ফের বিগ ব্যাশে না খেলার ‘হুমকি’ রশিদ খানের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি অবিচারের অভিযোগ এনে দেশটির বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা থেকে বিরত রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি আয়োজিত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আফগানদের বিপক্ষে খেললেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলায় সায় নেই তাদের। অস্ট্রেলিয়ার এমন অবস্থানের বিরোধিতা করে বিগ ব্যাশে না খেলার হুমকি দিয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একই কারণে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে না খেলার হুমকি দিয়েছিলেন রশিদ। পরে অবশ্য চোটের কারণে বিগ ব্যাশে অংশ নেয়া হয়নি তার।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ২০২৩ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ স্থগিত করে। এর প্রতিক্রিয়ায় রশিদ খান বলেন, ‘আসলে এই বিষয়গুলো (নারী অধিকার) নিয়ে খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের খুব বেশি কিছু করার নেই। এগুলো সরকারগুলোর দেখভাল করতে হবে। কিন্তু এসবের কারণে ক্রিকেটে কেন ব্যাঘাত ঘটবে?’

ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আবেগজড়ানো কণ্ঠে রশিদ বলেন, ‘আপনারা যদি আমার দলের সঙ্গে না খেলেন, তাহলে কেন চান যে আমি আপনাদের দেশে খেলি? আপনারা আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে চান না, কিন্তু আমার সঙ্গে খেলতে চান? (আমি যদি বিগ ব্যাশে খেলি) এর মানে হবে, আমি আমার সতীর্থদের এবং আমাদের দেশকে অপমানিত করছি। আমার কাছে দেশের চেয়ে বড় কিছু নেই।’

   

টানা ১৪ জয়ে শিরোপা আবাহনীর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম পর্বে টানা ১১ জয়ের পর সুপার লিগে পরপর তিন জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপা  নিশ্চিত করেছে আবাহনী। শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে ডিপিএল ইতিহাসের এই সফলতম দল।

শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বেশ বিপদেই পড়েছিল আবাহনী। জাতীয় দলের ক্রিকেটারে ঠাসা দলটির একাদশ গড়তেই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন।

তবু ভাঙাচোরা দল নিয়েই শিরোপার মিশনে দলকে খেলিয়েছেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তাতে সাফল্যও এসেছে। টসে হেরে আগে ব্যাট করা শেখ জামাল অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের ৫৮ বলে ৮৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে।

৪৯ রান করে দু’দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব আল হাসান। ৪১ রান আসে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও ওপেনার সৈকত আলির ব্যাটে।

আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় (৬৭) এবং আফিফ হোসেন ধ্রুবর (৮৩) জোড়া ফিফটিতে ঠিকঠাক ছন্দেই এগোতে থাকে আবাহনী।

শেষদিকে অবশ্য ধীরগতির ব্যাটিংয়ে নিজেদের বিপদ বাড়াচ্ছিল তারা। তবে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। তাতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর।

;

ভারতকে ১২০ রানের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজে ফেরার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা ঠিক মনমতো হয়নি। এক মুর্শিদা খাতুন বাদে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। তার ৪৫ রানের লড়াকু ইনিংসে চড়ে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ২০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১১৯ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’তে দুই উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান জমা করেন নিগাররা। কিন্তু রাধা যাদবের করা ইনিংসের দশম টানা দুই বলে দুই ব্যাটার নিগার ও ফাহিমা খাতুন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।

পরের ওভারে সুলতানা খাতুনও সাজঘরের পথ ধরলে ৬৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

ওপেনার মুর্শিদা খাতুন তখনো ক্রিজে অবিচল। তাকে সঙ্গ দেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে প্রবেশ করা রিতু মনি। এই জুটি যখন ক্রিজে, তখন খেলা কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় বৃষ্টিতে। তবে মুর্শিদা-রিতুর জুটিতে তার প্রভাব পড়েনি। বৃষ্টির পুর আবার নিজেদের সহজাত ব্যাটিংয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন তারা।

দীপ্তি শর্মার বলে লেট কাট করতে গিয়ে রিতু মনি বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। ৩২ রান আসে মুর্শিদা-রিতুর পঞ্চম উইকেটের জুটিতে। ২ চারে ১৮ বলে ২০ রান করেন রিতু।

মুর্শিদা তবু লড়াই চালিয়ে যান। শেষ ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রাধা। দুটি করে উইকেট পান শ্রেয়াঙ্কা ও দীপ্তি।

জয়ে ফিরতে এখন বোলারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি পেলেও সেটা ডিফেন্ড করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বল করতে হবে নাহিদা-মারুফাদের।

;

চমকে ঠাসা ভারতের বিশ্বকাপ দল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কয়েকটি বড় চমক দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে ভারত। অনেক জল্পনা-কল্পনার ভারতের বিশ্বকাপ দলে টিকে গেছেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। তবে দলে জায়গা হয়নি আইপিএলে লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক কেএল রাহুল ও গুজরাটের অধিনায়ক শুবমান গিল।

আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পুরস্কারস্বরূপ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন। স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল প্রায় ৯ মাস পর দলে ঢুকেছেন। এছাড়াও সঞ্জু স্যামসন এবং শিবম দুবেরও জায়গা হয়েছে দলে।

আইপিএলে রোহিত শর্মার কাছ থেকে মুম্বাইয়ের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকেই সমালোচকদের নিশানায় রয়েছেন হার্দিক। মাঠে নিয়মিত দর্শকদের দুয়ো শুনছেন, চাপে পড়েই কিনা কে জানে মাঠের ক্রিকেটে ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হার্দিকের বাদ পড়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। তবে সেটা হয়নি, টিকে গেছেন এই অলরাউন্ডার।

একইভাবে কোহলির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে আইপিএলে তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ধুঁকলেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ঠিকই বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছেন ভারতের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।

ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, বিরাট কোহলি, শিবম দুবে, রিশাভ পান্ত, সঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ

;

তামিম-মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে প্রাইমের দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল প্রাইম ব্যাংক। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হেসেখেলেই হারিয়ে দিয়েছে প্রাইম, তুলে নিয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে গাজী গ্রুপকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রাইম ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি গাজী। সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন অধিনায়ক মেহেদী মারুফ থেকে শুরু করে দলের বেশিরভাগ ব্যাটার। স্বীকৃত ব্যাটারদের দুর্দিনে গাজীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে লেজের সারির আব্দুল গাফফার সাকলাইনের ব্যাটে।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন দুই পেসার রেজাউর রহমান রাজা এবং হাসান মাহমুদ।

রানতাড়া করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় প্রাইম ব্যাংক। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রাইমকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম।

৭৬ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলার পথে ১০টি চার হাঁকান তামিম, ছিল দুটি ছক্কাও। মুশফিকও পিছিয়ে ছিলেন না, ৫৫ বলে ৫৯ রান এসেছে তার ব্যাটে।

;