সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের 'মা-বাবা'



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন পাণ্ডব

বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন পাণ্ডব

  • Font increase
  • Font Decrease

সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালদের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিভাবক তথা মা-বাবার ভূমিকায় দেখেন তরুণ অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান।

রাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে আজ মঙ্গলবার মিরপুরে মেহেদী বলেন, পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে কেউ দলে না থাকায় নিজেদের সিদ্ধান্তটা নিজেরাই নিবেন, ‘অবশ্যই সুযোগ। পরিবারে যখন ছোট থাকেন, তখন বেড়ে ওঠার জন্য বাবা-মাই সব দায়িত্ব নেন। প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। এই সিরিজ থেকে নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারব, যেহেতু সিনিয়ররা নেই। তারা এতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মা-বাবা ছিলেন বা অভিভাবক হিসেবে ছিলেন।’

সিনিয়ররা না থাকলেও তরুণদের প্রমাণের কিছু দেখছেন না মেহেদী। তার মতে, জুনিয়রদের বেড়ে উঠতে সময় লাগবে, ‘প্রমাণ করার আসলে কিছুই নেই। একটা সময় তো সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকবেন না। আমাদের ব্যাচ থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাইরাও একসময় জুনিয়র হয়ে খেলছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। ওখান থেকে খেলতে খেলতে এই পর্যায়ে এসেছেন। এখন যে তরুণ দল আছে, সময় লাগবে।’

অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়েই গড়া হয়েছে দল। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় তরুণ নয় বলে মনে করেন মেহেদী, ‘এই দলে একদমই তরুণ কেউ না। সবাই ৩, ৪, ৫ বছর খেলে ফেলেছে। ১০ বছর ক্রিকেট খেলা কোনো খেলোয়াড় নেই। ৬, ৭, ৮ বছর খেলা খেলোয়াড় আছে। তাই বেশিরভাগই তরুণ না। তরুণ বলতে মুনিম শাহরিয়ার আর পারভেজ ইমন যারা একদমই নতুন। সবাই পরিপক্ব, মোটামুটি অভিজ্ঞ। সবার বোঝার সামর্থ্য আছে, সবাই সামর্থ্যবান।’

টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের ব্যর্থতার কারণ পাওয়ার হিটারের অভাব। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা কখনো আন্দ্রে রাসেল বা কাইরন পোলার্ডের মতো পাওয়ার হিটার হতে পারবে না। তাদের মতো পেশি শক্তি যে নেই দেশের কোনো ক্রিকেটারের। 

তাই মেহেদী হাসান জানালেন, নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে উন্নতি করতে হবে, ‘দেখুন, আমরা বাংলাদেশি, আমরা কেউই পাওয়ার হিটার না। আমরা চাইলে আন্দ্রে রাসেল বা পোলার্ড হতে পারব না। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু আছে তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়।’

   

মার্শের নেতৃত্বে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া, স্কোয়াডে ২ চমক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দলের মূল খেলোয়াড়দের দলে রেখেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল সাজিয়েছে ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তবে সেই দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স স্কোয়াডে থাকলেও এই বিশ্বকাপের দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ আছেন দলের অধিনায়ক হিসেবে। 

তবে এই দলে আছে দুটো চমক। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে নেই অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ। আগুনে ফর্মে থাকা জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্কও নেই এই দলে। এবারের আইপিএলে তিনি খেলেছেন ১০৬ বল। বাউন্ডারি মারতে চেয়েছেন ৭৭ বলে। ৪৩ গড়ে, ২৩৩ স্ট্রাইকরেটে তিনি করেছেন ২৫৯ রান। তাকে না রাখার কারণ হিসেবে নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, জাতীয় দলে কোনো টি-টোয়েন্টি না খেলার কারণেই জায়গা পাননি তিনি। তবে ভবিষ্যতের জন্য ভালোভাবেই ভাবনায় আছেন তিনি।

অজি এই তরুণ তুর্কির না থাকাটা বড় খবর যেমন, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে স্টিভেন স্মিথের জায়গা না পাওয়াটা অবশ্য তেমন বড় খবর নয়। অজিদের ২০২১ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য গেল ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টিটা খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেননি। এরপর আইপিএলেও জায়গা হয়নি তার।

এছাড়াও দলে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে অ্যাশটন অ্যাগার আছেন, বিকল্প অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন ক্যামেরন গ্রিন। বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে থাকবেন জশ ইংলিস।

