রিশাদ নৈপুণ্যে জয় দিয়ে প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিন খ্যাত এই ক্রিকেটার মূলত বোলিং বিভাগে নজর কেড়ে জায়গা পান জাতীয় দলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ব্যাট হাতে সেভাবে দেখা মেলেনি তার। তবে নিউজিল্যান্ড সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দেখা মিলল রিশাদের অন্য এক রুপ। ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালালেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর বল হাতেও দেখালেন নৈপুণ্য। এতে নিউজিল্যান্ড একাদশকে ২৬ রানে হারিয়ে প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই সারল বাংলাদেশ।

৩৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে স্বাগতিকদের শুরুতেই চাপে ফেলে বাংলাদেশ। মাঝে পোপলি-প্যাটেল জুটি হয়ে উঠেন ভয়ঙ্কর। তবে সেখানে বাঁধা দেন অফস্পিন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। এরপর শেষদিকে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান থামে নিউজিল্যান্ড একাদশ। 

আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান তোলে সফরকারীরা।

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড একাদশ। ৮০ রানেই শুরুর চার ব্যাটারের উইকেট হারায় তারা। তবে সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ভারত পোপলি ও সন্দীপ প্যাটেল। সময় গড়ালে থিতু হওয়া এই জুটি দাঁড়ায় ১৫৬ রানে। সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন পোপলি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই ডানহাতি ব্যাটারকে থামান আফিফ। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৯০ বলে নিজের ব্যক্তিগত খাতায় ৯২ রান যোগ করেন পোপলি। 

এরপর সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা প্যাটেলকেও ফেরান আফিফ। ৭৭ বলে ৮৯ করা প্যাটেল ফেরেন ৪২তম ওভারে, সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। সেখানেই ম্যাচ ফের নিজেদের দখলে নেয় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভার ২ বলে ৩০৮ রানে থামে নিউজিল্যান্ড একাদশ। 

রিশাদ নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট, আফিফ ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। ২৬ বলে ৩৩ রানে করে ফিরলে ভাঙে ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি।

এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে রানের গতি সচল রেখে এগোন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। গড়েন ১০১ রানের দলীয় সর্বোচ্চ জুটি। ৪৬ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন তামিম। এরপর সৌম্যও টিকলেন না বেশিক্ষণ, লম্বা ইনিংসের আভাস দিয়েও ফিরলেন দলীয় ১৭০ রানের মাথায়। এর আগে ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৭১ বলে ৫৯ রান।

এরপরই কিছুটা ট্র্যাক হারায় সফরকারীরা। এক ওভার বাদে তাওহীদ হৃদয় ফেরেন খালি হাতে। এবং আফিফ হোসেন ফেরেন ১০ রানে। স্কোরবোর্ডে তখন ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। তবে সেখানে সময় গড়িয়ে থিতু হন লিটন দাস এবং ব্যাট হাতে নিজের নৈপুণ্য দেখান রিশাদ।

৬৬ বলে ৫৫ রান করে লিটন ফিরলেও রিশাদ টিকে থাকেন শেষ ওভার পর্যন্ত। ইনিংস শেষের এক বল আগে পোমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে ৫৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৮৭ রান। কিউইদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন সামার্থ সিং।

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;