টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও ছন্দ ফিরে পেতে রীতিমত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কিউইরা। ঘরের মাঠে কিউইদের এমন পারফর্মের দেখা যেন কালেভদ্রেই মেলে। অবশ্য ওয়েলিংটন টেস্টের শুরুটা হয়েছিল দাপটের সঙ্গেই। কিউই পেসারদের পেস তোপে যখন একে একে সাজঘরে ফিরছিলেন অজি ব্যাটাররা। তখন এক গ্রিনের কাছেই যেন হার মানল টিম সাউদির দল।
গ্রিনের ১৭৪ রানের সেই নান্দনিক ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৮৩ রানের ভালো সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ব্যাটিংয়ে এসেও ছন্নছাড়া কিউইরা। এক গ্লেন ফিলিপস ছাড়া দাঁড়াতে পারলেন না কেউই। অল আউট ১৭৯ রানেই। অবশ্য স্বস্তি এলো তৃতীয় দিনে এসে। বোলিংয়ে এবং সেই ফিলিপসের হাত ধরেই। এই পার্ট-টাইম অফ ব্রেক স্পিনার তুলে নেন ফাইফার। এতে ১৬৪ রানেই শেষ অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস। ২০৪ রানের লিড নিয়ে অন্তন পাঁচ ছাড়িয়ে লক্ষ্য গড়ার স্বপ্ন বুনছিল প্যাট কামিন্সের দল, সেখানে ফিলিপসে ঘূর্ণিতে তা দাঁড়ালো ৩৬৯ রানের।
অবশ্য লাল বলের ক্রিকেটে এই লক্ষ্যটাও বিশালের কাতারেই। এবং হাতে সময় যখন প্রায় আড়াই দিনের। এতে তৃতীয় দিনেই টার্গেট নিয়ে নামা কিউইদের ব্যাটিংটা হলো মন্দের ভালো। দিন শেষে আগে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৩ উইকেট এবং স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১১১ রান। জয়ের জন্য এখনো ২৫৮ রান দরকার স্বাগতিকদের। এদিকে সফরকারীদের দরকার ৭ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনে স্বাগতিকদের পেসার ত্রয়ী হেনরি, ও’রর্ক ও কুখলেইনের তোপে ২৬৭ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে অজিরা। তবে একাই শেষ পর্যন্ত ধরে রাখেন গ্রিন। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তোলার পর জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে দশম উইকেটে আরও ১১৬ রান যোগ করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২৭৫ বলে ১৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বোলিংটা শেষে এসে লেজেগোবরে করার পর ব্যাটিংটা শুরু থেকেই তেমন করে নিউজিল্যান্ড। এবং কার্যত তা আরও খারাপ। ২৯ রানেই নেই ৫ উইকেট। সেখানে গ্রিনের ইনিংসটি খেলছিলেন ফিলিপস। তবে ৭০ বলে ৭১ রান করে আউট হলে তা আর হয়ে উঠে না। কিউইরা গুটিয়ে যায় ১৭৯ রানে। সেখানে চার উইকেট নেন নাথান লায়ন।
ব্যাটিংয়ে বাকি কাজ যেন বোলিংয়ে এসে পূর্ণ করে দিলেন ফিলিপস। আদতে পার্ট-টাইম স্পিনার। তবে তার ঘূর্ণিতে এবার কুপোকাত অজিরা। তাদের ১৬৪ রানেই এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে আরেক স্পিনার লায়ন।
নাটকীয় এই দিন শেষে কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রানে অপরাজিত আছেন রাচিন। তাকে সঙ্গ দিয়ে চতুর্থ দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামবেন ড্যারিল মিচেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৩৮৩; (গ্রিন ১৭৪*, মার্শ ৪০; হেনরি ৫/৭০)
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৭৯; (ফিলিপস ৭১, হেনরি ৪২; লায়ন ৪/৪৩)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ১৬৪; (লায়ন ৪১, গ্রিন ৩৪; ফিলিপস ৫/৪৫, হেনরি ৩/৩৬)
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস*: ১১১/৩; (রাচিন ৫৬*, লায়ন ২/২৭)