রেকর্ড গড়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। তবে সেই তানজিম হাসান সাকিব আজ পেলেন একটা দুঃসংবাদ। ম্যাচে ‘অশোভন আচরণ’ করে আইসিসির শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রোহিত পোড়েলের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সাকিব তার জবাব তো দিয়েছেনই, সঙ্গে রোহিতকে আলতো ধাক্কা দিয়েছেন। পরে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে বিষয়টা সমাধান হয়।
সে ঘটনার জেরে আজ তানজিম শাস্তি পেয়েছেন। তাকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসি জানিয়েছে, আচরণবিধির ২.১২ ধারা ভেঙেছেন তিনি। যে ধারা মূলত একজন খেলোয়াড়, একজন সাপোর্ট পার্সোনেল, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে (আন্তর্জাতিক ম্যাচে একজন দর্শকসহ) অনুপযুক্ত শারীরিক যোগাযোগের সাথে সম্পর্কিত।
তার বিরুদ্ধে আইসিসিতে নালিশটা দিয়েছেন আম্পায়ার আহসান রাজা, স্যাম নোগাজস্কি, সঙ্গে তৃতীয় আম্পায়ার জয়রামন মদনগোপাল এবং চতুর্থ আম্পায়ার কুমারা ধর্মসেনা।
তানজিম সাকিব তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। যার ফলে প্রয়োজন পড়েনি কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির।
Jamaat's review petition to restore caretaker government system
No decision yet on the resignation of the President: Press Secretary to the Chief Adviser
BNP does not want a new political crisis in the country: Nazrul Islam Khan
Killings in the movement: UN fact-finding team may take a long time to investigate
দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। সে কারণে বন্ধ ছিল খেলা। এর ৮০ মিনিট পর আবারও মাঠে গড়াল খেলা। আজকের দিনে খেলা হবে আর ৩৮ ওভার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা ছিল আজকের দিনে বৃষ্টি থাকতে পারে। সকালে খানিকটা বৃষ্টির ফোঁটার দেখা মিলেছে, তবে তাতে খেলা বন্ধ হয়নি। আজ দুপুর নাগাদ বৃষ্টি এল আবার, এবার খেলা না বন্ধ করে উপায় ছিল না।
তার আগে মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে টেস্ট অভিষেকেই ফিফটি তুলে নেন জাকের। ১৬তম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি গড়েন এ কীর্তি। এরপর কেশভ মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৫৮ রান।
এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ তার লড়াইটা চালিয়ে গেছেন নাইম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে। দুজন মিলে অষ্টম উইকেট জুটিতে বৃষ্টির আগে যোগ করেছিলেন ১৭ রান। মিরাজ ৭৭ ও নাইম ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন।
বেলা ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ শুরু হওয়া এই বৃষ্টি থেমে গেছে কিছু পরেই। শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের উন্নত ড্রেনেজ সিস্টেমের কারণে খেলা শুরু করতে বেশি দেরি হয়নি। বিকেল ৩টায় মাঠে ফেরে দুই দল।
খেলা মাঠে ফিরলেও আলোকস্বল্পতা আছে যথেষ্ট। যে কারণে পেসারদের ব্যবহার করতে পারছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮০ ওভার হয়ে গেলেও তাই পুরোনো বলেই খেলা চলছে এখনও।
রিয়াল মাদ্রিদ রীতিমতো এক বিস্ময়ের জন্ম দিল। মনে হচ্ছিল বুঝি ম্যাচটা হেরেই যাচ্ছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কিন্তু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও জন্ম দিল রূপকথার। আর সেই প্রত্যাবর্তনের গল্পে রূপকথার নায়ক ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে দিলে কতোটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন তার প্রমাণ মিলল আরও একবার!
ভিনি জুনিয়রের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে মঙ্গলবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিল কার্লো আনচেলত্তির দল। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো রিয়াল ৩৩ মিনিটের মধ্যে করল পাঁচটি গোল!
অথচ প্রথমার্ধে চার মিনিটের মধ্যে ডোনিয়েল মালেন ও জেমি গিটেন্সের গোলে জার্মান দল ডর্টমুন্ড নিয়েছিল লিড। মনে হচ্ছিল এবার হারতে যাচ্ছে জায়ান্টরা। কিন্তু দলটার নাম যে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের এমন জেগে ওঠার গল্প নতুন কিছু নয়। বরং আরও একবার জন্ম হলো নতুন বিস্ময়ের!
