;

কোচ জাভির শততম ম্যাচে বার্সার জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিগ শিরোপাটা আগেই হাতছাড়া হয়েছে বার্সেলোনার। চার ম্যাচ হাতে রেখেই লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধারের কাজটা সেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতেই মৌসুমের বাকি অংশে বার্সেলোনার নজর কেবল শীর্ষে দুইয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখা। লিগ মৌসুমে আর কিছু পাওয়ার না থাকলেও গত রাতের ম্যাচটি কাতালানদের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি ছিল কোচ জাভি হার্নান্দেজের বার্সেলোনায় শততম লিগ ম্যাচ। 

ফের্মিন লোপেজের জোড়া গোলে আলমেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ২-০ ব্যবধানে জেতে বার্সেলোনা। এতে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে নিজেদের জায়গা আরও মজবুত করলো জাভি হার্নান্দেজের দলটি।

প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় বার্সা। এক্তোর ফর্তের ক্রসে দারুণ এক হেডের জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লোপেজ। এর ১৪ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে লামিনের ইয়ামালের দারুণ এক শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এতে ১-০ ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। 

এদিকে ঘরের মাঠে আলমেরিয়াও সুযোগ পেয়েছিল একাধিক। তবে কোনোটিই কাজে লাগে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো ৬৭তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে বসে তারা। সার্জিও রবের্তোর পাস ধরে ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় গোল করেন লোপেজ। এ নিয়ে চলতি এবং নিজের অভিষেক মৌসুমে ১০টি গোল করলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। 

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট ৭৯। সমান ম্যাচে তিনে থাকা জিরোনার পয়েন্ট ৭৫। 

;

দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশের, ৩ দল পায়নি একটি ম্যাচও  



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৩ দিন সময় হাতে রেখে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বেশ কিছুটা সময় হাতে নিয়েই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটিতে পৌঁছাল শান্ত-সাকিবরা। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এবার জানা গেল বিশ্বকাপের আগের নিজেদের ঝালিয়ে নিতে আরও দুটি ম্যাচ পাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের পর এবং বিশ্বকাপের মূলপর্ব শুরুর মাঝের সময়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এদিকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বের এই অংশে একটিও ম্যাচ পায়নি পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। 

ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, এটি জানা গিয়েছিল আগেই। এবার গতকাল এক বিবৃতিতে আইসিসি প্রস্তুতি পর্বের ম্যাচগুলোর সূচি প্রকাশ করলে জানা গেল তার দিনক্ষণও। ম্যাচটি হবে আগামী ১ জুন। তবে কোথায় এবং কখন শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত করে জানায়নি আইসিসি। 

এদিকে প্রস্তুতি অংশে বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ম্যাচটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিসিবি। কেননা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির সঙ্গে এর আগে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। অবশ্য শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতি সূচিতে উঠে গেছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচের দিনক্ষণ। সেই ম্যাচটি আগামী ২৮ মে। 

আগামী ২৭ জুন শুরু হয়ে ১ জুন পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের মোট ১৭টি প্রস্তুতি ম্যাচ। বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র খেলবে দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ। এদিকে নামিবিয়া খেলবে সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ। আরেক সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে একটি ম্যাচ। এর মধ্যে প্রোটিয়ারা আবার খেলবে নিজেদের মধ্যেই দুই দলে ভাগ হয়ে। 

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি মাঠ টেক্সাস, ফ্লোরিডায় এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর দুটি মাঠ ব্রায়ান লারা একাডেমি ও কুইন্স পার্ক ওভালে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। 

এক নজরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি। 

২৭ মে

কানাডা-নেপাল, টেক্সাস

ওমান-পাপুয়া নিউগিনি, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (ব্রায়ান লারা একাডেমি)

নামিবিয়া-উগান্ডা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (ব্রায়ান লারা একাডেমি)

২৮ মে

শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস, ফ্লোরিডা

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র, টেক্সাস

অস্ট্রেলিয়া-নামিবিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (কুইন্স পার্ক ওভাল)

২৯ মে

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তস্কোয়াড, ফ্লোরিডা

আফগানিস্তান-ওমান, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (কুইন্স পার্ক ওভাল)

৩০ মে

নেপাল-যুক্তরাষ্ট্র, টেক্সাস

স্কটল্যান্ড-উগান্ডা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (ব্রায়ান লারা একাডেমি)

নেদারল্যান্ডস-কানাডা, টেক্সাস

নামিবিয়া-পাপুয়া নিউগিনি, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (ব্রায়ান লারা একাডেমি)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (কুইন্স পার্ক ওভাল)

৩১ মে

আয়ারল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা, ফ্লোরিডা

স্কটল্যান্ড-আফগানিস্তান, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো (কুইন্স পার্ক ওভাল)

১ জুন

বাংলাদেশ-ভারত, যুক্তরাষ্ট্র (ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি)



;

গুজরাটের টানা দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত বৃষ্টিতে, প্লে-অফে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই বৃষ্টিতেই কপাল পুড়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হলে শেষ চারের স্বপ্নটাও শেষ হয় তাদের। আইপিএলে এবারই প্রথম প্লে-অফের আগে বিদায় নিল গুজরাট। নিজেদের প্রথম দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে গুজরাট, এর মধ্যে ২০২২ আসরে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। 

কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচটির পর এবার সানরাইজার্সের হায়দরাবাদের বিপক্ষে গুজরাটের ম্যাচটিও ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। গুজরাটের জন্য অবশ্য এই ম্যাচটি ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। তবে বৃষ্টির সুবাদের কপাল খুলেছে হায়দরাবাদের। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পয়েন্ট ভাগাভাগিতে আসরের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে কামিন্স-হেডরা। 

আসরের শুরু থেকেই ব্যাটিং বিধ্বংসী দলের তকমা পাওয়া হায়দরাবাদ ছিল দারুণ ছন্দে। শুরুর সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছিল তারা। তবে পরের চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে শেষ চারের রাস্তা কঠিন বানিয়ে ফেলেছিল প্যাট কামিন্সের দলটি। পরে নিজেদের ১২তম ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বড় জয় এবং গতকালের ১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। 

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের বৃষ্টির তীব্রতায় গতকালের ম্যাচটিতে গড়ায়নি টসও। পরে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। 

আইপিএলের ১৭তম এই আসরে এর আগেই শেষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে কলকাতা ও রাজস্থান। এতেই লড়াইটা এখন কেবল চতুর্থ স্থানের। যেই দৌড়েও আছে তিন দল, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ। আজ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে প্রথমপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নামবে লক্ষ্ণৌ এবং আগামীকাল বেঙ্গালুরুর মাঠে নামবে চেন্নাই। নেট রান রেট বিচারে আজকের ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের সম্ভাবনা একবারেই কম। এতেই আগামীকালের চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচের দিকে তাকিয়ে প্লে-অফের চতুর্থ ও শেষ দল। 

;