সেই মোস্তাফিজই এনে দিলেন ব্রেকথ্রু



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুর ধাক্কা সামলে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন উইল ইয়াং এবং হেনরি নিকোলস। বাংলাদেশের অন্য বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে মোস্তাফিজকে এনে দিতে হলো আরাধ্য ব্রেকথ্রু।

১৬ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেছিলেন ওপেনার উইল ইয়াং এবং চারে নামা হেনরি নিকোলস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কিউইদের সর্বোচ্চ ৯৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির প্রলোভন ত্যাগ করে এক-দুই রান করে নিয়ে, দ্রুতলয়ে প্রান্ত বদলে নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তারা।

তবে মোস্তাফিজুর রহমান বাদ সাধলেন। নিকোলসকে ৪৪ রানে ফেললেন লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি তার। ১১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল সফরকারীরা।

নিকোলস ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেয়া উইল ইয়াং এখনো টিকে আছেন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে জীবন পেয়েছিলেন এই কিউই ওপেনার। তানজিম হাসান সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হতে পারতেন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিবের বল তার পায়ে আঘাত হানলেও আম্পায়ার আউট দেননি। উইকেটকিপার সোহানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর রিভিউ না করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন। হকআই রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত হানত।

মাঠের বিগ স্ক্রিনে সেটা দেখে আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশের। 'জীবন' পেয়ে তা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন ইয়াং।

   

মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের তুরুপের তাস হবেন কে, জানালেন সাউদি



বার্তা ২৪ স্পোর্টস
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টের উইকেট স্পোর্টিং হলেও সে ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররাই। ম্যাচে ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩২টিই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। তবে মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনবান্ধব হয়, যা কমবেশি প্রায় সবারই জানা আছে। এমনকি এই মাঠে বাংলাদেশ দল এর আগেও স্পিন-জ্বরে ভুগিয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোকে। তাই তো সবমিলিয়ে আরেকটি স্পিন যুদ্ধের অপেক্ষায় আছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি।

২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। তবে এই ম্যাচকে সামনে রেখে নিজেদের স্পিনের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করছে নিউজিল্যান্ড। এমনটি ম্যাচপূর্ব প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি।

তিনি বলেন, 'এই কন্ডিশনে স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশিত। প্রথম টেস্টে তা–ই হয়েছে। এখানেও তা–ই হওয়ার কথা। তবে এটা ঠিক, কাইল (জেমিসন) সিলেটে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছে। এই কন্ডিশনে তাকেও বেশ ভয়ঙ্কর মনে হয়েছে। তবে এখানে সব সময়ই লড়াইটা হবে স্পিনের। এটাই প্রত্যাশিত। দ্বিতীয় টেস্টেও তা–ই হবে হয়তো।'

সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। তাই মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের লেগস্পিনার ইশ সোধিকেই তুরুপের তাস মনে করছেন সাউদি।

তিনি বলেন, 'টেস্টে সে ভালো করেছে এবং ওয়ানডেতেও তার সাফল্য আছে। কিন্তু আমরা বোলিং গ্রুপ হিসেবে প্রথম টেস্টের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই এবং চাপ তৈরি করতে চাই। আমরা জানি এখানে স্পিন বড় ভূমিকা রাখে আমার মনে হয় আমাদের আরও দীর্ঘ সময় ধরে ভালো খেলতে হবে।”

;

ঢাকা টেস্টের আগে দিনের অনুশীলনে নাঈমের চোট 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সিলেট টেস্টে দাপুটে জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এতে ঘরের মাটিতে আরও একটি ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের। আগামীকাল (বুধবার) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ম্যাচটি। এর আগেই দুঃসংবাদ পেল স্বাগতিকরা। মিরপুরে আজ (মঙ্গলবার) শেষ সময়ের অনুশীলনে চোট পান ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান।

এরপরই তাকে নেট থেকে সরিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন দলের ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম। তার ডানহাতের তর্জনী থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে চোট কতটা গুরুতর তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

নেটে মূলত ব্যাটিং অনুশীলনের সময় এই চোট পান নাঈম। অপর প্রান্তে তখন বল করছিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। 

সিলেট টেস্টে স্পিনার অংশের গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন তাইজুল ইসলাম। তবে তাকে বেশ ভালো সঙ্গ দিয়েছেন নাঈম। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিন উইকেট পেলেও তার বল মোকাবেলায় প্রায় সময়ই বেগ পেতে হয়েছে কিউই ব্যাটারদের।

