উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উৎসবমুখর পরিবেশে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতা। ‘স্টেপ ইনটু দ্য ফিউচার: রান ফর মিশন ২০৪১’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সুস্থ-সবল নাগরিক তৈরিসহ স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা ও মানুষের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ নিয়ে সচেতনতা ও উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি।

আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিলে জাঁকজমকভাবে এই দৌড় প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়। সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ হতে শুরু হয়ে পুরো হাতিরঝিল ৭.৫ কি.মি. ঘুরে এম্ফিথিয়েটারে এসে দৌড় প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়। এসময় নারী, পুরুষ, বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই চার বিভাগে সবমিলিয়ে ২০৪১ জন অপেশাদার দৌড়বিদ অংশ নেন। ৭.৫ কি.মি. ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সের দৌড়বিদরা। আর ১ কি.মি. ক্যাটাগরিতে দৌড়ান প্রতিবন্ধী দৌড়বিদরা। চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি এবং অন্যান্য অতিথিরা। পুরস্কার বিতরণী শেষে ধারাবাহিকভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি। 

চার বিভাগে সবমিলিয়ে ১৯ জন বিজয়ীকে আর্থিক পুরস্কার, সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়। পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন মো: ইমরান হাসান, দ্বিতীয় হন তুফায়েল আহমেদ, তৃতীয় হন আশরাফুল আলম। চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে দ্বীপ তালুকদার এবং পলাশ শেখ। নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা, দ্বিতীয় হন মোসাম্মদ সামিয়া, তৃতীয় হন সাদিয়া শাওলীন সিগমা। চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে রিয়া আক্তার স্বর্ণা এবং হুমায়রা মনিশা। পঞ্চাশোর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন মো: ওয়াহাব খান, দ্বিতীয় হন জসীম উদ্দীন, তৃতীয় হন আমিনুর রহমান। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিভাগে ৩ ক্যাটাগরিতে (হুইল চেয়ার, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী) যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হন আবু রায়হান, শিহাব বিশ্বাস ও জান্নাতুল নাঈম এবং দ্বিতীয় হন তানভীর হোসেন, আলম দেওয়ান ও তানজিম হাসান। এছাড়া সকল দৌড়বিদদের রেস জার্সি ও মেডেল প্রদান করা হয়।

স্মার্ট বাংলাদেশ রান ইভেন্টে অংশ নেয়া দৌড়বিদদের উদ্ভুদ্ধ করতে ৭.৫ কি:মি বিভাগের দৌড়ে অংশ নেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি। ৬৮ মিনিটে দৌড় শেষ করেন প্রতিমন্ত্রী। 

এই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি। তিনি বলেন, ‘আমরা অদম্য জাতি। আমরা ৫২’এর ভাষা আন্দোলনে প্রমাণ করেছি, ৭১’এর মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রমাণ করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছি, আমরা স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জন করেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে রূপকল্প দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে, সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা নিয়ে।’ 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সকলের জন্য। সুস্থ স্বাভাবিক, বিশেষভাবে সক্ষম, নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ সকলের জন্য আগামী দেশ কল্পনা করি। সকলকে উৎসাহ দিতে এই স্মার্ট বাংলাদেশ রান আয়োজন করা হয়েছে। আজকে যেমন ৭.৫ কি.মি পেরিয়ে যাওয়ার জন্য লক্ষ্য ছিল ৭৫ মিনিট একইভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্যপূরণের জন্য আমাদের সময় আছে ১৭ বছর। যার যার জায়গা থেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে একজন উদ্ভাবনী, সমস্যার সমাধানকারী নাগরিক হিসেবে অবদান রাখার পাশাপাশি নিজেদের আমরা স্মার্ট নাগরিক হিসেবে তৈরি করবো। সুস্থ-সবল মেধাভিত্তিক স্মার্ট নাগরিকদের নিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।’

ইভেন্টের প্লাটিনাম স্পন্সর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) এবং গোল্ড স্পন্সর এসএসএল ওয়ারল্যাস, সাবলাইম লিমিটেড, লীড একাডেমি এবং আমিই প্রবাসী। এছাড়া, ভেন্যু ও মিডিয়া পার্টনার আরটিভি; মিডিয়া পার্টনার টি-স্পোর্টস, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ঢাকা পোস্ট; অ্যাওয়ার্ড পার্টনার একপে ও ট্যুর গ্রুপ বিডি; ফুড ও বেভারেজ পার্টনার কর্নফ্লেক্স, মীনা বাজার, ডিজিবক্স, স্কিল ফাইন্যাস ও গোল্ড কিনেন; ইলেকট্রোলাইট পার্টনার এসএমসি প্লাস; ইভেন্ট পার্টনার রান বাংলাদেশ এবং সেইফটি পার্টনার সিভিল সার্জন অফিস, ঢাকা ও ব্লাডম্যান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো: মামুনুর রশীদ ভূঞা, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান, পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, প্রজেক্ট ম্যানেজার মাজেদুল ইসলাম, হেড অব কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস পূরবী মতিনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

   

বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেট সেরা বোলিংয়ে রাজার সঙ্গী যারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। সাকিব, সোহান, ইয়াসির রাব্বিসহ এভাবে একে একে শেখ জামালের আট ব্যাটসম্যানই শিকার রেজাউর রহমান রাজার। ৬ ওভার ৩ বলের স্পেলে ২৩ রানে শিকার আট উইকেট। রাজার এই বোলিং পরিসংখ্যানই লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা।

