‘ভুল’ চিকিৎসার শিকার ইহসানউল্লাহ, মেডিকেল বোর্ড গঠন পিসিবির



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পিএসএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে পাকিস্তান জাতীয় দলে ডাক পান তরুণ পেসার ইহসানউল্লাহ। দেশের হয়ে খেলেন ৫টি টি-টোয়েন্টি। এরপর আর চোটের কারণে এগোয়নি ক্যারিয়ার। খেলতে পারেননি সবশেষ পিএসএলেও। দলের অন্যতম সেরা পেসারকে না পাওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দিকে আঙুল তুলেন পিএসএলে তার দল মুলতান সুলতানের মালিক। অভিযোগ করেন, পিসিবির ভুল চিকিৎসাতেই আরও গুরুতর হয়েছে ইহসানউল্লাহর চোট।

তার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই স্বতন্ত্র মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে পিসিবি। এ বিষয়য়ে এক বিবৃতিতে রোববার পিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইহসানুল্লাহর মেডিকেল কেসটি পিসিবির মেডিকেল সাপোর্ট টিম দ্বারা সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়েছে কিনা তা বিশ্লেষণ করার জন্য একটি স্বতন্ত্র মেডিকেল বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ জাভেদ আকরাম, অধ্যাপক ডাঃ রানা দিলাওয়াইজ এবং অধ্যাপক ডাঃ মুমরাইজ নকশবন্দ। ডানহাতি ফাস্ট বোলারের সঠিক চিকিৎসার জন্য বোর্ড ভবিষ্যতের পদক্ষেপেরও সুপারিশ করবে।’

এর আগে, ইহসানউল্লাহর চোট নিয়ে পিসিবির চিকিৎসকরা অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মুলতান সুলতানের মালিক। তখন তিনি বলেছিলেন, পিসিবির চিকিৎসকেরা ইহসানউল্লাহর চোটের ভুল চিকিৎসা করেছে। তাঁর কনুইয়ের হাড়ে চিড় আছে, আর সেটা পিসিবির স্ক্যানে শুরুতে ধরাই পড়েনি। কনুইয়ের ওই চিড় নিয়েই ইহসানউল্লাহ জিম করেছে, এমনকি বোলিংও করেছে। আর তখন সমস্যা বোধ করলে পুনরায় করানো স্ক্যানে দেখা যায় তার কনুইয়ে চিড় ছিল।

পিসিবির মেডিকেল বিভাগ অবশ্য শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আনা গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছিলেন, ইহসানউল্লাহর চোটের ব্যাপারে অবহেলা বা গাফিলতি হয়নি। আর তাছাড়া ইহসানউল্লাহর প্রাথমিক স্ক্যানে চিড় ধরা না পরলেও এখানে কোনো অব্যবস্থাপনা হয়নি।

   

আমরা আমাদের শতভাগ ও সেরাটা দিব: সাকিব

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। তাই নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়েই মাঠে নামছেন শান্ত-সাকিবরা।

টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের ইনজুরির ফলে বাংলাদেশের একাদশে সুযোগ পান তানজিম সাকিব। সুযোগটি বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজের জায়গাটা একাদশে শক্তভাবে নিশ্চিত ও নিজের করে নিয়েছেন।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘ম্যাচ খেলব কি খেলব না এটা নিয়ে ভাবি না। সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কম্বিনেশনের কারণে না খেলা হলে আলাদা ব্যাপার। আমি সবসময় প্রস্তুত থাকি। সুযোগ পেলে তিন বিভাগেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কাছ থেকে দল যেন সর্বোচ্চটা পায়। দলের জন্য আমি শতভাগ দিতে চাই মাঠে, এটাই আমার কাজ।’

নেপালকে একদমই হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ, এমনটাই বলেছেন সাকিব। কারণ নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল এই নেপাল।

এ প্রসঙ্গে টাইগার পেসার বলেছেন, ‘আমরা আমাদের শতভাগ দেবো, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছোট-বড় দল নেই। প্রত্যেককে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। মাত্র ২০ ওভারের খেলা, কখন মোমেন্টাম বদলে যায়, কেউ বলতে পারে না। আমরা প্রত্যেক দলকেই সমানভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক একইভাবে খেলার চেষ্টা করব।’

;

সাকিবের বিশ্বাস, শান্ত ফর্মে ফিরবেন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্স একদমই আশানুরূপ না। এই টুর্নামেন্টের আরও বেশ আগে থেকেই এই ব্যাটিং ব্যর্থতা চলে আসছে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত সহ বাকিরাও ব্যাট হাতে প্রশংসা পাওয়ার মতো কিছু করে দেখাতে পারছেন না।

তবে শনিবার রাতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার পেসার জানিয়েছেন, দলের ব্যাটারদের ওপর ভরসা আছে তার। এমনকি সতীর্থ ও অধিনায়ক শান্তও অতি শীঘ্রই ফর্মে ফিরবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

