মিরাজ- শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রানোৎসব



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশের কাছ থেকে এমন ব্যাটিংই তো আশা করেছিল সমর্থকরা। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই, এমন সমীকরণের ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্যের সবটা ঢেলে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের দুজনের জোড়া সেঞ্চুরিতে নিজেদের 'ডু-অর-ডাই' ম্যাচে আফগানিস্তানের সামনে বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জিততে হলে রশিদ খানদের চাই ৩৩৫ রান।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে কিছুটা পরিবর্তন করে নাঈম শেখের সঙ্গী হিসেবে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাতেই পাল্টে যায় পাশার দান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যেখানে মাত্র ৪ রানেই ভেঙেছিল ওপেনিং জুটি, সেখানে আজ দুই ওপেনার নাঈম-মিরাজ মিলে প্রায় টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে প্রথম পাওয়ারপ্লে'তে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৬০ রান।

যদিও পাওয়ারপ্লে'র শেষ বলে নাঈম (২৮) এবং তার তিন বল পড়ে তাওহিদ হৃদয় (০) ফিরে গেলে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। তবে তৃতীয় উইকেটে দুই সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ১৯৪* রানের জুটিতে চার বলের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেয়ার সঙ্গে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

১১৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান মিরাজ। দলীয় সর্বোচ্চ ১১২ রানের ইনিংস খেলে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। অন্যদিকে ১০১ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে শতকের দেখা পাওয়া শান্ত ব্যক্তিগত ১০৪ রানে ফেরেন রানআউটের শিকার হয়ে।

শেষদিকে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ১৫ বলে ২৫ এবং সাকিব আল হাসানের ১৮ বলে ৩২* রানের ক্যামিও ইনিংসে চড়ে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

আজকের ম্যাচে করা ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানই এখন এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ৩ উইকেটে ৩২৬ রান, ২০১৪ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে। যদিও সে ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ।

আফগান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুজিব এবং নাঈব। ১০ ওভার বোলিং করে ৬৬ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন তারকা বোলার রশিদ খান।

   

সাকিবের ব্যাটে বঙ্গ’র স্টিকার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সময়ের বিবর্তনে এই নামটাই যেন পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ডে। দেশের অন্যতম এই তারকার ব্যাটের এবার স্টিকার পার্টনার হলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই চুক্তি হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্য সাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে থাকবে বঙ্গ’র স্টিকার।

আগামীকাল থেকে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দলে সাকিব না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে সব ঠিকঠাক থাকলে এই সিরিজ দিয়েই সাকিবের সঙ্গে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গ’র।

‘ব্যাট স্টিকার পার্টনার’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই পার্টনারশীপ এর অংশ হিসাবে, জনপ্রিয় এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এর লোগো বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচের সময় শাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে ২ বছর পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আগামী জিম্বাবুয়ের সিরিজ, যা ৩রা মে থেকে শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আহাদ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটা গৌরবময় ইভেন্ট। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা । তার ব্যাটের ‘স্টিকার পার্টনার’ হিসেবে আমরা যুক্ত হতে পেতে আনন্দিত। বঙ্গ বরাবরই শ্রেষ্ঠত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় বিশ্বাসী। আমরা তাই সবসময় চেষ্টা করি

আমাদের সীমানা ভেঙে অভিনব কিছু আনতে যাতে আমরা দর্শকদের স্পেশাল ফিল করাতে পারি। দেশের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে এই পার্টনারশিপ আমাদের সেই লক্ষ্যেরই একটি প্রতিফলণ।‘

অন্যদিকে এই পার্টনারশিপ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘বঙ্গ এই মুহুর্তে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। বিশেষ করে ওদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কন্টেন্টগুলো দেশের বিনোদন জগতের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আর আমরা সবাই জানি ক্রিকেট শুধুমাত্র একটি খেলাই নয়, কোটি কোটি মানুষের জন্য এক বিনোদনের মাধ্যমও। তাই বঙ্গ-এর মতো বিনোদন প্ল্যাটফর্মের সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব আশা করি এই বিনোদনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।‘

