শেষ মুহূর্তে ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা নিয়ে যা বললেন লঙ্কান কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন পরই ম্যাচ। অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সও শেষ। অথচ শ্রীলঙ্কা তখনও তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। যেটা শুনে প্রেস কনফারেন্সে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় লঙ্কান হেড কোচ ক্রিস সিলভারউডকে। অবশ্য বলেছেন, ‘আমার আসলে কোনো ধারণা নেই এই বিষয় নিয়ে। প্রেস রিলিজ দেওয়া তো আমার কাজ নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রশ্নটার উত্তরও তাই দিতে পারছি না।’

তবে স্কোয়াড ঘোষণা না হলেও খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রধান কোচ স্কোয়াড ভালো ভাবেই জানতেন। যেটা ক্রিকেটেরই খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। অবাক করেছে ম্যাচের আগের দিন শেষ বিকেলে শ্রীলঙ্কার দল ঘোষণা। 

হয়তোবা মাইন্ড গেমই খেলতে চেয়েছে লংকানরা। এই যেমন স্কোয়াডে নেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের নায়ক এবং হ্যাটট্রিক ম্যান নুয়ান তুষারা। সিলেটে সবশেষ ইনিংসে এই বোলার নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। 

সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই মাঠ এবং মাঠের বাইরের অন্যরকম উত্তেজনা। ক্রিকেটারাই এর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন বেশ। কখনো নাগিন ড্যান্স; কখনও টাইমড আউট সেলিব্রেশন। যেগুলো বেশ উপভোগ করছেন লংকান কোচও।

‘এই দ্বৈরথ অবশ্যই খুব ভালো। আমাদের ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন এবং টি-টোয়েন্টিতে আমরা দুটি ভালো দলের লড়াই-ই দেখেছি। ওয়ানডে সিরিজেও আমি ঠিক সেটাই চাইব। আমরা চাই কিছু ভালো ক্রিকেট খেলা হোক এবং আমার মনে হয় দুই দলই তা চায়’- যোগ করেন সিলভারউড।

   

লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে শীর্ষেই রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শনিবার রাতে খেলতে নেমেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্ণৌ, ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে রাজস্থান তাদের শীর্ষস্থান দাপটের সঙ্গেই ধরে রাখল।

এদিন টসে জিতে শুরুতে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান। শুরুতেই স্বাগতিকদের ওপেনার কুইন্টন ডি কক ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক কে এল রাহুল। ৪৮ বলে ৭৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এছাড়াও দিপাক হুদার ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংসটিও দলের রানের পাল্লা ভারি করতে সহায়তা করেছে। নির্ধারিত ওভার শেষে লক্ষ্ণৌয়ের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬ রানে।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে সাবলীল খেলা দেখাতে থাকেন রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। তবে দলীয় ৬০ রানে ভাঙ্গে এই জুটি। এরপর উইকেটে নামা অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন বরাবরের মতো গতরাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে টিকে থেকে খেলেছেন ৩৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ধ্রুব জুরেল, করেছেন ৩৪ বলে ৫২ রান।

ব্যাটিং নৈপুণ্যে শেষে এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান। এই জয়ের পর ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রাখল তারা। দুইয়ে থাকা কলকাতার সঙ্গে রাজস্থানের পয়েন্টের ব্যবধান ৬। অপরদিকে ৯ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্টের সঙ্গে টেবিলের চারে আছে লক্ষ্ণৌ।

;

সমতায় শেষ হলো পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ৯ রানের জয় তুলে নিয়ে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় এই সিরিজে কোনো দলই এগিয়ে থেকে এককভাবে জিততে পারল না, তাই ট্রফি ভাগাভাগি করেই শেষ হলো সিরিজ।

চার ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তাই লাহোরের মাঠে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ বাঁচানোর জন্য জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না স্বাগতিকদের কাছে।

এদিন টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে অধিনায়ক বাবর আজম দেখান নিজের নৈপুণ্য। নির্ধারিত ওভার শেষে পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে সাবলীল ভঙ্গিতে খেলতে থাকে কিউইরা। তবে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে কিছুক্ষণ পরই হিমশিম খেতে থাকে সফরকারীরা। শাহিন আফ্রিদি একাই তুলে নেন চার উইকেট। শেষে চার বল বাকি থাকতেই নিউজিল্যান্ডের সকল ব্যাটার সাজঘরে ফেরত যাওয়ায় খুব কাছে যেয়েও হারের স্বাদ পেতে হয় কিউইদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

