বরিশালের প্রথম শিরোপা মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের উৎসর্গ তামিমের 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরচুন বরিশালের প্রথম বিপিএল শিরোপা, নেতৃত্বে তামিম ইকবালের প্রথম শিরোপা। তবে খেলোয়াড় হিসেবে এর আগেও একটি শিরোপা জিতেছেন তামিম। ২০১৯ সালের কুমিল্লার হয়ে। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতার অনুভূতিটাই অন্যরকম। গতকাল শিরোপা জয়ের ম্যাচের পর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার এই অনুভূতিটাই জানতে চাইলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এইচডি অ্যাকারম্যান। তবে সেখানে সবার আগে দলের সতীর্থ এবং একসঙ্গে লম্বা সময় পাড়ি দেওয়া দুই সতীর্থ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ডেকে নিলেন তামিম। এবং বরিশালের এই প্রথম শিরোপা উৎসর্গ করলেন দেশের এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে। 

উৎসর্গ করার কারণ ব্যাখ্যা তামিম প্রথমে বলেন, ‘ট্রফিটা আসলে মুশির।’ জানালেন নেতৃত্বে কতটা সাহায্য পেয়েছেন মুশফিকের কাছ থেকে। ‘মুশি মাঠে অসাধারণ সব কাজ করেছে। ফিল্ডিং সে পরিবর্তন করেছে, আরও অনেকভাবে সাহায্য করেছে। এটাকে আমি মুশির ট্রফি বলব।’ 

মুশফিকের এই সাহায্যেই ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে পেরেছেন তামিম। এবং ফলাফল সবার সামনে। এসব যোগ করে তামিম আরও বলেন, ‘আমি অধিনায়ক ছিলাম বলে মানুষ আমাকেই কৃতিত্ব দেবে। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক চাপ থাকে। মুশি আমার চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তাই নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পেরেছি। মুশি, মাহমদুউল্লাহ এবং অন্যদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।’

সতীর্থদের সুনাম ম্যাচ পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সেও ছড়িয়েছেন তামিম। সেখানেও একাধিক উত্তরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মিরাজদের দিয়েছেন কৃতিত্ব। এবং কেনই আলাদাভাবে মুশফিক-মাহমুদউদল্লাহকে করেছেন শিরোপা উৎসর্গ সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ‘প্রত্যেকটা ট্রফির অনুভূতিই দারুণ। কিন্তু এবার একটু আলাদা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল, কিছু তরুণ খেলোয়াড়, মিরাজ বলেন, সৌম্য বলেন, সঙ্গে দুজন সিনিয়র ক্রিকেটার, রিয়াদ ভাই, মুশফিক, তারা দেশকে অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছেন, কিন্তু এই ট্রফিটা তাদের পাওয়া হয়নি। আমার ভেতরে এই ভাবনাটা ছিল যদি আল্লাহ এই ট্রফিটা আমাদের দেয়, তাহলে এটা আমি তাদের উৎসর্গ করব।’

এই জয়ে তরুণদের কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি তামিম। ‘আমি জানি, মিরাজ, সৌম্য, তাইজুল, তাদের আরও সময় আছে অনেক শিরোপা জেতার। আমি জানি না রিয়াদ ভাই, মুশফিক যেভাবে তারা খেলছে, আরও খেলবে, তবে অন্যদের মতো লম্বা সময় পাবে না, অন্যদের সুযোগটা আরও বেশি। এ কারণেই আপনি যদি দেখেন আমার প্রেজেন্টেশনের সময় আমি ওদেরকে নিয়ে গেছি, কারণ আমি সত্যিই তাদেরকে শিরোপাটা উৎসর্গ করতে চেয়েছিলাম। তারা বেশ কয়েকবার খুব কাছে চলে এসেছিল, কিন্তু জেতা হয়নি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই আমি বেশ খুশি।’ 

   

‘মার্সিনিয়াক উঁচু মানের রেফারি’, বললেন আনচেলত্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে গতরাতে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে নিজেদের ইতিহাসে ১৮তম বার ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল তারা। ১ জুন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে লন্ডনের মাঠে নামবে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

রিয়াল-বায়ার্নের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাপিয়ে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু এখন রেফারির একটি ভুল সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। এমনকি বায়ার্ন রীতিমত ‘প্রতারণার’ শিকার হয়েছে বলে নিজের মতামত জানিয়েছেন এই কোচ।

যোগ করা সময়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাক বায়ার্ন শেষ মুহুর্তে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। মুলারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি লিট রিয়ালের জালে বল জড়ানোর আগেই অফসাইডের বাঁশি বাজান লাইন্সম্যান। এমনকি ভিএআরও দেখেন না রেফারি। এই সিদ্ধান্তটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারত বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন টুখেল।

তবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্ল আনচেলত্তি বলেছেন ভিন্ন কথা। তার মতে রেফারির সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না। পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি তার সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন। আনচেলত্তি বলেন, ‘তিনি উঁচু মানের রেফারি। তারা এটা নিয়ে অভিযোগ করলে আমরা নাচোর বাতিল হওয়া গোলটি নিয়ে অভিযোগ করতে পারি। কারণ, কিমিখ ডাইভ দিয়েছিল। ওরা একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেছে।‘

এখানে উল্লেখ্য যে, গতরাতের রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক এর আগেও একাধিক বড় ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ২০১৮ উয়েফা সুপার কাপ, ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০২৩ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল পরিচালনা করেছেন এই পোলিশ কোচ। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের (আইএফএফএইচএস) বিচারে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ‘বিশ্বসেরা রেফারি’–এর মর্যাদায়ও ভূষিত হয়েছেন।

;

প্রথম দল হিসেবে আইপিএল থেকে ছিটকে গেল মুম্বাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তাণ্ডবের শিকার হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে লক্ষ্ণৌয়ের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য কোন উইকেট না হারিয়েই মাত্র ৫৮ বলেই টপকে গেছে স্বাগতিকরা।

লক্ষ্ণৌয়ের এই হারে কপাল পুড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। চলতি আসরের শুরু থেকেই আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। একের পর এক হারে পয়েন্ট তালিকার তলানির দিকেই অবস্থান করছিল তারা। গতরাতে লক্ষ্ণৌয়ের হারের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের আইপিএল আসরে প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়ল হার্দিক-রোহিতরা।

মুম্বাইয়ের বাকি আছে আর দুটি ম্যাচ। দুটোতেই জয়ের দেখা পেলেও তাদের পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়াবে ১২ তে। ইতোমধ্যে শীর্ষের তিন দল কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দরাবাদের পয়েন্ট মুম্বাইয়ের চেয়ে বেশি। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চার, পাঁচ ও ছয়ে অবস্থান করছে যথাক্রমে চেন্নাই, দিল্লি ও লক্ষ্ণৌ।

অর্থাৎ আর কোনো সমীকরণেই মুম্বাইয়ের পক্ষে এবারের আইপিএলের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়ে প্লে-অফে খেলা সম্ভাবনা নেই। পরের ম্যাচ দুটো তাদের জন্য এখন শুধুই নিয়মরক্ষার। যদিও তাদের প্রতিপক্ষ কলকাতা ও লক্ষ্ণৌয়ের জন্য ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য কলকাতার ম্যাচটিতে জয় পাওয়া প্রয়োজন। অপরদিকে প্লে-অফে জায়গা করতে লক্ষ্ণৌও জয়ের উদ্দেশ্যেই মাঠে নামবে।

;

বার্নাব্যুতে হারের পর টুখেল বললেন, 'প্রতারণার শিকার হয়েছি'



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

গতরাতে ম্যাচে প্রথম গোলটি আসে বায়ার্নের আলফোনসো ডেভিসের পা থেকে, ৬৮তম মিনিটে। এরপর ৮৮তম মিনিট পর্যন্ত এগিয়েই ছিল জার্মান জায়ান্টরা। বলদি হিসেবে নামা জোসেলুর গোলে ম্যাচের শেষ মুহুর্তে এসে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ঠিক তার পরমুহুর্তেই আরও একবার বায়ার্নের জালে বল জড়ান তিনি। চোখের পলকে ম্যাচে দখল চলে যায় বায়ার্নের কাছ থেকে রিয়ালের পক্ষে।

যোগ করা সময়ের খেলা তখন শেষের দিকে, বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডি লিট রিয়ালের জালে বল জড়িয়েই ফেলেছিলেন, ঠিক তখনই অফসাইডের বাঁশি বাজিয়ে পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ডি লিটের গোলটিও যার ফলে বাতিল হয়। এমনকি দেখা হয়না ভিএআরও।

রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই শুরু হয় বিতর্ক। প্রতিবাদ জানান বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল ও খেলোয়াড়রাও। গোলটি হলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে ম্যাচে ফেরত আসলেও হয়ত আসতে পারত বায়ার্ন। ম্যাচ শেষে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন তুখেল।

টিএনটি স্পোর্টসকে টুখেল বলেছেন, ‘বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রতারণার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। ফাইনালের খুব কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’

ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘ম্যাচের পর লাইন্সম্যান নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু এখন তাতে কোনো লাভ হবে না। রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু আমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত হজম করা কঠিন। কারণ এটি খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল, নিয়মের বিরুদ্ধে।‘

সংবাদ সম্মেলনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে বায়ার্ন কোচের কন্ঠে, ‘ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই আপনাকে মাঠে রেফারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনাকেও অবশ্যই সেই মানের হতে হবে। আপনার কাছে সেরাটাই আমরা প্রত্যাশা করি।‘

টিএনটি স্পোর্টসকে ডি লিট বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমার সবাই নিয়ম জানি। অফসাইড হয়েছে কি না, সেটা পরিষ্কার না হলে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। এটাই নিয়ম! আমার কাছে এটাকে অনেকটা লজ্জার মনে হয়েছে। হোসেলুও গোল করার সময় প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তখন তারা খেলা চালিয়ে গেছে। তাহলে আমাদের বেলায় কেন নয়?’

আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক না কেন, সেমিফাইনালে হেরে বায়ার্নের শিরোপার স্বপ্ন ইতোমধ্যেই শেষ। আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের ১৫তম ইউসিএল শিরোপা তুলে ধরতে মরিয়া তারা।

;

বদলি নামা হোসেলুর ম্যাজিকে ফাইনালে রিয়াল 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেমির ফিরতি লেগের পুরো ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগোর একের পর শট ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। মাঝে আলফনসো ডেভিসের গোলে এগিয়েও যায় তার দল। তব সমীকরণ মিলিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালকে থামিয়ে দেওয়ার দুয়ারেই পৌঁছেছিল বাভারিয়ানরা। তবে চলতি মৌসুমে ‘অপ্রতিরোধ্য’ রিয়াল, এতো সহজেই যেন হার মেনে নিতে রাজি নয়। ম্যাচের পুরো সময় গোলপোস্টে দেয়াল তৈরি করা নয়্যার শেষ দিকে এসে করে বসলেন ভুল এবং সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না বদলি হিসেবে নামা হোসেলু। ৮৮ মিনিটে সমতায় ফেরানোর ঠিক দুই মিনিট পর আবারও গোল করে বসেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। তাতেই প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছালো কার্লো আনচেলত্তির দলটি। 

সেমির আগের লেগের ম্যাচটি বায়ার্নের মাঠে শেষ হয়েছিল ২-২ ড্রয়ে, এবার ফিরতি লেগে ২-১ ব্যবধানে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে ফাইনালে উঠে যায় রিয়াল। এতে রেকর্ড ১৪টি শিরোপাজয়ী দলটি ফাইনালে উঠল রেকর্ড ১৮ বারের মতো। আগামী ১ জুন ১৫তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্য ওয়েম্বলিতে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নামবে ভিনিসিয়ুস-বেলিংহামরা। 

গত রাতের ম্যাচটির আগেই রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেছিলেন, বায়ারন-রিয়াল সমান শক্তিশালী। সেটির মিল রেখেই যেন শুরু থেকেই লড়ছিল দুই দল। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো বায়ার্ন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হ্যারি কেইনের নেওয়া দারুণ এক শট সেখানে ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। এদিকে পাল্টা-আক্রমণে রিয়ালের একাধিক শট রুখে দেন নয়্যার। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানেই। 

পরে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও কয়েক গুণে বাড়ায় রিয়াল। ৫৮ ও ৫৯ মিনিটে রদ্রিগোর ফ্রি-কিকের পর ভিনিসিয়ুসের জোরালো এক শটে ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। এগিয়ে যাওয়ার দৌড়ে স্বাগতিকরাি ছিল এগিয়ে। তবে তা ছাপিয়ে ৬৮তম মিনিটে গোল করে বসলেন বায়ার্ন উইঙ্গার আলফনসো ডেভিস। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ভেতরে ঢুকে কারবাহাল-রডিগারদের পাশ কাটিয়ে কোনাকুনি দারুণ এক শটে বল লক্ষ্যে পৌঁছান এই কানাডিয়ান ফুটবলার। 

পিছিয়ে পড়ে একের পর সুযোগ তৈরি করেও সমতায় ফিরতে পারছিল না রিয়াল। আক্রমণ বাড়াতে ৮১তম মিনিটে ফেদে ভালভার্দেকে তুলে হোসেলুকে নামান আনচেলত্তির। সেই সাবই শেষ পর্যন্ত পরিণত হলো সুপার সাবে। ৮৮তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস সোজাসুজি এক শট ধরতে গিয়ে হাত ফসকে যায় নয়্যারের। সেখানে সুযোগ পেয়ে কোনো ভুল না করে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন হোসেলু। এর দুই মিনিট পরই নাচোর পাস থেকে রুডিগার বল বাড়ান হোসেলুর উদ্দেশ্যে। সেখানে আরও একবার বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। তবে সঙ্গেই বেজে উঠে রেফারির অফ-সাইডের বাঁশি। পরে ভিএআরে দেখা মিলে রুডিগার, হোসেলু দুজনেই ছিলেন অন-সাইডে। গোল পেয়ে যায় রিয়াল এবং তিন মিনিটে জোড়া গোল করে রিয়ালকে ফাইনালে তোলার নায়ক বনে যান হোসেলু।

;