রাজা বোলিংয়ে আসার আগেই সাজঘরে ফেরেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। যে তান্ডব রাজা চালিয়েছিলেন তাতে ঝুঁকি নিয়ে একটা কথা বলে যেতেই পারে ওপেনিং স্পেলে বল করলে রাজা হয়তো দশ উইকেটই পেতেন। আবার এভাবেও বলা যায়, হাতে উইকেট থাকলে কিংবা আর দুই এক ওভার বল করলেই পেতে পারতেন দশ উইকেটও। কারণ ২৩ রানে আট উইকেট শিকারের দিন এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিলেন রাজা।

লিস্ট এ তে বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে এতোদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিলো ইয়াসিন আরাফাত মিশুর।  ২০১৮ সালে গাজী গ্রুপের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

তিনে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিন কিংবদন্তি ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে শিকার করেন ৭ উইকেট।

চলতি ডিপিএলেই ২০ রানে সাত উইকেট শিকার করা আবু হায়দার রনি আছে লিস্টের চারে।

;

টানা দ্বিতীয়বার ফেড কাপের ফাইনালে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ২-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।

আজ (মঙ্গলবার) মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে অনেকটা সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করে দুই দল। একের পর আক্রমণ গড়েও মোহামেডান পুলিশের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে এই অর্ধে যে কয়টি সুযোগ এসেছিল তা লুফে নিতে না পারার আক্ষেপ ছিল পুলিশের।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সে আক্ষেপ ঘুচে যায় তাদের। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই মোহামেডান বক্সে পুলিশের হানা। ৪৬ মিনিটে মুরিওর ফ্রি কিকে হেড করেন উখমাতোভ, পোস্টে লেগে বল প্রবেশ করে জালে। মোহামেডান গোলকিপার সুজন তা ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ার দ্বিগুণ উদ্যমে আক্রমণ শানায় মোহামেডান। ৬৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডে জাল খুঁজে পেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে মোহামেডান। বক্সের ভেতর সুলেমান দিয়াবাতের শট ব্লক হওয়ার পর ফিরতি শটে গোল পেয়ে যান সানডে।

৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যায় মোহামেডান। এ যাত্রায় গোলের কারিগর বনে যান সানডে। তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মোহামেডানকে আনন্দে ভাসান শাহরিয়ার ইমন।

আগামী ১৪ মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস।

;

ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন তৈয়ব হাসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।

বুধবার (৮ মে) তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এদিন এমিরেটস এয়ারলাইনযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পৌঁছে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিতে যোগদান করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামী ১২ মে তিনি দেশে ফিরবেন।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি-তে তিনি ১০ বছর এলিট রেফারি হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি (শতাধিক) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব হাসান প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারি হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন এই কৃতি রেফারি।

করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান বাবু দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ এক লাখ টাকা তিনি দুস্থ, পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করেন।

রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৈয়ব হাসান বাবুকে পুরস্কৃত করেছে।

 

 

;

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের লেজের সারির ব্যাটার ফারাজ আকরাম লড়াই করলেন। ব্যাটিং ধসের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে রইলেন। টপ এবং মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় জয় তবু অধরাই রইল তাদের। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জয়লাভ করল ৯ রানে। এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার জয়লর্ড গামবিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। সাইফউদ্দিনের বল ক্যাচ তুলে দেন গামবি, ডিপ থার্ড ম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহ সহজ ক্যাচ তালুতে জমিয়ে গামবির বিদায় নিশ্চিত করেন। 

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকেও নিজের শিকার বানান এই সিরিজ দিয়ে ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার বলে ঠিকঠাক শট না খেলতে পেরে বল স্টাম্পে টেনে আনেন এরভিন (৭)।

সাইফউদ্দিনের দুই উইকেটের মাঝে ব্রায়ান বেনেটকে কট এন্ড বোল্ড করেন শরিফুলের জায়গায় একাদশে ঢোকা তানজিম সাকিব। প্রথম ৬ ওভারে ৩৩ রান তুলতেই এই তিন উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

পাওয়ার প্লে’র পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টির বিচারে অসম্ভব কোনো লক্ষ্য না হলেও ১৬৬ রান তাড়ায় একেবারেই ছন্দ খুঁজে পায়নি সিকান্দার রাজার দল।

জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার গতিতে পরাস্ত হয়, মিডল অর্ডার ঘূর্ণিতে। তবে লেজের সারির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখে জিম্বাবুয়ে। নবম উইকেটে ৫৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন ফারাজ এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে ফারাজ ১৯ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে সফরকারীরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৯ রান তুলতেই হারাতে হয়েছে ২ উইকেট। ফর্মহীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন লিটন দাস। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে আদৌ দলে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাস্যকরভাবে নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন লিটন। মুজারাবানিকে টানা দুইবার স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েও তৃতীয়বার একই কাজ করার চেষ্টা করে বোল্ড হয়েছেন। ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন ১২ রান।

অধিনায়ক শান্তও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। সিকান্দার রাজার আর্ম বল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।

চতুর্থ উইকেটে হৃদয়-জাকের মিলে গড়ে তোলেন ৮৭ রানের জুটি। তাদের জুটিতে লড়াইয়ের রসদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেছেন হৃদয়। একই ওভারে মুজারাবানির ইয়র্কারে ধরাশায়ী হওয়া জাকের আলি করেছেন ৪৪ রান। তাদের নৈপুণ্য ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

আগামী ১০ মে (শুক্রবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;