বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্সে হতাশ লিপু



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্যই জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের চেয়ারে বসেছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার গড়া দল নিয়েই লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তার আগে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দল ঘোষণা করে গিয়েছিল মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল। সেই দলে জাকের আলির সংযোজন করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন লিপু। তবে যখন টেস্টের জন্য পুরো দলটাই ঘোষণা করলেন লিপু, তখন অবশ্য হতাশই হতে হয়েছে তাকে। লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্টে যে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। যা নিয়ে হতাশা ঝরেছে লিপুর কণ্ঠেও।

শুক্রবার মিরপুরে টেস্ট দলের ভরাডুবি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন লিপু। সেখানেই তুলে ধরেছেন টেস্টে দল নিয়ে তার হতাশার কথা। লিপু বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হয়েছে। দুটো সিরিজে তৃতীয় ম্যাচটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখানে আমার মতে দল মন্দ করেনি। হতাশ করেনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটের ফলাফল ও পারফর্ম্যান্স নিয়ে আমরা হতাশ। ফলাফল যে আমাদের পক্ষেই আসতে হবে, এমন কোনো কথা ছিল না, আমরা চেয়েছিলাম আমাদের দলটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, আরও ভালো পারফর্ম করবে।’

টেস্টে ক্রিকেটে সাধারণত হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে থাকে প্রতিটি দল। বাংলাদেশও সেই সুবিধা তুলেছে ইতোপূর্বে। ঘরের মাটিতে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে। তবে এবার সেখানে দেখা গেল উল্টো চিত্র। বাংলাদেশ নয় যেন এটা লঙ্কানদের চেনা কন্ডিশন। আর সেই কন্ডিশনের ফায়দা লুটে বাংলাদেশকে সিরিজে পাত্তাই দেয়নি তারা। হঠাৎ এমন উইকেটে খেলার কারণ কি?

সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা ভালো স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করেছি। কারণ দেশের পাশাপাশি বাইরে গিয়েও আমাদের অনেক টেস্ট খেলতে হবে। তার জন্য নিজেদের সক্ষমতা-দুর্বলতা যাচাইয়ের জন্যই বিসিবি এই উইকেটের ব্যবস্থা করেছে। এর কারণে হয়তো আমরা এই মুহূর্তে আশাহত, তবে এতে আমাদের দুর্বলতম জায়গাগুলো ফুটে উঠেছে, তা নিয়ে আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয়ই কাজ করবেন।’

   

ম্যাচ হারা প্রসঙ্গে যা বললেন চেন্নাই অধিনায়ক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার রাতে ঘরের মাঠেও জয় তুলে নিতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। চিপকের মাঠে চেন্নাইকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। আইপিএলের চলতি আসরে মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ম্যাচ ছিল এটি, যেখানে কোনো উইকেট না পেলেও তিনি বল হাতে ছিলেন দারুণ।

এই হারের জন্য মূলত শিশিরকে দায়ী করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে তাদের দলীয় রানও কিছু কম হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে রুতুরাজ বলেছেন, ‘সম্ভবত আমাদের ৫০-৬০ রান কম হয়েছে। পিচের কথা ভেবে আমাদের প্রথমে ব্যাটিং করতে হয়েছিল। পিচ ভালো ছিল না। এটি পরে ব্যাটিংবান্ধব হতে শুরু করে। এরপর শিশির এবং ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম, কোনো কিছুই আসলে আমাদের সাহায্য করেনি।‘

চেন্নাইয়ের বোলাররা এদিন তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। বোলারদের প্রসঙ্গে অধিনায়ক জানান, ‘এটাই সত্যিকারের সমস্যা। যেখানে আপনি উইকেট নিতে চাইবেন কিন্তু আপনার হাতে উইকেট নেওয়ার মতো মাত্র দুজন বোলার আছে। এর সঙ্গে শিশিরের কারণে স্পিনাররা নিজেদের কাজ ঠিকমত করতে পারছিলেন না। বলা যায় একটি কঠিন দিন গেছে আমাদের। তবে আমাদের সামনে আরও চার ম্যাচ বাকি আছে, আমরা এমন দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতে চাই।‘

দল হারলেও এদিন ব্যক্তিগত অর্জন ঠিকই আদায় করে নিয়েছেন রুতুরাজ। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৬২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। আর এই ইনিংসের মাধ্যমে চলতি আইপিএলে বিরাট কোহলিকে টপকিয়ে অরেঞ্জ ক্যাপ এখন তার দখলে।

;

