বিপিএলে আসছে ‘পূর্ণ’ ডিআরএস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ডিআরএস চালু হবে বিপিএলে

ডিআরএস চালু হবে বিপিএলে

  • Font increase
  • Font Decrease

একটু তাড়াহুড়ো করেই বিপিএল আয়োজন করেছে বিসিবি। তারমধ্যে ছিল করোনা সংক্রমণের চোখ রাঙানি। যে কারণে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) ব্যবস্থা করতে পারেনি বোর্ড। এজন্য সমালোচনা হজম করতে হয়েছে দেশের ক্রিকেট-কর্তা ব্যক্তিদের। এবার টুর্নামেন্টের মাঝেই ডিআরএসের ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা। সেমি-ফাইনাল, ফাইনালসহ সবশেষ ৭ ম্যাচে থাকবে ‘পূর্ণ’ ডিআরএস।

আজ বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে গণমাধ্যমকে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শুধু আফগানিস্তান না আমাদের শেষের অংশে বিপিএলের যে ম্যাচগুলো হবে সেখানেও ডিআরএস’কে ইন্ট্রোডিউস করা যায় কিনা।’

সঙ্গে আরও যোগ করেন নিজামউদ্দিন, ‘প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যে এটলিস্ট আমাদের শেষ স্লটের যে ম্যাচগুলো হবে ঢাকাতে, পরিকল্পনা আফগানিস্তান সিরিজে ডিআরএসটাকে নিশ্চিত করা। ফুল ডিআরএসটা।’

বিপিএলের পর্দা উঠে ঢাকায়। কিন্তু এ পর্বের ৮ ম্যাচে কোনো ডিআরএস ছিল না। পরে চট্টগ্রাম পর্বে স্লো-মোশন ক্যামেরার মাধ্যমে ‘এ ডিআরএস’ প্রক্রিয়া চালু করলে বেশি সমালোনার মুখে পড়ে বোর্ড। এবার ঢাকায় ৪ ম্যাচ হলে বিপিএল যাবে সিলেটে। সেখান থেকে আবার ঢাকায় ফিরলে ডিআরএস থাকবে। আফগান সিরিজেও থাকবে ডিআরএস।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দর্শক ছাড়াই চলছে বিপিএল। তবে আফগান সিরিজে দর্শক ফেরাতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই মেনে চলবে বিসিবি। এনিয়ে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আফগানিস্তান সিরিজে দর্শকের ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের যে গাইডলাইন সেটা আমরা ফলো করব। সরকারের যে নির্ধারিত গাইডলাইন যেটা দর্শক আপাতত বিরতি থাকার ব্যাপারে রয়েছে সেটা যদি কন্টিনিউ করে তাহলে হয়তো সেভাবেই সিরিজটা আয়োজন করতে হবে।’

   

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;

পাঞ্জাবের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ১৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটে। ফিরতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা চেন্নাই করতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে ৫ রান বেশি, ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হবে কি? সে প্রশ্ন সময়ের কাছে তোলা থাক। তবে এই রান নিয়ে অন্তত লড়াই করা সম্ভব।

তবে চেন্নাইয়ের টালমাটাল বোলিং লাইনআপ আদৌ এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন বটে। মুস্তাফিজ এই ম্যাচের আগেই চলে এসেছেন বাংলাদেশ। চোটের কারণ ছিটকে গেছেন পাথিরানা। একই কারণে মাঠের বাইরে দীপক চাহারও। চেন্নাইকে তাই ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী পেসার রিচার্ড গ্লিসন আর তুষার দেশপাণ্ডেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙুলের জাদুতে চেন্নাইকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করবেন জাদেজা-মঈন আলিরা।

জাদেজা অবশ্য বল হাতে এরই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দলের অন্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটে। ১৯ বলে ৩০ রান করেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।

পাঞ্জাবের দুই বোলার রাহুল চাহার এবং হার্শাল প্যাটেল সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের রানকে নাগালের মধ্যে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।

;

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ম্যাচের মতো যেখানে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে, জিম্বাবুয়েকে শুরুতে বোলিং করে বেশ বিপদে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেই তুলে নিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপর পরের দুই ওভারে ৪১ রানে ৭ উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল তাসকিন, সাইফ উদ্দিন ও শেখ মাহেদীরা।

যদিও শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল সিকান্দার রাজার দল। যা ব্যাট হাতে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সাফল্যের পর তাই এ ম্যাচেও শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ তাদের একাদশে কোনো পরিবর্তন না আনলেও জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। অভিষেক হতে যাচ্ছে জোনাথন ক্যাম্পবেলের। অন্যদিকে দল থেকে বাদ পড়েছেন শন উইলিয়ামস ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মান্দান্ডে (উইকেটরক্ষক), লুক জংওয়ে, আইন্সলে এনডলোভু, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

;