বঙ্গ বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারেরও বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ডাবিংকৃত কন্টেন্ট, নাটক, টিভি শো, সিরিজসহ বিশাল তাদের লাইব্রেরি। সম্প্রতি তারা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজনেস রিয়ালিটি শো ‘শার্ক ট্যাংক’-এর বাংলাদেশি সংষ্করণ তাদের প্লাটফর্মে সম্প্রচার  শুরু করেছে।  

এছাড়া পার্টনারশিপ নিয়ে বঙ্গ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আরো কিছু আকর্ষনীয় খবর আসতে চলেছে।

;

জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিলো ২-১ ব্যবধানে। সেটাও অবশ্য ২০২২ এর আগস্টে। অর্থাৎ এক বছর নয় মাস আগে। তবে এই সময়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। মাঝে একটা বিশ্বকাপও গিয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।

বিশ্বকাপে না থাকলেও জিম্বাবুয়েকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্বাগতিক ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত। দুই দলের পার্থক্য দেখছেন না খুব একটা।

‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।‘

বিশ্বকাপ না খেললেও জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে দেখছেন কয়েকজনের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা মজবুতের শক্ত ভিত্তি হিসেবে। তবে শান্ত মনে করছেন এই সিরিজে খুব একটা পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ছে না। সিরিজ জেতা আর ঠিকঠাক প্রস্তুতিটাই আপাতত শান্তর প্রধান লক্ষ্য।

‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখবো কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো তা–ও না। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলবো না। আমি বলবো সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেনো আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।‘

শান্ত জিম্বাবুয়েকে যতটা শক্তভাবে নিচ্ছেন রাজা-উইলিয়ামস-বার্লরা আসলেই কী তাই? বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে কাটতে পারেনি বিশ্বকাপের টিকিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে বরং সেটাই হবে অঘটন।

;

৭ উইকেটের সহজ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে তা পুরোদস্তুর মামুলি বানিয়ে দিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। বাকি ২৭ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারালেও সফরকারীদের জয়ের পথে সেটি তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ১০ বল হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত নারী ক্রিকেট দল। 

টানা তিন ম্যাচেই সহজ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীতের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। 

লড়াকু সেই সংগ্রহের ভিতে জ্যোতিদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই । সেখানেই বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে ফেলে শেফালি ও মান্ধানা। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিফটি পেরিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান তোলা শেফালিকে ফেরান রিতু মনি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৭৪ বলে স্রেফ ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। এতে আরও এগেই লক্ষ্য পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের কিছুটা লড়াই চালানো স্পেলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৯তম ওভার পর্যন্ত পাড়ি দিতে হয় সফরকারীদের। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  

দাপুটে জয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রান করা শেফালি জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১১৭/৮ (২০ ওভার) (দিলারা ৩৯, নিগার ২৮; রাধা ২/২২, শ্রেয়াঙ্কা ১/২৪)

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১১৮/৩ (১৮.২ ওভার) (শেফালি ৫১, মান্ধানা ৪৭; রিতু ১/১০, রাবেয়া ১/২৪)

ফলাফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: শেফালি ভার্মা

;

ভারতের সামনে জ্যোতিদের ১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজের শুরুর দুই ম্যাচে হারের মূল ধাক্কাটাই ছিল ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় বাঁচা-মরার। সেখানেও টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। সেখানে শক্তিশালী ভারতকে থামাতে পরিস্থিতি দাবী করছিল বড় সংরহের। সেখানে দিলারা-জ্যোতিদের ব্যাটে চড়ে শুরুটা ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ফের আরও একবার মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের হতশ্রী পারফর্মে রানের ১১৭ রানে মামুলি সংগ্রহ নিয়েই ইনিংস শেষ করতে হয় বাংলাদেশকে। 

ইনিংসের শুরুর ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ছিল ২ উইকেটে ৮৩ রান। সেখান থেকে শেষ ৪২ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই আরও ৬টি উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে আগের দুই ম্যাচের টপ-অর্ডার ব্যর্থতা ছাপিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  



;