সুযোগ নষ্ট করে ড্র বাংলাদেশের
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার ঐতিহাসিক অভিষেকটা হলো গোলের হাপিত্যেশে। বাংলাদেশ কিংবা আফগানিস্তান, দুই দলের কেউই পায়নি গোলের দেখা। আফসোসটা বাংলাদেশেরই বেশি হওয়ার কথা। বড় বড় সব সুযোগ যে বাংলাদেশের কাছেই এসেছিল সবচেয়ে বেশি! সেসব কাজে লাগানো যায়নি ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। তাই ম্যাচটাও শেষ হয়েছে ০-০ স্কোরলাইন নিয়েই।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের পার্থক্য প্রায় ৩২ ধাপের। ১৫৭তম অবস্থানে থাকা আফগানদের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশ ছেড়ে কথা বলেনি। শুরু থেকেই আক্রমণ শানিয়েছে, খেলেছে হাই প্রেসের কৌশলে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নেমেছে মাঠে। সাফে সাফল্যের ধারাটা এই ম্যাচেও টেনে আনতে চান, কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কিংবা অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া দুজনের চাওয়াই ছিল সেটা।
ম্যাচে সেটা বাংলাদেশ দেখিয়েছে। ম্যাচের প্রথম বড় সুযোগটা বাংলাদেশের সামনে। ২২ মিনিটে শেখ মোরসালিনের বাড়ানো বল রাকিব হোসেন প্রতিপক্ষ বক্সে অনেকটা ফাঁকায় পেয়ে যান। তবে সে যাত্রায় তাকে আটকান মুসাওয়ের আহাদি, দারুণ এক ট্যাকলে ঠেকান তার শট।
২৬ মিনিটে আফগানরাও সুযোগ পেয়েছিল গোলের। বক্সে রক্ষণের জটলা থেকেই নোমা ওয়ালিজাদা করে বসেন শট, তারিক কাজির পায়ে লেগে বলটা দিক বদলায়, তবে শেষমেশ তা আর জালে জড়ায়নি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বাংলাদেশ।
২৮ মিনিটে গোলরক্ষক ফয়সাল হামিদির ভুলে দারুণ সুযোগই পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সুযোগসন্ধানি মোরসালিনের পায়ে বলটা যাওয়ার আগেই তা শুধরে নেন তিনি, বলটা ক্লিয়ার করে বিপদমুক্ত করেন আফগানদের।
এরপর বক্সের পাশে একাধিক ফ্রি কিক পেয়েছে বাংলাদেশ। কাজে লাগাতে পারেনি একটিও। তাই গোলশূন্যভাবেই প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল। ৫৬ মিনিটে গোলের সবচেয়ে বড় সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। রাকিব বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন, ট্যাকলের শিকার হওয়ার আগে পাস বাড়িয়ে দেন মোরসালিনকে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বলটা মোরসালিন মারেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে।
একই দৃশ্য দেখা গেল ১০ মিনিট পর পাওয়া সুযোগটাতেও। ফয়সাল ফাহিম বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রস বাড়িয়েছিলেন বক্সে থাকা রাকিবকে। বলটা তিনি আয়ত্বে নিলেও তার শট শেষমেশ ওই লক্ষ্যভ্রষ্টই হয়।
এরপর ছোটখাট অনেক সুযোগই এসেছে বাংলাদেশের পক্ষে। সেসবও কাজে লাগানো হয়নি। তাই গোলশূন্য ড্রই হয় ম্যাচের নিয়তি।