;

‘শান্তর নেতৃত্ব অসাধারণ’



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে, লিটন দাস পারিবারিক কারণে আছেন এক মাসের লম্বা ছুটিতে। তাতেই আরও একবার কপাল খুলে নাজমুল হোসেন শান্তর। বিশ্বকাপ আগেই কিউই সিরিজে পেয়েছিলেন ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের সুযোগ। সেই খুব একটা স্মরণীয় করতে পারেননি তিনি। তবে বিশ্বকাপের পরেই লাল বলের ক্রিকেটে দেখালেন বাজিমাত।

টেস্ট নিজের ক্যাপ্টেন্সির অভিষেকে করলেন সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের হয়ে যেকোনো অধিনায়কের জন্য যা প্রথম। সিলেটের সেই টেস্টে পেলেন জয়ের দেখা। এরপরই তার নেতৃত্বের প্রশংসায় মেতেছেন নানা মহলের মানুষ। সেই দলে নাম লেখালেন দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও। আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেন হাথুরুসিংহে। ভবিষ্যতে নিয়মিত অধিনায়কের দৌড়ে শান্তকে ভালোভাবেই এগিয়ে রাখছেন তিনি।

হাথুরুসিংহে বলেন, ‘অধিনায়কত্ব আর নেতৃত্ব দুটো কিন্তু আলাদা বিষয়। অধিনায়কত্বটা সে (শান্ত) দারুণ করেছে। ম্যাচে সে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে ছিল। দারুণ ফিল্ডিং সাজিয়েছে। কখনো আন-অর্থোডক্স ছিল, কিন্তু বেশ সফল ছিল।’

অধিনায়ক আর নেতৃত্ব আলাদা করে তার দুটি দিকেরই প্রশংসা করেছেন হাথুরুসিংহে। এবং তাকে সামনেও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে মুখিয়ে আছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বের দিক থেকেও শান্ত বেশ ভালো ছিল। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বিষয়টা বেশ ভালো, আমার মনে হয় তার সামনে লম্বা একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সে অধিনায়ক থাকবে কি না, সে বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তাকে আমি অধিনায়কত্বের জোর দাবিদার হিসেবেই দেখছি।’

ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ শেষে কিউই সফরের যাবে বাংলাদেশ। সেখানে সাদা বলের দুই ফরম্যাটেরই সিরিজ খেল্বেন শান্ত-মিরাজরা। সফরটির দুই দলের নেতৃত্বের দায়িত্বও পেয়েছেন শান্ত। 

 

;

কিউইদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তানের মেয়েরা 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না পাকিস্তান ক্রিকেটের। বিশ্বকাপের ব্যর্থ অভিযানের পর নেতৃত্ব থেকে শুরু করে পুরো কোচিং প্যানেল ঢেলে সাজিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অন্যদিকে, নারী ক্রিকেট দল পার করছিলেন হতাশার সময়। অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে হয়ে যাওয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটিতেই হারে পাকিস্তানের মেয়েরা। হতাশা তাই ভালোভাবেই গ্রাস করেছিল তাদের। 

তবে তা কাটিয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নিলেন না নিদা-ফাতিমারা। কিউই সফরেই দাঁড়ালেন ঘুরে। তাও আবার ইতিহাস সৃষ্টি করে। এর আগে ডানেডিনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের ৭ উইকেট হারায় নিদা দারের দল। সেটিই ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়। 

এরপর আজকের (মঙ্গলবার) ম্যাচেই গড়লেন ইতিহাস। স্বাগতিকদের ১০ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জেতে পাকিস্তান। কিউইদের বিপক্ষে এটি প্রথম সিরিজ জয়, ২০১৮ সালের পর হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে প্রথম সিরিজ জয়, এমনকি এশিয়া এবং আয়ারল্যান্ডের বাইরেও এটিই পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। 

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। সেখানে মুনিবা আলির ৩৫ রান এবং আলিয়া রিয়াজের ৩২ রানের ভরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তোলে সফরকারীরা। 

সেখানে শুরু থেকেই কিউইদের চাপে রাখেন নিদারা। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই চার কিউই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান ফাতিমা-সাদিয়ারা। পরে, জর্জিয়া প্লিমার (২৮) ও হান্না রউয়ে (৩৩) স্বাগতিকরা জয়ের স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত তাদের একাই থামান ফাতিমা। ডানহাতি এই পেসার নেন তিন উইকেট। 



;