দেখে নিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন দলে কারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে পর্দা উঠবে এই ক্রিকেট মহাযজ্ঞের। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ২০ দলের স্কোয়াড এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। চলুন বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া সব দলের স্কোয়াডে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক...

গ্রুপ এ

কানাডা

কোচ: পুবুদু দাসানায়েকে

স্কোয়াড: নাভনীত ধালিওয়াল, অ্যারন জনসন, রাভিন্দেরপাল সিং, কানওয়ারপাল তাথগুর, শ্রেয়াস মোভা, ডিলন হেইলিগার, দিলপ্রীত বাজওয়া, হার্শ ঠাকের, জেরেমি গর্ডন, সাদ জাফর (অধিনায়ক), জুনায়েদ সিদ্দিকী, কালিম সানা, নিকোলাস কিরটন, পারগাত সিং ও রাইয়ান খান পাঠান

ভারত

কোচ: রাহুল দ্রাবিড়

স্কোয়াড: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, যশস্বী জয়সোয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশাভ পান্ত, সঞ্জু স্যামসন, শিভম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ

আয়ারল্যান্ড

কোচ: হাইনরিখ মালান

স্কোয়াড: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডেয়ার, রস অ্যাডেয়ার, অ্যান্ড্রু বালবির্নি, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, জশ লিটল, ব্যারি ম্যাকার্থি, নিল রক, হ্যারি টেক্টর, লোরকান টাকার, বেন হোয়াইট ও ক্রেইগ ইয়ং

পাকিস্তান

কোচ: গ্যারি কারস্টেন

স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, উসমান খান, আজম খান, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্র

কোচ: স্টুয়ার্ট ল

স্কোয়াড: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোনস, শায়ান জাহাঙ্গীর, আন্দ্রিস গউস, নীতিশ কুমার, স্টিভেন টেইলর, হারমিত সিং, কোরি অ্যান্ডারসন, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ প্যাটেল, শাডলি ফন শকউইক, আলী খান, জেসি সিং, সৌরভ নেত্রভালকার ও নশতুশ কেনজিগে

 

গ্রুপ বি

অস্ট্রেলিয়া

কোচ: অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড

স্কোয়াড: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হ্যাজেলউড, জশ ইংলিস, অ্যাশটন অ্যাগার, ক্যামেরন গ্রিন ও নাথান এলিস

ইংল্যান্ড

কোচ: ম্যাথু মট

স্কোয়াড: জশ বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, জফরা আর্চার, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারেন, বেন ডাকেট, টম হার্টলি, উইল জ্যাকস, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, রিস টপলি এবং মার্ক উড

নামিবিয়া

কোচ: পিয়ের দে ব্রুইনা

স্কোয়াড: গেরহার্ড ইরাসমাস (অধিনায়ক), জেন গ্রিন, মাইকেল ফন লিঙ্গেন, ডিলান লেইচার, রুবেন ট্রাম্পেলমান, জ্যাক ব্রাসেল, বেন শিকঙ্গো, টানজেনি লুঙ্গামেনি, নিকো ডাভিন, জেজে স্মিট, ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক, জেপি কোটজে, ডেভিড ভিসা, বার্নার্ড শলটজ, মালান ক্রুগার ও পিডি ব্লিনট

ওমান

কোচ: দুলীপ মেন্ডিস

স্কোয়াড: আকিব ইলয়াস (অধিনায়ক), প্রতীক আথাভালে, মেহরান খান, খালিদ কাইল, নাসিম খুশি, কশ্যপ প্রজাপতি, শোয়েব খান, জিশান মাকসুদ, মোহাম্মদ নাদিম, আয়ান খান, বিলাল খান, ফাইয়াজ বাট, শাকিল আহমেদ, কলিমউল্লাহ ও রাফিউল্লাহ

স্কটল্যান্ড

কোচ: ডগ ওয়াটসন

স্কোয়াড: রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথু ক্রস, ব্র্যাড কারি, ক্রিস গ্রিভস, ওলি হেয়ারস, জ্যাক জারভিস, মাইকেল জোনস, মাইকেল লিস্ক, ব্র্যান্ডন ম্যাকমালেন, জর্জ মানসি, সাফয়ান শারিফ, ক্রিস সোল, চার্লি টিয়ার, মার্ক ওয়াট ও ব্র্যাড হুইল

 