আর সেই বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে ইতিহাসের নায়ক বনে গেলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এই ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে দাপট দেখাল রিয়াল। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ অব্দি আনন্দে ভাসল দলটির সমর্থকরা।
দুই গোল হজম করেই যেন এদিন পথ খুঁজে নেয় রিয়াল। খেলার ৬০তম মিনিটে এক গোল শোধ করে দলটি। কিলিয়ান এমবাপের দারুণ ক্রসে গোল করেন রুডিগার (১-২)। এর দুই মিনিট পর সমতা ফেরায় তারা। শুরু হয় ভিনি ম্যাজিক। ৮৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। কোর্তোয়ার পা থেকে বল পেয়ে নিশানা খুঁজে নেন ভাসকেস।
৮৬তম মিনিটে ফের ভিনির গোল। এরপর ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে তুলে নেন হ্যাটট্রিক গোলটি। এমন সাফল্যের পর ভিনিসিয়ুস বন্দনায় মাতলেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বলছিলেন, 'আমার মনে হয় ভিনিসিয়ুসই ব্যালন ডি’অর জিতবে। তবে সেটি আজ রাতের পারফরম্যান্সের জন্য নয়। সে গত মৌসুমে যা করেছে, সেটার জন্য। এই ৩ গোল তাকে পরের ব্যালন ডি’অর জিততে সাহায্য করবে!'
এই জয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম উঠল রিয়াল। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ডর্টমুন্ড।
তৃতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ লিড নিয়েছে। মেহেদি হাসান মিরাজ আর জাকের আলী অনিক করেছিলেন ফিফটি, দুজন মিলে গড়েছিলেন রেকর্ড জুটি, তা এগোচ্ছিল ভালোভাবেই। তবে জাকের আলীর বিদায়ে ভাঙল তা। এর কিছু পরেই বৃষ্টি বাগড়া দিল ম্যাচে। খেলা এখন বন্ধ আছে তাতে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৃতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির কিছু পরে নেমেছে এ বৃষ্টি। বৃষ্টির আগে স্বাগতিকদের রান ছিল ৭ উইকেট খুইয়ে ২৬৭ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ৭৭ ও নাইম হাসান ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা ছিল আজকের দিনে বৃষ্টি থাকতে পারে। সকালে খানিকটা বৃষ্টির ফোঁটার দেখা মিলেছে, তবে তাতে খেলা বন্ধ হয়নি। আজ দুপুর নাগাদ বৃষ্টি এল আবার, এবার খেলা না বন্ধ করে উপায় ছিল না। ইতোমধ্যে মিরপুরের সবকটা উইকেট ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
তার আগে মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে টেস্ট অভিষেকেই ফিফটি তুলে নেন জাকের। ১৬তম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি গড়েন এ কীর্তি। এরপর কেশভ মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৫৮ রান।
সকালে শঙ্কা ছিল। দুপুরে তৈরি হলো সম্ভাবনা।
রাবাদার এক ওভারে আগের দিনের দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিক রহিম আউট হতেই প্রেসবক্স, গ্যালারি এবং বাংলাদেশ দলের ডাগআউট সর্বত্রই তখন একটা আশঙ্কা- ইনিংস হার এড়ানো গেল না তাহলে!
সেই শঙ্কা দুপুরে উবে গেল। বাংলাদেশ লাঞ্চের পরপরই ম্যাচে লিডও নিয়ে ফেলল। নাটকীয়ভাবে এই ঘুরে দাড়ানোর কারিগর দুজন- মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে একশ’র বেশি রান যোগ করে ম্যাচে বাংলাদেশকে শঙ্কার গর্ত থেকে টেনে তুলে সম্ভাবনার পথে নিয়ে এলেন। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করলেন। টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য হাফসেঞ্চুরি নতুন কিছু নয়। ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি এটি তার।
অন্যদিকে জাকের আলী তার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুই করলেন হাফসেঞ্চুরির আনন্দ দিয়ে। প্রথম ইনিংসে বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলেন জাকের। নিজের অভিষেক টেস্টকে স্মরনীয় করে রাখার উপলক্ষ্যটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
লাঞ্চের খানিকবাদে এই রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২৩৪ রান। ম্যাচে তখন বাংলাদেশের লিড ৩২ রানের। সপ্তম উইকেটে এই দুজনের ব্যাটিং জানান দিল মিরপুরের এই উইকেটে খেলতে জানলে টিকে থাকা সম্ভব। এবং আরো সম্ভব রান করা।
সকালে শুরুর বোলিংই সামাল দিতে পারেননি জয়, মুশফিক ও লিটন। কাগিসো রাবাদার এক ওভারে জয় ও মুশফিক ফিরে যাবার পর মহারাজের স্পিনে কাটা পড়েন লিটন দাস। এই তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ শিবিরে ইনিংস হারের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজ এবং জাকের আলী অনিক সপ্তম উইকেটে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন। রক্ষনের সঙ্গে আক্রমণের মিশেলে এই জুটির ব্যাটিং বাংলাদেশের সম্ভাবনা জাগালো এবং সেই সঙ্গে আফসোসও কিছুটা ছড়ালো-উইকেট যদি আরো কয়েকটা কম পড়তো! মুশফিক অথবা লিটন যদি সকালে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকতে পারতেন?