তানজিম সাকিব বলেন, ‘শান্ত ভাই খুব পরিশ্রম করছে প্র্যাকটিসে নিজেকে ফর্মে ফিরিয়ে আনার জন্য। উনি খুব কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, জাতীয় দলের কয়েকজন পরিশ্রমীর মধ্যে উনি একজন। খুবই ডেডিকেটেড এবং প্যাশনেট একজন মানুষ। উনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। অধিনায়ক হিসেবেও খুবই ভালো। সবাইকে খুব আগলে রাখেন, গুছিয়ে রাখেন- মাঠ ও মাঠের বাইরে। এটা খুব ভালো দিক আমি বলব।’

শান্তসহ যাদের ব্যাট বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসছে না, তাদের ওপরও আস্থা আছে সাকিবের। নিজের চেনা রূপে ফিরবে তারা এমনটা বিশ্বাস করে সাকিব বলেন, ‘যাদের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তারা বেস্ট চয়েস। তারা শতভাগ দিলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবে। তারা খুব চেষ্টা করছে। হয়ত ২-১ জন রান পাচ্ছে না। আমি খুব বিশ্বাস করি, খুব তাড়াতাড়ি রানে ফিরবে। এটা দলের বিশ্বাস, এই বিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামি। আমাদের বিশ্বাস আছে কেউ না কেউ ভালো খেলে দিবে।’

আগামীকাল (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের বিপক্ষে নিজেদের সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করার ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।

;

সুপার এইটের শেষ দল কে হবে?

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগ থেকেই সমর্থক এবং বিশ্লেষকরা কষছিলেন নানা হিসাব। এবারের চারটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ কোন দুই দল জায়গা করে নিবে সুপার এইটে, এটাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। অনেকের মতামতের সঙ্গে যেমন ফলাফল মিলেছে, আবার অনেকের ভবিষ্যৎবাণীই মিলেনি।

রবিবার ভোরের ম্যাচ শেষে নিশ্চিত হয়ে গেছে এবারের বিশ্বকাপের সুপার এইটের সাতটি স্থানই। বাকি আছে আর একটি মাত্র স্পট, যেখানে জায়গা করে নিবে নেদারল্যান্ডস কিংবা বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে গ্রুপ-এ থেকে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে ভারত ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ-বি থেকে কাঙ্ক্ষিতভাবেই জায়গা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। গ্রুপ-সি থেকে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে আরেক স্বাগতিক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান।

গ্রুপ-ডি তে কাগজ-কলমের হিসেবে বাংলাদেশ কিঞ্চিৎ এগিয়ে থাকলেও আশঙ্কামুক্ত নেই। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে, আগামীকাল (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টায়। ঠিক তার পরই সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেদারল্যান্ডস। সুপার এইটের সর্বশেষ স্পটটি দখল করতে হলে টাইগার এবং ডাচ উভয়ের হাতেই জয় ছাড়া বিকল্প নেই।

নেপালের সঙ্গে যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, অপরদিকে লঙ্কানদের ডাচরা হারিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে রানরেটের হিসাব হবে। যেখানে ভাগ্য সহায় না হলে সুপার এইটের স্বপ্ন ভেস্তেও যেতে পারে সাকিব-শান্তদের। তাই এত জটিল হিসেবের ফাঁদে না পড়ে নেপালকে হারিয়েই নিশ্চিতভাবে সুপার এইটের টিকিট কাটতে মরিয়া বাংলাদেশ।

;

রেকর্ডময় অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রবিবার ভোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠ নেমেছিল স্কটল্যান্ড। যেখানে অজিদের ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্কটিশরা। ২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য টপকে স্কটল্যান্ডকে সুপার এইটের দৌড় থেকে বের করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একই সাথে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের সুপার এইটে খেলাও।

জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এই ম্যাচে হয়েছে একের অধিক রেকর্ড। দুই দলই ব্যাট হাতে ছিল দারুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব রেকর্ড।

২৬

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতকটি হয়েছে এই ম্যাচে। স্কটল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ২৬ বলে তুলে নিয়েছেন তার ফিফটি।

৫৯

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান তাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন মার্কাস স্টয়নিস। তার ২৯ বলে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসটি অজিদের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবমিলিয়ে রানতাড়ায় ১০২.৫০ গড় এবং ১৭৮.২৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০৫ রান।

১৮০

ম্যাকমুলেন ও জর্জ মুনশির জুটি অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর রীতিমত দাপট দেখিয়েছেন। ইনিংস শেষে স্কটল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৮০ রান সংগ্রহ করে। যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।

১৮১

অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ১৮১ রানের। যা তারা পেরিয়ে যায় ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৯.৪ ওভারে। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার রানতাড়া নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে একই ভেন্যুতেই ২০১০ আসরে পাকিস্তানের দেওয়া সর্বোচ্চ ১৯২ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছিল অজিরা।

১৬০.২

জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৬০ রান। এই পর্যায়ে অজিরা বিশ্বকাপে রান তাড়ায় ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬০.২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে। প্রথম ১৩ ওভারে ৭.০৮ গড়ে রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া, পরবর্তী ৭ ওভারে রানতাড়া করে ১৪.১১ গড়ে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডে ইংল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে এবার ভাগ বসালো অস্ট্রেলিয়া। ২০১০-২০১২ আসরে ইংল্যান্ড এবং ২০১২-১৪ আসরে ভারত টানা সাতটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিল। ২০২২ থেকে চলমান ২০২৪ আসরে এখন পর্যন্ত অজিদেরও টানা জয় ৭টি।

;