পাকিস্তানঃ ১৭৮/৫ (২০ ওভার); বাবর ৬৯, ফখর ৪৩; ওরুর্ক ১-২৫, সোধি ১-৩০

নিউজিল্যান্ডঃ ১৬৯/১০ (১৯.২ ওভার); সেইফার্ট ৫২, ক্লার্কসন ৩৮*; আফ্রিদি ৪-৩০, উসামা ২-২১

ফলাফলঃ পাকিস্তান ৯ রানে জয়ী

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচঃ শাহিন আফ্রিদি

প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজঃ শাহিন আফ্রিদি

সিরিজঃ ২-২ সমতা

;

টিভিতে আজ যেসব খেলা দেখবেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেট
১ম নারী টি-টোয়েন্টি
বাংলাদেশ-ভারত
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস অ্যাপ

আইপিএল
গুজরাট-বেঙ্গালুরু
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি
চেন্নাই-হায়দরাবাদ
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ফুটবল
সিরি আ
ইন্টার মিলান-তোরিনো
বিকেল ৪-৩০ মি., র‍্যাবিটহোল
নাপোলি-রোমা
রাত ১০টা, র‍্যাবিটহোল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
টটেনহ্যাম-আর্সেনাল
সন্ধ্যা ৭টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
বোর্নমাউথ-ব্রাইটন
সন্ধ্যা ৭টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২
নটিংহ্যাম-ম্যান সিটি
রাত ৯-৩০ মি., স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

বুন্ডেসলিগা
মুনশেনগ্লাডবাখ-ইউনিয়ন বার্লিন
সন্ধ্যা ৭-৩০ মি., সনি স্পোর্টস ২

লিগ আঁ
লিওঁ-মোনাকো
রাত ১১টা, র‍্যাবিটহোল

;

মুম্বাইয়ের দুঃখ বাড়িয়ে দিল্লির রোমাঞ্চকর জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরেকটি অবিশ্বাস্য রান তাড়া প্রায় দেখেই ফেলেছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১০ রান দূরে থামায় আর তা হয়নি।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি-মুম্বাই ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলেছে ব্যাটারদের রাজত্ব। যেটাকে এবারের আইপিএলের থিম বললেও ভুল হবে না। দিল্লির ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের তাণ্ডবে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। ২৭ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দিল্লিকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন এই অজি ব্যাটার।

ট্রিস্টান স্টাবস, শাই হোপরা তার দেখানো পথেই ধুন্ধুমার ব্যাটিং করেছেন। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস, আর ৫ ছক্কায় ৪১ রান করে থামেন হোপ। তাদের মারকাটারি দিল্লির রান পৌঁছে যায় ২০ ওভারে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৭ পর্যন্ত।

জবাব দিতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা হয় তুলনামূলক ধীরগতির। পাওয়ার প্লে’তে ৬৫ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব।

এরপর মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক বর্মা। তাদের ৩৯ বলে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটিতে রান তাড়ায় ছন্দ খুঁজে পায় মুম্বাই। হার্দিক ২৯ বলে ৪৬ রান করে ফেরার পর টিম ডেভিডের সঙ্গেও আরেকটা ভালো জুটি গড়ে তোলেন তিলক। তাদের জুটিতে আসে ৭০ রান। মুম্বাইয়ের সমর্থকরাও আশায় বুক বাঁধেন।

তবে ১৮তম ওভারে মুকেশ কুমারের বলে ৩৭ রান করা ডেভিড লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। সমান চারটি করে চার-ছয়ে ৩২ বলে ৬৩ রান তোলা তিলক রানআউট হলে জয়ের স্বপ্ন আরও ফিকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানে ক্ষান্ত হয় মুম্বাইয়ের প্রচেষ্টা।

এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে দিল্লি। আর ৯ ম্যাচে ষষ্ঠ হার নিয়ে নয় নম্বরেই ধুঁকছে মুম্বাই।

;