রোনালদোর জোড়া গোলে ফাইনালে আল নাসর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল করে দলকে জেতানো যেন তার অভ্যাস। ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই দায়িত্ব পালন করে এসে এখন সৌদির লিগেও এই কাজটি প্রতিনিয়তই করে চলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বুধবার রাতে কিং কাপের সেমিফাইনালে আল খালিজকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আলো নাসর, যেখানে জোড়া গোল করেছেন পর্তুগিজ এই মহাতারকা।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে থাকে আল নাসর। একের পর এক আক্রমণে আল খালিজের ডিফেন্স লাইন যখন নড়বড়ে, তখনই সুযোগ বুঝে নিজের প্রথম গোলটি আদায় করেন রোনালদো। ১৭তম মিনিটে খালিজের গোলরক্ষক ইব্রাহিম সেহিকের ভুলকে কাজে লাগান তিনি।

৩৭তম মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ পায় আল নাসর, দক্ষতার সঙ্গে গোল আদায় করে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান সাদিও মানে। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটির দেখা পান রোনালদো।

ম্যাচের শেষভাগে যেয়ে ৮২তম মিনিটে দলের হয়ে একটি গোল শোধ দেন আল তোরাইস। তাতেও কোনো লাভ হয়নি, হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা।

গত মঙ্গলবার আল ইত্তিহাদকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে দিয়েছে আল হিলাল। গতরাতে ফাইনালের টিকিট নিশিচত করল আল নাসর। ৩১ মে জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

;

‘শক্তিশালী’ পিএসজিকে হারিয়ে দিল ডর্টমুন্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে তুলনামূলক ‘দূর্বল দল’ ধরে নেওয়া হয়েছে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। এমনকি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পিএসজিই ছিল ফ্যান ফেভারিট। কিন্তু ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ড যে দাপুটে তা ভুলে গেলে চলবে না, এমনটাই মনে করিয়ে দিল তারা। সিগনাল ইডুনা পার্কে সেমির প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চাপে ফেলার চেষ্টায় থাকে পিএসজি। পরপর কয়েকটি আক্রমণে কিছুটা নড়বড়ে করে তোলে ডর্টমুন্ডের ডিফেন্স লাইন। আগের দুই রাউন্ডে গোল করা উসমান দেম্বেলে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন, তাই এগিয়ে গিয়েও যেতে পারেনি এমবাপেরা।

পিএসজি গোলরক্ষক ডোনারুমা নিজের নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন সাবিতজারের দুটো শট। তবে ৩৬তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শ্লটারবেকের বাড়ানো লং বল দারুণভাবে আয়ত্বে নিয়ে ডোনারুমাকে ফাঁকি দিয়ে বল পিএসজির জালে জড়ান ফুলক্রুগ।

পিছিয়ে থেকে বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লুইস এনরিকের দলকে। এক গোলে এগিয়ে থেকেই পার্ক ডি প্রিন্সেসে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খেলতে যাবে জার্মান ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার উদ্দেশ্য নিয়েই মাঠে নামবে তারা।

;

হার দিয়েই শেষ হলো মুস্তাফিজের আইপিএল যাত্রা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার রাতে ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। যেখানে ১৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে পাঞ্জাব। এই ম্যাচ হারের পর পয়েন্ট তালিকার চারেই আছে চেন্নাই, ১০ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট তাদের।

আইপিএলের চলতি আসরে টাইগার পেসার মুস্তাফিজের এটিই ছিল শেষ ম্যাচ। এখন তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশে ফেরত আসবেন।

কোনো উইকেট শিকার করতে না পারলেও বল হাতে ফিজ ছিলেন এদিন দুর্দান্ত। চার ওভার বল করে মাত্র ২২ রান হজম করেছেন তিনি, যার মধ্যে দ্বিতীয় ওভারটি ছিল মেইডেন।

আইপিএলের এবারের আসরের শুরুটা করেছিলেন দারুণ, প্রথম ম্যাচেই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। পার্পল ক্যাপটিও রেখেছিলেন নিজের দখলে। গতরাতে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্তও বুমরাহর সঙ্গে যৌথভাবে পার্পল ক্যাপের দখল ছিল তার কাছেই।

সব মিলিয়ে আইপিএলের ২০২৪ আসরটা মনে রাখার মতোই কেটেছে মুস্তাফিজের। পুরো আসরটি খেলে আসতে পারলে সম্ভবত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর খেতাবটা নিজের নামেই করতেন মুস্তাফিজ। তবে দেশের হয়ে খেলার দায়িত্ব যীহতু সবার আগে, তাই চেন্নাইয়ের সঙ্গে এখানেই সফর শেষ করতে হচ্ছে তাকে।

;