ভারত-শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য ফাইনালে রেকর্ড বইয়ে ঝড়
এশিয়া কাপের ফাইনাল। মুখোমুখি ভারত-শ্রীলঙ্কা। রোমাঞ্চ-রূপকথার ডালি সাজিয়ে বসার কথা এই মহারণের। কিন্তু সেসব আর হলো কই! এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হতে না হতেই শেষ। সাকুল্যে খেলা হলো সাড়ে ২১ ওভার। না, এশিয়া কাপের নিয়মিত ‘অতিথি’ বৃষ্টির তাতে কোনো অবদান নেই। ভারতীয় পেসারদের আগুনে বোলিং আর শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ‘ভূত দেখা’ ব্যাটিংয়ে ১০০ ওভারের ওয়ানডে পরিণত হলো টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে।
এমন অবিশ্বাস্য ম্যাচে যে একগাদা কাঙ্ক্ষিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড হয়েছে তা না বললেও চলে। চলুন সে রেকর্ডের তালিকায় একটু চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক!
> ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে ভারতের চতুর্থ সেরা বোলিং করলেন মোহাম্মদ সিরাজ। আর এশিয়া কাপে এটাই ভারতীয় কোনো বোলারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। এশিয়া কাপের ইতিহাসে সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেরা, ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে১৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস।
> মাত্র ১৬ বলের মধ্যে প্রথম ৫ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ, ওয়ানডেতে যা সবচেয়ে কম বলে পাঁচ উইকেট নেয়ার দিক দিয়ে যৌথ দ্রুততম। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে চামিন্ডা ভাসও ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। এ বছরের এপ্রিলে তৃতীয় বোলার হিসেবে ১৬ বলে ৫ উইকেট নেন যুক্তরাষ্ট্রের আলী খান।
> শ্রীলঙ্কার ১০ উইকেটের সবগুলো গিয়েছে ভারতীয় পেসারদের ঝুলিতে। ভারতের ইতিহাসে ওয়ানডেতে সপ্তমবারের মতো এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিলেন পেসাররা, এশিয়া কাপে প্রথম।
> ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মাত্র ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সবচেয়ে কম রানে ৬ উইকেট হারানো দলের তালিকায় তাদের সঙ্গী শুধু কানাডা। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২ রানে ও ২০১৩ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১০ রানে ৬ উইকেট খোয়া যায় তাদের।
> ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। অবধারিতভাবেই এশিয়া কাপে কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ডও তাতে গড়া হয়ে গেছে লঙ্কানদের। তাতে ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে ৮৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের নাম লজ্জার এই রেকর্ডের শীর্ষস্থান থেকে সরল।