কোহলি-রোহিতদের কোচ থাকতে চান না দ্রাবিড়



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কে জানে, ১৯ নভেম্বর রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত উৎসব করতে পারলে হয়ত দ্রাবিড়ের সিদ্ধান্ত অন্যরকম হতে পারত। তবে তেমনটা হয়নি। বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে ভারত। দ্রাবিড়ও তাই ভারতের কোচ হিসেবে চুক্তি নবায়নে আর আগ্রহী নন, এমনটাই খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের হেড কোচের পদ ছাড়তে চাইছেন দ্রাবিড়। তার জায়গা নিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন দ্রাবিড়ের সাবেক সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণ। ভারতের কোচ হতে তার আগ্রহের কথা জানিয়ে সে সূত্র বলেন, 'এই পদের জন্য অনেক আগ্রহ দেখিয়েছেন লক্ষ্মণ। বিশ্বকাপ চলাকালে তিনি আহমেদাবাদে গিয়ে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও করেছিলেন।’

শিগগিরই ভারতের কোচ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে পারেন বলেও যোগ করেছে সে সূত্র, ‘উনি একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করবেন এবং দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন স্থায়ী কোচ হিসেবে।'

আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সূর্যকুমারদের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন লক্ষ্মণ।

এদিকে দ্রাবিড়ের চুক্তি নবায়ন করতে না চাওয়ার বিষয়টি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন বিসিসিআইয়ের অপর একটি সূত্র, ‘ফুল টাইম কোচ হিসেবে আর কাজ করতে চান না দ্রাবিড়, বিষয়টি তিনি বিসিসিআইকে জানিয়েছেন। ২০ বছর ধরে টানা ক্রিকেট খেলেছেন, কোচ হিসেবে আবারও একইরকম চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তাই এটা আর করতে চাচ্ছেন না তিনি।’

জাতীয় দলের কোচের পদ ছাড়লেও কোচিং থেকে নির্বাসন নিতে চান না দ্রাবিড়। বরং কোহলিদের দায়িত্ব নেয়ার আগে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীতে যে দায়িত্বে ছিলেন সেখানেই তিনি ফিরে যেতে চান বলেও জানায় বিসিসিআইয়ের ওই সূত্র, ‘সে দায়িত্বে ফিরে গেলে তার নিজের শহর বেঙ্গালুরুতে থাকতে পারবেন। দ্রাবিড় এখন আর পূর্ণকালীন কোচিংয়ে আগ্রহী নন, তবে মাঝেসাঝে কোচিং করাতে আপত্তি নেই তার।’

   

দিল্লিকে উড়িয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলেন কোহলিরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা পঞ্চম জয়ে প্লে-অফের সূক্ষ্ম সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফর্মের তুঙ্গে থাকা দক্ষিণ ভারতের দলটির সামনে টিকতেই পারল না। মন্থর ওভাররেটে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করতে থাকা অধিনায়ক রিশাভ পান্তকে ছাড়া খেলতে নেমে বেঙ্গালুরুর কাছে ৪৭ রানে হারল দিল্লি। 

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান সংখ্যক পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে ছয়ে ক্যাপিটালস।

বেঙ্গালুরু মাঠে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দিল্লি। ইনিংস শুরু করতে নেমে ২৭ রান করেন কোহলি। মিডল অর্ডার ব্যাটার রজত পতিদারের ফিফটির সঙ্গে উইল জ্যাকসের চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে লড়াকু স্কোরের ভিত পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। ৫২ রান আসে পতিদারের ব্যাট, ৪১ রানে থামেন ইংলিশ ব্যাটার জ্যাকস।

ক্যামেরন গ্রিনের ২৪ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ক্যামিওতে ফুলেফেঁপে ওঠে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে তারা। দিল্লির পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন রাসিখ সালাম এবং খলিল আহমেদ।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে দিল্লি। ৩০ রানে ৪ ব্যাটারকে হারায় তারা। মিডল অর্ডারকে ব্যাট করতে নেমে একাকী লড়াই চালান পান্তের জায়গায় দিল্লির অধিনায়কত্ব করা অক্ষর প্যাটেল। তবে তার ৩৯ বলে ৫৭ রানের লড়াকু ইনিংস শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি।

ইয়াশ দয়াল-লকি ফার্গুসনদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে দিল্লির ব্যাটিং। ১৯.১ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে গেছে তারা। ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন দয়াল, দুই উইকেট যায় ফার্গুসনের ঝুলিতে।

ব্যাট হাতে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস, পাশাপাশি বোলিংয়ে এসে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ১ উইকেট ও ফিল্ডিংয়ে একটি রানআউট করে ম্যাচসেরা হন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন।

;