গ্রুপ সি

আফগানিস্তান

কোচ: জোনাথান ট্রট

স্কোয়াড: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইশাক, মোহাম্মদ নবী, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান (অধিনায়ক), করিম জানাত, নাঙ্গয়াল খারোটি, মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফজলহক দারুকি ও ফরিদ আহমেদ মালিক

নিউজিল্যান্ড

কোচ: গ্যারি স্টিড

স্কোয়াড: কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপমান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি ও টিম সাউদি

পাপুয়া নিউ গিনি

কোচ: তাতেন্দা তাইবু

স্কোয়াড: আসাদোল্লাহ ভালা (অধিনায়ক), সিজে আমিনি, আলেই নাও, চাদ সোপের, হিলা ভারে, হিরি হিরি, জ্যাক গার্ডনার, জন কারিকো, কাবুয়া ভাগি মোরেয়া, কিপলিং ডোরিগা, লেগা সিয়াকা, নরমান ভানুয়া, সেমা কামিয়া, সেসে বাউ ও টনি উরা

উগান্ডা

কোচ: অভয় শর্মা

স্কোয়াড: ব্রায়ান মাসাবা (অধিনায়ক), সাইমন সেসাজি, রজার মুকাসা, কসমাস কেয়ুতা, দীনেশ নাক্রানি, ফ্রেড আচেলাম, কেনেথ ওয়াইসোয়া, অল্পেশ রামজানি, ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা, হেনরি সেনয়োন্দো, বিলাল হাসান, রবিনসন ওবুয়া, রিয়াজাত আলী শাহ, জুমা মিয়াজি ও রোনাক প্যাটেল

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কোচ: ড্যারেন স্যামি

স্কোয়াড: রভম্যান পাওয়েল, আলজারি জোসেফ, জনসন চার্লস, রস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শেই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মোটি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড

 

গ্রুপ ডি

বাংলাদেশ

কোচ: চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে

স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব

নেপাল

কোচ: মন্টি দেসাই

স্কোয়াড: আসিফ শেখ, দীপেন্দ্র সিং আইরি, কুশল ভুর্তেল, সানদীপ জোরা, রোহিত পদেল (অধিনায়ক), কারান কেসি, কুশল মাল্লা, প্রাতিস জিসি, সোমপাল কামি, অনীল সাহ, অবিনাশ বোহারা, গুলশান ঝা, ললিত রাজবংশী, কমল আইরি ও সাগর ধাকাল

নেদারল্যান্ডস

কোচ: রায়ান কুক

স্কোয়াড: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আর‍য়ান দত্ত, বাস ডে লিড, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, লোজ্ঞান ফন বাইক, ম্যাক্স ও’ডোড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকেরেন, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রাখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গল, বিক্রম সিং, ভিভ কিংমা ও ওয়েসলি বারেসি

দক্ষিণ আফ্রিকা

কোচ: রব ওয়াল্টার

স্কোয়াড: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিক্স, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, ওটনিল বার্টম্যান, জেরাল্ড কোয়েটজি, কেশব মহারাজ, বিয়র্ন ফরটুইন, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা ও তাবরাইজ শামসি

শ্রীলঙ্কা

কোচ: ক্রিস সিলভারউড

স্কোয়াড: ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), চরিথ আসালাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিসাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মহীশ থিকশানা, দুনিথ ওয়েলালাগে, দুশমন্থা চামিরা, নুয়ান থুশারা, মাথিশা পাথিরানা ও দিলশান মাদুশাঙ্কা

   

রেকর্ডের পাতায় তানজিম সাকিবের নাম

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালকে হারানোর মাধ্যমে আজ গ্রুপপর্বের লড়াই শেষ করল বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে নেপালকে দেওয়া মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্যও আটকে দিল টাইগাররা। বিশেষ করে বাংলাদেশের পেসাররা এদিন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।

ইদের আনন্দ বাড়িয়ে তোলার এই জয়ের দিনের মূল নায়ক টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। বল হাতে নিজের সেরাটাই করে দেখিয়েছেন তিনি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব, যেখানে আবার ছিল দুইটি মেইডেন ওভার। নেপালের টপ অর্ডারকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের এই দিনে বাংলাদেশ দল এবং সাকিব গড়েছেন একের অধিক রেকর্ড। চলুন সে কীর্তিগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১০৬

