টাইগারদের পাওয়ার হিটিং কোচের দায়িত্ব সিডন্সের কাঁধেই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জেমি সিডন্স

জেমি সিডন্স

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পাওয়ার হিটারের অভাবটা অনেক দিনের পুরনো। এ কারণেই টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারছেন না টাইগাররা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ভালো করতে ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিসিবি। 

আর এজন্য দরকার একজন পাওয়ার হিটিং কোচ। তবে নতুন করে কোচ নিয়োগ দিচ্ছে না বোর্ড। আগ্রহী বর্তমান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের কাঁধেই পাওয়ার হিটিংয়ের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নাই। ১৩০-১৪০ করে হয়তো একটা জিতে যাবো একদিন, কিন্তু এটা আমাদের হতে পারে না। আমাদের ১৮০-৯০, ২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রেখেই আমাদের খেলতে হবে। আমাদের যে প্ল্যান এখন চলছে এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। খেলার মধ্যেও দেখি না। সেজন্য কী করা যায় এটা নিয়ে আলাপ করছিলাম। তখন জেমি এসে বলল ও নাকি এটাতে খুব আগ্রহী।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘কদিন আগে জিমি (সিডন্স) আমার বাসায় এসেছিলেন। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই টি-টোয়েন্টির ভাবনাটা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা একটা পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন জিমি বলল ওর নাকি এটাতে বিশেষত্ব আছে। আমরা দেখছি এই এশিয়া কাপটা না, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ। কারণ, ওইটা আরও চ্যালেঞ্জিং। কারণ, ওইটা অস্ট্রেলিয়ায়। ওসব জায়গায় তো আমরা স্ট্রাগল করি। সেসব কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’

এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ছন্দ ফিরতে চায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এ জন্য পুরো দলের মানসিকতা, চিন্তাধারা বদলানোর পরিকল্পনা করেছে। এ নিয়ে পাপন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা শক্তিশালী দল নই। কী করা যায় এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই এশিয়া কাপে পুরো মানসিকতা, চিন্তাধারা সব কিছু হঠাৎ করে বদলে ফেলতে চাচ্ছি। দেখতে চাই নতুন করে শুরু করা যায় কিনা।’

বোর্ড প্রধান পাপন জানালেন, ক্যাপ্টেন সাকিবের মধ্যে আত্মবিশ্বাস খোঁজ পেয়েছেন তিনি, যা বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারকে আত্মবিশ্বাসী করেছে, ‘একটা জিনিস দেখলাম, সাকিব আত্মবিশ্বাসী। ওর তো সবসময় আত্মবিশ্বাস থাকে। এখন এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরি, মানে জিততে পারব।’

   

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;

পাঞ্জাবের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ১৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটে। ফিরতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা চেন্নাই করতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে ৫ রান বেশি, ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হবে কি? সে প্রশ্ন সময়ের কাছে তোলা থাক। তবে এই রান নিয়ে অন্তত লড়াই করা সম্ভব।

তবে চেন্নাইয়ের টালমাটাল বোলিং লাইনআপ আদৌ এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন বটে। মুস্তাফিজ এই ম্যাচের আগেই চলে এসেছেন বাংলাদেশ। চোটের কারণ ছিটকে গেছেন পাথিরানা। একই কারণে মাঠের বাইরে দীপক চাহারও। চেন্নাইকে তাই ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী পেসার রিচার্ড গ্লিসন আর তুষার দেশপাণ্ডেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙুলের জাদুতে চেন্নাইকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করবেন জাদেজা-মঈন আলিরা।

জাদেজা অবশ্য বল হাতে এরই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দলের অন্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটে। ১৯ বলে ৩০ রান করেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।

পাঞ্জাবের দুই বোলার রাহুল চাহার এবং হার্শাল প্যাটেল সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের রানকে নাগালের মধ্যে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।

;

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ম্যাচের মতো যেখানে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে, জিম্বাবুয়েকে শুরুতে বোলিং করে বেশ বিপদে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেই তুলে নিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপর পরের দুই ওভারে ৪১ রানে ৭ উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল তাসকিন, সাইফ উদ্দিন ও শেখ মাহেদীরা।

যদিও শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল সিকান্দার রাজার দল। যা ব্যাট হাতে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সাফল্যের পর তাই এ ম্যাচেও শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ তাদের একাদশে কোনো পরিবর্তন না আনলেও জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। অভিষেক হতে যাচ্ছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। অন্যদিকে দল থেকে বাদ পড়েছেন শন উইলিয়ামস ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মান্দান্ডে (উইকেটরক্ষক), লুক জংওয়ে, আইন্সলে এনডলোভু, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

;