বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরকৃষ্ণ চাকমার বিকশিত পথ চলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরকৃষ্ণ চাকমা

বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সুরকৃষ্ণ চাকমা

  • Font increase
  • Font Decrease

দর্শকরা মাত্রই নড়েচড়ে বসেছে একটা জমজমাট ম্যাচ উপভোগের জন্য। প্রথম রাউন্ডে বেশ কয়েকবার থাইল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন বক্সার আনান পংখেট-কে পরাস্ত করেছেন বাংলাদেশের সুরকৃষ্ণ চাকমা। দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই অসাধারণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষের তলপেটে পাঞ্চ। তাতেই কাবু পংখেট। ছয় রাউন্ডের ম্যাচ হলেও প্রতিপক্ষ নাস্তানাবুদ দ্বিতীয় রাউন্ডেই।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে এভাবেই বাজিমাত করেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা। লাল–সবুজের পতাকা হাতে রিংয়ে তার দীপ্ত পদচারণা মুখরিত হয়ে ওঠে দর্শকদের বাংলাদেশ–বাংলাদেশ স্লোগানে।

‘বেক্সিমকো এক্সবিসি ফাইট নাইটে’ প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ করেছেন ২৯ বছর বয়সী দেশের উদীয়মান এই বক্সার।

এবারই প্রথম ছয় রাউন্ডের খেলায় অংশ নিয়েছেন সুরকৃষ্ণ। এ নিয়ে ছিলেন কিছুটা টেনশনেও। ‘আমি ভেবেছিলাম বক্সিং রিংয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হব। তবে যথাযথভাবে প্রতিপক্ষকে এক পাঞ্চেই ঘায়েল করতে পেরেছি। আর এই পাঞ্চ আয়ত্ব করার জন্য কয়েক হাজার বার অনুশীলন করেছি আমি, বলেন সুরকৃষ্ণ।

বক্সিংয়ে শুধু দুই হাত দিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করলেই হবে না, মানসিকভাবেও নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এ বিষয়ে সুরকৃষ্ণ বলেন, ‘আমার ফিলিপাইনি কোচ মানসিক প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই রপ্ত করিয়েছেন। আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই —এই জেদ ও ইচ্ছেটা তিনিই আমার মনের মধ্যে গেঁথে দিয়েছেন। এখন আমার লক্ষ্য আট রাউন্ডের বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া।’

সুরকৃষ্ণ চাকমার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠার গল্পটা ছিল সংগ্রামময়। গ্রামের অন্য কিশোরের মতো তিনিও ফুটবল আর ক্রিকেট নিয়েই মেতে ছিলেন। তবে বড় হয়ে ফুটবলার বা ক্রিকেটার নয়, ভিন্নধর্মী খেলা বক্সিং নিয়ে এক নতুন পথ তৈরি করে চলেছেন তিনি। পেশাদার বক্সিংয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করেছেন বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা সাউথ এশিয়ান প্রো বক্সিং চ্যাম্পিয়ন।

কেন বেছে নিলেন বক্সিং? সুরকৃষ্ণ বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি যখন বিকেএসপিতে ভর্তি হই, তখন ফুটবলের জন্য চেষ্টা করেছিলাম। ছোটবেলায় রাঙামাটিতে ফুটবল খেলতাম। খেলাধুলা মানেই বুঝতাম ফুটবল বা ক্রিকেট। বক্সিং সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। বিকেএসপিতে ফুটবলে চেষ্টা করে যখন সুযোগ পাইনি তখন বক্সিংয়ে আসলাম। ফুটবলের পাশাপশি মার্শাল আর্টও আমাকে টানত। তাই বক্সিংকেই ভালোবাসতে শুরু করে দিই।’

বিশ্বখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলি তার পছন্দের এবং অনুপ্রেরণার নাম। বাংলাদেশের পেশাদার বক্সিংয়ের যাত্রাপথ মসৃণ নয়। তবু অনুপ্রেরণায়, স্বপ্নে, প্রচেষ্টায় ভিন্নধর্মী এই খেলায় বিকশিত হয়ে উঠছেন একটু একটু করে। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হয়েছেন তিনি।

বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী বলেন, সুর কৃষ্ণ চাকমা একজন অসাধারণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। প্রচেষ্টা আর সাধনায় তিনি পেশাদার বক্সিং এর জগতে নিজের এবং বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছেন। তার অর্জনের ঝুলিতে ইতিমধ্যে যোগ হয়েছে অনেক অর্জন। সামনের দিনে সুর এর প্রতিভা বিকাশ এর সুযোগ তৈরি করতে আমরা তার সাথে যুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশের কোটি মানুষের দৈনন্দিন লেনদেন সহজ ও নিরাপদ করে তাদের জীবন উন্নয়নে কাজ করছে বিকাশ। সুর তার পথচলায় বিকাশ ব্যবহারে পেয়েছেন স্বাচছন্দ্য। তার খেলার জগতেকেও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতেই আমাদের এই যৌথ পথ চলা ।

এমনই বড়–ছোট নানান উদ্যোগে বিশ্ব বক্সিংয়ে বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন সুরকৃষ্ণ।

এরই মাঝে তার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক পেশাদার বক্সিং সাউথ এশিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং ফাইট নাইট—দ্য আল্টিমেট গ্লোরি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সুরকৃষ্ণ চাকমা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পেশাদার বক্সিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণপদক জয় করেছেন।

বাংলাদেশে পেশাদার বক্সিংয়ের চর্চা ছিল না, সুরকৃষ্ণ চাকমাকে দিয়ে সেটার শুরু। সুযোগটা কীভাবে এল? সুরকৃষ্ণ জানান, ২০১৪ সালে এসএ গেমসে সোনাজয়ী বক্সার আবদুর রহিমকে হারিয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। এরপর কমনওয়েলথ গেমসের দলে ডাক পান। ২০১৫ সালে লন্ডন থেকে আসেন কিক-বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আলী জ্যাকো। তিনি ফেডারেশনে ট্রায়ালের ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যন্ত সুরকৃষ্ণ একাই সুযোগ পান এবং লন্ডনে যান। লন্ডনে বিখ্যাত পিকক জিমে ছয় মাস অনুশীলন করেছেন তিনি। পেশাদার বক্সার হওয়ার ভিতটা তখনই মজবুত হয়। নামকরা অনেক বক্সার আসতেন সেখানে। সবাই তাঁকে দেখে উৎসাহ দিতেন। এরপর ২০১৮ সালে সুরকৃষ্ণকে পাঠানো হয় ভারতে। হরিয়ানার একটা একাডেমিতে ছয় মাস অনুশীলন করেন তিনি। বক্সিং ফাউন্ডেশনের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে এমন একটা ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং টুর্নামেন্ট হবে। সেই টুর্নামেন্টে সুরকৃষ্ণ তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে।

এই সংগ্রামময় যাত্রায় পরিবারের সহাযোগিতা কেমন পেয়েছেন? সুরকৃষ্ণ বলেন, আমার বাবা খেলোয়াড় ছিলেন। তাই খেলাধুলা নিয়ে কোনো বাধা ছিল না। ছোটবেলাতেই বাবা মারা যাওয়ার আমার পরিবার আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নয়। মা, মামা, কাকা মিলে তাই আমাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করে দেন। বিকেএসপির খরচ, পরিবারের খরচ—সবকিছু মামারাই দিয়েছেন।

খেলাধুলার পাশাপাশি সংগ্রামী সুরকৃষ্ণ চাকমা পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন নিজের আগ্রহে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি।

   

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;