লঙ্কানদের উড়িয়ে মিশন শুরু আফগানদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রহমানউল্লাহ গুরবাজ

রহমানউল্লাহ গুরবাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

জয় দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করল আফগানিস্তান। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে তারা উড়িয়ে দিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

আফগান বোলাররা জয়ের পথটা আগেই সহজ করে রেখেছিল। লঙ্কানদের গুটিয়ে দেয় ১০৫ রানে। ১০৬ রানের লক্ষ্যটা মাত্র দুটি উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে আফগানরা।এবং সেটা মাত্র ১০.১ ওভারেই।

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৩৭ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন হজরতউল্লাহ জাজাই। শ্রীলঙ্কার হয়ে একটি উইকেট পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

ফজলহক ফারুকী, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর দুরন্ত বোলিংয়ে অল্পকেই আটকে যায় শ্রীলঙ্কা। ১৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৫ রানেই থেমে যায় লঙ্কানদের ব্যাটিং অভিযাত্রা। দলীয় স্কোরে ৫ রান জমা হতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ব্যাটিং ধস সামলে উঠতে না পারায় একে একে কুশল মেন্ডিস (২), চারিথা আসালাঙ্কা (০) ও পাথুম নিসানকা (৩) ফিরে গেলে মহা বিপদে পড়ে লঙ্কানরা।

তবে দলকে মহাবিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দানুষ্কা গুনাথিলাকা- ভানুকা রাজাপাকসে। কিন্তু মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণি জাদুতে চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি তোলে ৩২ বলে ৪৪ রান। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান এনে দিয়ে ফেরেন গুনাথিলাকা। রাজাপাকসে ২৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে রান আউট হন। শেষ দিকে ৩৮ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩১ রান যোগ করেন চামিকা করুনারত্নে।

আফগানদের জার্সি গায়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকী। দুটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী। একটি উইকেট যায় নাভিন-উল-হকের পকেটে।

ম্যাচে শুরুতেই হাসিটা হাসেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। টস জিতেন নেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। অনেক দিন ধরেই দুবাইয়ের মাটিতে ক্রিকেট হচ্ছে না। সে কারণেই টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন নবী। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা জানালেন, টস জিতলে তিনিও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন।  

   

সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। স্বাধীনভাবেই দেশের মানুষের কাছে সমস্ত খবরাখবর পৌঁছে দিচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের যে উন্নয়ন, সেটাও তারা পালন করছেন। তবে দুই একটা ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।

শুক্রবার (৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে 'তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, কেউ কেউ বলেন, আমাদের দেশের সাংবাদিকেরা সরকার কর্তৃক নিষ্পেষিত হয়। আমি এর সঙ্গে একমত নই। সাংবাদিকেরা যদি কোনো ভুল করেন, সেখানে বিচার আছে, বিচার হতে পারে। বিচারে দোষী হলে শাস্তি হবে, সেটা ভিন্ন কথা। আর আমাদের আইনে যদি বলে জামিন দেওয়া যাবে না, এটা কেন জামিন দেওয়া যাবে না কথা নয়। এটা হলো জজ সাহেবের অধিকার। তিনি জামিন দিতেও পারেন, নাও পারেন। আইনের এই অথরিটির ব্যাপার জানতে হবে, বুঝতে হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকদের সত্য বলতে হবে, লিখতে হবে। তবে সেই সত্য যেন দেশপ্রেমে সত্য হয়। সেই সত্যের মাধ্যমে দেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আপনি যা দেখবেন, তা লিখতে পারেন। যদি না দেখা যায়, তা লিখলে সমাজের ক্ষতি হবে, দেশের ক্ষতি হবে। কিন্তু স্বাধীনভাবে লেখার যে অধিকার, সেই অধিকার সাংবাদিকদের থাকতে হবে এবং সাংবাদিকরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটি কীভাবে প্রকাশ করবেন। আর প্রকাশের সময় যদি দেশের ক্ষতিজনক কিছু প্রকাশ হয়, সেটার জন্য তো আইন রয়েছে। কিন্তু মানুষের অধিকারে হাত দেওয়া, মানুষের কথা বলতে পারার অধিকারকে বন্ধ করা, এটি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় এবং হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং মালিক এই তিনটা পক্ষ মিলেই এ দেশের সাংবাদিকতার উন্নয়নে কাজ করবে। সাংবাদিকরা যেন ‘ডেভেলপ’ করতে পারেন দেশের, দশের এবং মানুষের কাজ করতে পারেন, এদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।

প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, প্রেস কাউন্সিলের আইনে যতটুকু ক্ষমতা আমাকে দেওয়া আছে, এই ক্ষমতা যদি সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রয়োগ করতে হয়, তাহলে এটি প্রয়োগ করতে আমরা পিছপা হবো না।

বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দা নিলুফার নাসরিন।

;

পাওয়ার প্লে’তে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের ‘প্রস্তুতিমূলক’ সিরিজ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টস জিতে বোলিং নিয়ে পাওয়ার প্লে’র মধ্যে সফরকারীদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশের বোলাররা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে। 

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

তবে এরপরই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)।

পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

;

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়াচ্ছে আজ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হচ্ছে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। ম্যাচ শুরুর আগে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন। গত বছর ওয়ানডে অভিষেক হয় তামিমের। বাংলাদেশ হয়ে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশকিছু ম্যাচ খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। এরই মধ্যে ১৫ ওয়ানডে খেলা হয়ে গেছে তার। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে যাত্রা শুরু হল তার।

বাংলাদেশের মতো জিম্বাবুয়ের হয়েও আজ একজন অভিষেক হচ্ছে, তার নাম জয়লর্ড গামবি। এর আগে দেশের জার্সিতে ১১ ওয়ানডে খেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটার ।

চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হবে বলেই ধারণা করছে দুই দল। তাই টস জিতে আগে বোলিং করাকেই সমীচীন মনে করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এছাড়া চট্টগ্রামের আকাশ এখন কিঞ্চিত মেঘলা। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী রাত ৮টার দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ একাদশ

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন

জিম্বাবুয়ে একাদশ

সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ এরভিন, জয়লর্ড গামবি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মাদান্দে, লুক জংওয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা

;

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন সৈকত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এলিট প্যানেলের অংশ হওয়ার পর প্রথমবারের আইসিসির কোনো বিশ্ব আসরে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পেলেন এই বাংলাদেশি আম্পায়ার। যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে তাকে।

আজ (শুক্রবার) আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারিদের তালিকা। ২০ জন আম্পায়ার এবং ৬ ম্যাচ রেফারির সে তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সৈকত।

আগামী ১ জুন শুরু হয়ে ২৯ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে চলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ২৮ দিনে নয় ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ ম্যাচ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২০ আম্পায়ার

ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস গ্যাফানি, মাইকেল গফ, অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, আল্লাহুদিয়েন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবরো, জয়ারামান মদনগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, আহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসেরে, শহীদ সৈকত, রড টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬ রেফারি

ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগল শ্রীনাথ

;