এবারের আসরে দলটার সামনে আছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। গেল বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাশাপাশি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল প্যাট কামিন্সের দল। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও জিতে গেলে ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে একই সঙ্গে তিনটি মেজর বৈশ্বিক ট্রফি জেতার কীর্তি গড়ে ফেলবে অজিরা।

আগামী ৫ জুন পুঁচকে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে তাদের। এরপর ইংল্যান্ড, নামিবিয়া আর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলবে দলটা। 

অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড–
মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথিউ ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হেইজেলউড, জশ ইংলিস, অ্যাশটন অ্যাগার, ক্যামেরন গ্রিন, নাথান এলিস।

;

শেষ মুহূর্তের গোলে বায়ার্নকে জিততে দিল না রিয়াল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো। বায়ার্ন মিউনিখ আর রিয়াল মাদ্রিদের লড়াইটার অনানুষ্ঠানিক নাম এমনই। তবে শেষ কয়েক বছরে তা একেবারে একপেশেই বানিয়ে ফেলেছে রিয়াল। দুই দলের শেষ ছয় বারের দেখায় পাঁচ জয়, আর ড্র একটা। সে জুজু ভাঙার ৭ মিনিটের দূরত্বে চলে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঠিক সেই সময় গোল করে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল। ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ছেড়েছে মাঠ।

শেষ ছয় ম্যাচে হার নেই। রিয়াল গত রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতেও খেলেছে ফেভারিটের মতো। প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতে। টনি ক্রুসের পাস থেকে তার গোল রিয়ালকে এগিয়ে দেয় ১-০ গোলে। 

প্রথমার্ধটা নির্বিঘ্নে পেরোলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াল পিছিয়ে পড়ে। ৫৩ মিনিটে লেরয় সানের দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। এর চার মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি যায় বায়ার্নের পক্ষে। তা থেকে গোল করেন হ্যারি কেইন।

এরপর সময় চলে যাচ্ছিল, রিয়াল গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর। তখন মনে হচ্ছিল চার মিনিটের ওই ঝড়েই বুঝি ভেঙে-চুরে যাবে বায়ার্নের কাছে ১০ বছর ধরে রিয়ালের না হারার দম্ভ। 

তবে ৮৩ মিনিটে দৃশ্যটা বদলে যায়। ভিনিসিয়াসের পেনাল্টি থেকে ২-২ গোলে সমতা ফেরায় রিয়াল। 

এই ড্রয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ আর বায়ার্ন মিউনিখের এই লড়াইয়ের ভাগ্য ঝুলেই রইল। আগামী সপ্তাহে রিয়ালের মাঠে হবে তার নিষ্পত্তি।

;

টিভিতে আজ দেখবেন যেসব খেলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেট
আইপিএল
চেন্নাই সুপার কিংস–পাঞ্জাব কিংস
রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১ গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

ফুটবল
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ
সেমিফাইনাল, ১ম লেগ
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড–পিএসজি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

সৌদি কিংস কাপ
সেমিফাইনাল
আল নাসর–আল খালিজ
রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ১

টেনিস
মাদ্রিদ ওপেন
রাত ৮টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫

;

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে হেরে বিপদ বাড়ল বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির একটা বড় অংশই গিয়েছে বৃষ্টির পেটে। তবু ফল হয়েছে ম্যাচের। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গেছে ১৯ রানে। এই হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ওপেনার মুর্শিদা খাতুন এক প্রান্ত আগলে শেষ ওভার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য প্রান্তে চলেছে আসা-যাওয়ার মিছিল।

১১ ব্যাটারের মধ্যে চার অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মোটে চার ব্যাটার। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে মুর্শিদার ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে প্রবেশ করা রিতু মনি।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন রাধা যাদব।

জবাব দিতে নেমে বৃষ্টিতে ম্যাচ থেমে যাওয়ার আগে ৫.২ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭ রান তুলে ফেলে ভারত। ২৪ বলে ৫ চার এবং ২ ছয়ে ৪১ রানে ব্যাট করছিলেন দায়ালান হেমলতা।

এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। বাংলাদেশ ইনিংসের সময়ও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল। তবে সে যাত্রায় খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তবে ভারতীয় ইনিংসের ষষ্ট ওভারে শুরু হওয়া বৃষ্টি আর থামেনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী যেহেতু দুই দলই অন্তত পাঁচ ওভার ব্যাটিং করেছে, তাই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ডিএলএস মেথডে ম্যাচের ফল ঘোষণা করে দেয়া হয়।

৫.২ ওভারে পার স্কোর ছিল ২৮ রান। পার স্কোরের চেয়ে ১৯ রান এগিয়ে থেকে জয়ী হয় ভারত।

;