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পূর্ণ ২০ ওভারের ম্যাচে এটিই ছিল যেকোনো দলের সফলভাবে সবচেয়ে কম রানে বিপক্ষ দলকে আটকে দেওয়া। এর আগের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে, গেল সপ্তাহে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা ১১৩ রান ডিফেন্ড করেছিল।

৪-২-৭-৪

এবারের বিশ্বকাপে পুরো ৪ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভালো বোলিং স্পেল। সব মিলিয়েও এটিই রেকর্ড।

২১ ডট

তানজিম হাসান সাকিবের আজকের ম্যাচে করা ২১টি ডট বল পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলায় যেকোনো বোলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি।

যৌথভাবে তানজিম সাকিব এবং মুস্তাফিজুর রহমান নেপালের বিপক্ষে ৭ রান করে দিয়েছেন, যা পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে কম রান। এতে রিশাদ হোসেনের সাথে এই দুইজনের নামও যোগ হলো, এই বছরের শুরুতে হিউস্টনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে রিশাদ এই কীর্তি গড়েছিলেন।

৮৫

বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের মোট ৮৫ রান সংগ্রহ করে পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর, যেখানে দল অলআউট হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে নরওয়ের জার্মানির বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ৭৬ রানে এবং ক্যামেরুনও ২০২২ সালে ঘানার বিপক্ষে ৭৬ রানে অলআউট হয়েছিল।

১০৬

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের করা ১০৬ রান পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির পূর্ণ সহযোগী সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সর্বনিম্ন ৮৮ রানে অলআউট হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের ১০৬ রানে অলআউট হওয়া পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সহযোগী সদস্য দল হিসেবে পঞ্চম-নিম্নতম। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বনিম্ন অলআউট ছিল ১০৮ রানে।

;

আমরা বিশ্বাস করেছি যে জিতব: শান্ত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে নেপালকে হারিয়েই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে দেশে ক্রিকেটপ্রেমীদের এবং সকল টাইগার সমর্থকদেরই ইদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে ২১ রানের এই থ্রিলিং জয়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের মনের অবস্থা। প্রকাশ করেছেন যে তারা কতটা আনন্দিত!

এত কম রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি দলের ক্রিকেটাররা। বল হাতে নিজেদের সেরাটাই যেন মাঠে ঢেলে দিয়েছেন টাইগার বোলাররা। শুরুতে ব্যাট হাতে বেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলীয় ১০৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানেই সবকটি উইকেট হারায় নেপাল।

ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, 'আমরা যেভাবে এই রাউন্ডে খেলেছি খুব খুশি। আশা করি আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স এভাবে ঠিক রাখব। আমরা খুব বেশি রান করেছি তা না তবে আমরা বিশ্বাস করেছি যে আমরা জিততে পারব। ম্যাচে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, আমরা জানতাম উইকেট নিতে পারব এবং এই রানে জিততে পারব।'

ফিল্ডার ও বোলারদের আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন তিনি, 'ফিল্ডাররাও ভালো করেছে। আমাদের সবকিছুই ঠিক হয়েছে, পেস বোলাররা সত্যিই দারুণ করেছে। এই ফরম্যাটে বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি তারা এমনই থাকবে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি আমরা এটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।'

বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দল বেশ ভালো ফর্মে থাকলেও ব্যাট হাতে একদমই ছন্দে নেই টাইগার ব্যাটাররা, বিশেষ করে অধিনায়ক নিজেই। অতি শীঘ্রই এই রানখরা কাটিয়ে উঠে ফর্মে ফিরবেন টাইগার ব্যাটাররা, এমনটাই আশা করেন তিনি।

;

বিদায়বেলায় জয়ের হাসি লঙ্কানদের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ-নেপাল থ্রিলার ম্যাচের ফলে বেশিরভাগ মানুষই হয়তো শ্রীলংকা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচটি দেখেননি। তবে সেই ম্যাচের খোঁজ ঠিকই রাখছিলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের সমর্থকরা। কারণ নেপালের বিপক্ষে হেরে বসবে টাইগাররা, এমনটাই মনে করছিলেন বেশিরভাগ দর্শক। আর এমনটা হলেই নিজেদের সুপার এইটের টিকিট পাওয়ার জন্য লঙ্কানদের জয়ের অপেক্ষায় থাকা লাগত বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের।