আতহারের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়েছে যাদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। তবে বাংলাদেশ এখনো দল চূড়ান্ত করতে পারেনি। যদিও শোনা যাচ্ছে, ১৫ জনের দল চূড়ান্ত করে আইসিসির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, দুয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণাও হতে পারে। তবে তাসকিন আহমেদের চোট এবং আরও দুয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল পেতে অপেক্ষা আরও বাড়তে পারে।

তবে বিসিবির আগেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের পরিচিত মুখ এবং আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে তার প্রেডিকশন দিয়েছেন। বিশ্বকাপে ১৫ জনের বেশি স্কোয়াডে রাখার সুযোগ না থাকলেও একজন বাড়তি বোলারসহ বিশ্বকাপের রিজার্ভ তালিকায়ও কারা থাকছেন সেই নামের তালিকাও দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা ১৯ জনের।

আতহারের পনেরো জনের বিশ্বকাপ দলে আছেন লিটন দাস। যদিও তার সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফর্ম নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। লিটনকে দলে রাখা নিয়ে আতহারের মত, ‘লিটন অনেক ভালো খেলোয়াড়। মানছি সে ফর্মে নেই। কিন্তু আমার মতে সে ফর্মে ফেরা থেকে মাত্র এক ইনিংস দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিশ্চিত লিটনের মতো ক্যালিবারের ব্যাটারকে ছাড়া বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যাবে না।’

ওপেনার হিসেবে আতহারের অন্য দুই পছন্দ তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীকে দিয়ে মিডল অর্ডার সাজিয়েছেন আতহার। স্পিন বিভাগে রেখেছেন অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকে।

আতহারের পেস ব্যাটারিতে জায়গা হয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদের মধ্যে যে কোনো একজন হয়তো জায়গা পাবেন বলে মত তার। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে এই সাবেক ক্রিকেটারের পছন্দ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

আতহার আলী খানের বিশ্বকাপ দল

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক) তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব/হাসান মাহমুদ।

রিজার্ভ: মোহাম্মদ নাঈম, পারভেজ হোসেন ইমন ও নুরুল হাসান সোহান

;

জাদেজার ‘অদ্ভুত’ আউটের ম্যাচে চেন্নাইয়ের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ইনিংসেই যেন ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। চেন্নাইয়ে সুপার কিংসের মাঠে স্বাগতিকদের ১৪২ রানের লক্ষ্য দিয়ে জেতার স্বপ্ন দেখা কঠিনই। সে স্বপ্ন সত্যি হয়নি তাদের। স্বাগতিক দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই। ৫ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে।

১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট চালান চেন্নাই ব্যাটাররা। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় নিজেই রান তাড়ার মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৪১ বলে ৪২ রানের ধীরস্থির ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রুতুরাজ।

তবে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং ইনিংসে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল রবীন্দ্র জাদেজার অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হওয়া। রান নেয়ার সময় রাজস্থান উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের থ্রো তার গায়ে লাগার পর আউটের আবেদন জানায় দলটি। তৃতীয় আম্পায়ার জাদেজাকে আউট দিয়ে দেন। ‘বিমর্ষ’ জাদেজাকে ৫ রানেই ধরতে হয় সাজঘরের পথ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দেন সিমারজিত। রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার যশস্বী জয়সোয়াল (২৪), জস বাটলার (২১) এবং সঞ্জু স্যামসনকে (১৫) তুলে নেন এই পেসার।

মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রিয়ান পরাগ। ৩৫ বলে ১ চার সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিও রাজস্থানের সংগ্রহকে ভদ্রস্থ করায় ভূমিকা রাখেন ধ্রুভ জুরেল।

সিমারজিত ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট যায় তুষার দেশপান্ডের ঝুলিতে। মুস্তাফিজ, পাথিরানা, দীপক চাহারদের অনুপস্থিতিতে বোলিং বিভাগের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন এই দুই তরুণ পেসার।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে গেল চেন্নাই। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পাওয়া রাজস্থানের অবশ্য হারের পরও প্লে-অফ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই।

;

‘সেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে খেলেই বিদায় বললেন উইলিয়ামস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শন উইলিয়ামসের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেই। ২০০৬ সালে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে অভিষেকের পর ১৮ বছর জিম্বাবুয়ের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন। এবার সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিলেন জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

শুরু আর শেষে প্রতিপক্ষে মিল থাকলেও ফলাফলে ইতিবাচক অমিল রয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচে ৪৩ রানে হেরেছিল দল। তবে বিদায়ের দিনে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

আজ (রবিবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ জেতার পর ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের সামনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তবে টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৮১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন উইলিয়ামস। ১২৬.৩৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে করেছেন ১৬৯১ রান। বল হাতেও অবদান রেখেছেন। ৭৩ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ৪৮ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

;