মাঠে আসা এবং খেলা-ই এখন খুলনার শেষ আশা!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চিটাগং থেকে
হতাশ টাইটানস কোচ মাহেলা জয়াবর্ধানে

হতাশ টাইটানস কোচ মাহেলা জয়াবর্ধানে

  • Font increase
  • Font Decrease

নামটা সুন্দর; খুলনা টাইটানস!

তবে ষষ্ঠ বিপিএলে  নামের সৌন্দর্য্যের বাইরে আর কিছু করতে পারেনি টাইটানসরা! ৯ ম্যাচে হার ৭টিতে। জয় মাত্র দুটিতে। টুর্নামেন্টের সেই শুরুর দিন থেকে পয়েন্ট তালিকার একেবারে নিচে খুলনা। উপরে উঠা আর হলো না তাদের। এখনো সেই তলানিতেই।

গ্রæপ পর্বে তাদের বাকি আর তিন ম্যাচ। এই তিন ম্যাচ জিতলেও খুলনার সম্ভাবনার নিক্তিতে তেমন ভর নেই। বাস্তবতাটা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজে জানেন। আর তাই দলের প্রতি তার শেষ আহবান-‘অন্যকিছু নয়, শুধু নিজেদের জন্যই এখন আমাদের খেলতে হবে।’

চিটাগংয়ে এসে খুলনার পেসার শুভাশীষ রায়ের গলায়ও প্রায় একই কথা শোনা গেলো-‘আমাদের হারানোর আর কিছু নেই। মাঠে আসবো। নিজেদের শতভাগ দিবো। ভাল খেলবো। ভালভাবে শেষ করবো এটাই আমাদের ইচ্ছা।’

খুলনার সেই শেষের শুরুর এক ম্যাচ ২৬ জানুয়ারি, শনিবার। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ সিলেট সিক্সার্স। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।

সঞ্চয়ে আছে মাত্র ৪ পয়েন্ট। দুই ম্যাচে জয়। শনিবারেরটা সহ বাকি তিন ম্যাচে জিতলে খুলনার পয়েন্ট হবে সাকুল্যে ১০। এরই ফাঁকে পয়েন্ট তালিকার উপরের তিন দল যদি তাদের ম্যাচগুলো লাগাতার হারে তবেই খুলনার প্লে’ অফের রাস্তা তৈরি হতে পারে।

খালি পায়ে বরফের পাহাড়ে অক্সিজেন ছাড়া উঠার মতোই কঠিন সেই রাস্তা! সেই বাস্তবতা মেনেই শুভাশীষ রায় বললেন-‘আসলে এখন অতকিছু নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। এখন একটাই চিন্তা, মাঠে যাবো। খেলবো। প্রতিটা ম্যাচই জেতার চেষ্টা করবো। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’

টি-টুয়েন্টিতে জেতার জন্য টিম কম্বিনেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কম্বিনেশনে সেই স্থিরতা খুঁজে পায়নি খুলনা। টানা অনেক ম্যাচ হারার পর ব্রেন্ডন টেইলরকে একাদশে আনে। কিন্তু ততক্ষনে বেশ দেরি হয়ে গেছে। কার্লোস ব্রাথওয়েট ম্যাচ উইনার হতে পারেননি। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে নিশ্চিত জয়ী ম্যাচটা টাই হলো। সুপার ওভারে হেরে গেল খুলনা।

প্রথম চার ম্যাচে হার। পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়। আবার টানা তিন ম্যাচে হার। নবম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়। সাফল্যের এই অধারাবাহিক গ্রাফটাই জানান দিচ্ছে এবারের বিপিএলে খুলনা টাইটানস সুখকর সময় কাটাতে পারেনি।

প্রতি ম্যাচেই টাইটানসের ডাগআউটে একটা চিত্র নিয়মিত; গালে হাত দিয়ে বসে আছেন প্রধান কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। হারের ভারে ন্যূব্জ কোচ। হতাশ। চিন্তিত। এই ছবিটাই এবারের বিপিএলে খুলনা টাইটানসের বাস্তবিক পোস্টার!

টাইটান-এই বিশেষ্যের উদ্ভব মুলত গ্রিক পৌরনিক উপাখ্যান থেকেই। যেখানে টাইটানস শব্দের আভিধানিক ব্যাখা হলো, ঈশ্বরের জাতি। আজকের সময়ের টাইটান বলতে মানা হয় ঈশ্বর সমান বা ডেমি গড। স্বক্ষেত্রে যিনি হবেন ক্ষমতাবান, প্রভাবশালী, বিপুল পরাক্রমশালী।

মাঠে, ব্যাটে-বলে বা ডাগআউটে তেমন কার্যকর কাউকে যে এবারের বিপিএলে খুলনা টাইটানস খুঁজেই পেলো না। শুধু নামেই সার!

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;