তবে শেষ পর্যন্ত সকল সমীকরণের ফাঁদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নেপালকে হারিয়ে দিয়েই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। অপরদিকে ডাচদের বিপক্ষেও সহজ জয় তুলে ৮৩ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এতে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল তারা।

এদিন টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই ধাক্কা খেলেও পরে সামলে উঠে তারা। কুশল মেন্ডিসের ২৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে ভর করে রানের গতি সচল রাখে তারা। পরে চারিথ আসালাংকার ২১ বলে ৪৬ এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অপরাজিত ১৫ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসের মাধ্যমে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় হাসারাঙ্গার দল।

জবাবে ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনা করে ডাচরা। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকে তারা। কারণ এছাড়া আর উপায়ও ছিল না তাদের হাতে, কারণ বাংলাদেশকে টপকে সুপার এইটে জায়গা করে নিতে হলে রানরেটে এগিয়ে থাকতে হতো তাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নেপালকে হারিয়ে দেওয়ায় আর কোন সমীকরণই কাজে আসেনি।

ব্যাট হাতে নেদারল্যান্ডসের কেউই এদিন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই সবকটি উইকেট হারায় ডাচরা, স্কোরবোর্ডে তাদের রান তখন ১১৮। বোলারদের নৈপুণ্যে ৮৩ রানের দাপুটে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ আসর শেষ হয়ে গেলেও শেষটা তারা করেছে দারুণভাবেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

শ্রীলঙ্কাঃ ২০১/৬ (২০ ওভার); আসালাংকা ৪৬, কুশল ৪৬; ফন বিক ২-৪৫, কিংমা ১-২৩

নেদারল্যান্ডসঃ ১১৮ (১৬.৪ ওভার); লেভিট ৩১, এডওয়ার্ডস ৩১; থুশারা ৩-২৪, হাসারাঙ্গা ২-২৫

ফলাফলঃ শ্রীলঙ্কা ৮৩ রানে জয়ী

ম্যাচসেরাঃ চারিথ আসালাংকা

;

যেভাবে এমন সফল তানজিম সাকিব

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের হাতে পুঁজিটা বড় ছিল না। ১০৬ রানের পুঁজিও অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে অবলীলায় রক্ষা করে ফেলছে দলগুলো। কিন্তু তার জন্য প্রক্রিয়াটা তো শুরু করা চাই! তানজিম হাসান সাকিব সেটাই করে দিয়েছিলেন আজ। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট। আর তাতেই বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে আসে ভালোভাবে। 

পরের গল্পটা আপনিও জানেন। বাংলাদেশ সে নেপালকে হারিয়েছে ২১ রানের ব্যবধানে। তানজিম জানালেন, পুঁজিটা যখন ছোট ছিল, তখন নিজেদের শান্ত রাখাটাই সবচেয়ে বড় কাজ ছিল। তার কথা, ‘আর সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ঘাবড়ে যাইনি। আমরা জানতাম এই রান নিয়ে আমরা জিততে পারব।’

এরপর আসল বোলিং প্রসঙ্গ। তানজিমের কথা, ঠিক জায়গায় বল করাতেই মিলেছে সাফল্য। তার কথা, ‘কাজগুলো যত সহজভাবে করা যায়, আমরা তাই করতে চেয়েছি। আমরা ভালো জায়গায় বল করতে চেয়েছি।’

সে কাজটা দলের বোলাররা ভালোভাবেই সেরেছে, বিশ্বাস সাকিবের। তার কথা, ‘বোলিং অ্যাটাক হিসেবে আমরা বেশ ভালো বল করেছি। এ কারণেই আমরা স্কোরটা ডিফেন্ড করতে পেরেছি।’

নিজের বোলিংয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আগ্রাসী হতে চেয়েছিলাম, আমার পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাইছিলাম। এখানে রান করা সহজ ছিল না। আমরা আমাদের লাইন লেন্থ ঠিক রেখেছি, আর এটাই কাজে দিয়েছে।’

এবার বাংলাদেশের সামনে সুপার এইটের বৈতরণী। সে মঞ্চটা নিয়ে পুরো দল রোমাঞ্চিত, জানান তানজিম। তার কথা, ‘আমরা সুপার এইটের জন্য রোমাঞ্চিত। আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি আমরা সেখানেও ভালো করব।’

;