ফাইনালে লড়াইটা অলরাউন্ডারদেরও



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
অনুশীলনে ঢাকার তিন অলরাউন্ডার সাকিব-নারায়ন-রাসেল

অনুশীলনে ঢাকার তিন অলরাউন্ডার সাকিব-নারায়ন-রাসেল

  • Font increase
  • Font Decrease

-ভাল একজন অলরাউন্ডার ছিলো না আমাদের।

ফাইনালে খেলতে না পারার জন্য এই ব্যর্থতাকেই বড় কারণ মানছেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা।

মাশরাফির বিশ্লেষণে মোটেও ভুলকিছু নেই। ষষ্ঠ বিপিএলে যে দুটি দল ফাইনালে খেলছে প্রতি ম্যাচেই তাদের একাদশে অন্তত তিনজন ঝানু অলরাউন্ডার খেলেছে।

নামগুলো জানি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: শহীদ আফ্রিদি। তিসারা পেরেইরা। ওয়াহাব রিয়াজ। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

ঢাকা ডায়নামাইটস: সুনিল নারায়ন। আন্দ্রে রাসেল। কাইরন পোলার্ড এবং সাকিব আল হাসান।

কুমিল্লা ও ঢাকা এই যে বিপিএলের ফাইনালে খেলছে তাতে দলীয় সাফল্যের অন্যতম কারিগর অলরাউন্ডাররাই। এই তারকারা যে ম্যাচে বোলিংয়ে দক্ষতা দেখাতে পারেননি সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে দলের দুঃশ্চিন্তা দুর করেছেন। আবার ব্যাটিংয়ে সাফল্য না পাওয়া ম্যাচে নিজের কার্যকারিত বুঝিয়ে দিয়েছেন বল হাতে। এর মধ্যে আবার ব্যাটে-বলে এক ম্যাচে দুই বিভাগেও পারফরমেন্সের ঘটনা কম নয়।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ ম্যাচ খেলেছেন তিসারা পেরেইরা। শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডার এই ১০ ম্যাচে ১৫১ রান করেছেন। ম্যাচ জয়ী একটা অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসও আছে তার। মুলত লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই তাকে খেলাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষের দিকে নেমে ধুমধাড়াক্কা হাঁকিয়ে বলের চেয়ে রানের দ্বিগুণ হিসেবকে সহজ করে দিতে ওস্তাদ ব্যাটসম্যান পেরেইরা। টুর্নামেন্টে খুব বেশি ওভার করেননি এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১৭ ওভারে উইকেট পেয়েছেন ৫টি। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাকে বল করতে ডাকেন অধিনায়ক। এই ফরমেটের ক্রিকেটে ব্যাটে-বলে দলের চাহিদা মেটাতে দারুণ ওস্তাদ ক্রিকেটার তিসারা পেরেইরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/07/1549543337889.jpg

শহিদ আফ্রিদি তো বয়সকে হার মানিয়ে দিচ্ছেন। ফাইনালের প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার মিরপুরে লম্বা সময় ধরে নেটে ব্যাটিং করলেন। ছক্কা-চারের ঝড় তোলেন অনুশীলনেও। ম্যাচেও এমন মারকাটারি ব্যাটিংই করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। প্রায় অসম্ভব অবস্থান থেকে ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে পারঙ্গম আফ্রিদি। শেষ তিন ওভারে ম্যাচ জিততে ৪০ রানের প্রয়োজন থাকলেও আফ্রিদি উইকেটে থাকলে ব্যাটিং দলের স্বপ্নটা সবুজ থাকে। এবারের টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই সেই দক্ষতা দেখিয়েছেন আফ্রিদি।

ঢাকা ডায়নামাইটেসের শক্তির আধারই হলো দলে চার অলরাউন্ডার। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ চার অলরাউন্ডার এই দলে। সুনিল নারায়ন, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোর্লাড, সাকিব আল হাসান; এই চারের যে কোন একজন যেদিন ব্যাটে-বলে বিস্ফোরিত হবেন সেদিন প্রতিপক্ষ উড়ে যায় তুলোর মতো!

শুক্রবারের ফাইনালে ঢাকার বাড়তি সুবিধাটা হলো তাদের চার অলরাউন্ডারের চারজনাই এখন দারুণ ফর্মে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন স্বীকার করে নিলেন-‘দলে শক্তির ভারসাম্য আনতে অলরাউন্ডারদের বড় একটা ভুমিকা থাকে। ঢাকার বাড়তি সুবিধা হলো তাদের দলে তিন-চারজন দক্ষ অলরাউন্ডার আছে। যারা একাদশে একেক জন দুজনের কাজ করে দেয়। কুমিল্লারও অলরাউন্ডার আছে। তবে এই বিভাগে ঢাকা অবশ্যই এগিয়ে। আর কুমিল্লার শক্তিটা হলো সম্মিলিত দলীয় শক্তি।’

ফাইনালে দু’দলের অলরাউন্ডারদের পারফরমেন্সের এক ঝলক

দল: ঢাকা ডায়নামাইটস    
খেলোয়াড়        ম্যাচ        রান        উইকেট    
সাকিব          ১৪          ২৯৮         ২২
রাসেল          ১৪            ২৯৫        ১৪
নারায়ন        ১৪          ২৭৯        ১৮
পোলার্ড        ১১          ২০৯        ১


দল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
খেলোয়াড়        ম্যাচ        রান        উইকেট    
আফ্রিদি        ১২        ১৪১        ১৬
তিসারা          ১০        ১৫১        ৫
ওয়াহাব রিয়াজ    ৯        ১৭        ১৩
সাইফুদ্দিন        ১২        ৪১        ১৮

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;