টানা দ্বিতীয় ট্রফি জয়ে চোখ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের কোচ ও অধিনায়ক

ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের কোচ ও অধিনায়ক

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মারিয়া মান্ডাদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার মিশন। মাঠের লড়াইয়ে দেশের মেয়েদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। কিন্তু তারপরও প্রতিবেশীকে মুখোমুখি পেয়েও বেশ উজ্জীবিত কন্যারা।

একে তো খেলা হচ্ছে দেশের মাটিতে। ভেন্যু কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। হোম কন্ডিশনের সুবিধা তো থাকছেই। তার সঙ্গে বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকছে স্বদেশী ভক্ত-সমর্থকদের উপস্থিতি।

তবে ২০১৮ সালে টুর্নামেন্টটি বসেছিল ১৮ বছর বয়সী ফুটবলারদের নিয়ে। ভুটানের মাটিতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের অভিষেক আসরে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে মাথার ওপর শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

তবে ছেড়ে কথা বলবে না ভারতের মেয়েরা। লিগ পর্বে হারের মধুর প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত হয়ে আছে ক্যাপ্টেন সুমতি কুমারীর দল। গত আসরে নেপালের কাছে সেমি-ফাইনালে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল ভারতের। প্রথমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে উঠেই বাজিমাত করতে চায় কোচ অ্যালেক্স মারিও অ্যামব্রোসের দল। এবারের আসরে তারাও রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। ফাইনালে উঠার পথে ভারত হার মেনেছিল কেবল বাংলাদেশের কাছে। অতিথি দলটি ৯ গোল দিয়ে খেয়েছে মাত্র একটি। সেই গোলটি তারা হজম করে বাংলাদেশ ম্যাচে।

বাংলাদেশ-ভারতের ফাইনাল ম্যাচটি আজ বুধবার, ২২ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। টি-স্পোর্টস দুদলের জমজমাট লড়াইটা সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস। তাই মাঠে না গেলেও টিভির পর্দায় মাঠের লড়াই উপভোগের সুযোগ রয়েছে ফুটবল প্রেমীদের সামনে।

পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের মেয়েদের চেয়ে অনেক দিক থেকেই এগিয়ে। তার চেয়েও বড় কথা। এবারের আসরে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে যাচ্ছে আঁখি খাতুনরা। রাউন্ড রবিন লিগে চার ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে ফাইনালে নাম লিখেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের জালে ১৯ গোল দিলেও বিপরীতে হজম করেনি একটি গোলও। সাহেদা আক্তার রিপা ও আফেইদা খন্দকারের হ্যাটট্রিকের সুবাদে শুধু শ্রীলঙ্কার জালেই দিয়েছে তারা ১২ গোল।

তাই টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। কেননা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আজ যারা প্রতিপক্ষ সেই ভারতকে লিগ পর্বে ১-০ গোলে হারিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। যে কারণে দেশের মেয়ে ফুটবলারদের উৎসাহটা আগের চেয়ে অনেকটাই বেশি।

ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিরোপা লড়াইয়ের মধ্যে আরও একটি লড়াই চলবে। সেটা ব্যক্তিগত অর্জনের। পাঁচ দলের এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশের সাহেদা আক্তার রিপা। তার গোল এখন ৫টি। ৪ গোল নিয়ে তালিকায় তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন ভারতের ফরওয়ার্ড প্রিয়াঙ্কা দেবী।

পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কোচ ছোটন, ‘এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলাম আমাদের লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা। প্রতি ম্যাচে দরকার জয়। দর্শকদের ভালো খেলা উপহার দেওয়া। মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলেছে। সঠিকভাবে কাজ করে ফাইনালে উঠেছে। এখন একটা ম্যাচ বাকি। আশা করি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। মেয়েরা ম্যাচ বাই ম্যাচ যে ফুটবল খেলে এসেছে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’

ফাইনালের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। কিন্তু তারপরও মেয়েদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে ফুটবল গুরু ছোটনের, ‘মেয়েরা প্রতি ম্যাচ সাধ্যমতো ভালো খেলেছে। ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত। জানি, তারা শক্তিশালী। তবে আমারও বিশ্বাস আছে মেয়েরা ভালো করবে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।’

ফুটবলাররা ছন্দে রয়েছেন। রিজার্ভ ফুটবলাররা বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেও ভালো করেছেন শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। তাই ফাইনালে আরও ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করেন ছোটন, ‘(শ্রীলঙ্কা ম্যাচে) ফরওয়ার্ডরা গোল পেয়েছে। ডিফেন্ডাররা গোল পেয়েছে। সবার মধ্যে গোল করার আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে ফিনিশিংয়ে ভালো করতে হবে। আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। সবাই সব কিছু অতিক্রম করেছে। বেঞ্চের অনেকের অভিষেক হয়েছে, কিন্তু দলের খেলার ছন্দে কখনও ভাটা পড়েনি। যে যখনই মাঠে এসেছে, সে ওই জায়গা পূরণ করেছে এবং এটা ভালো দিক। কাল (আজ) আশা করব দল আরও ভালো খেলবে।’

লিগ পর্বে ভারতকে হারালেও তাদেরকে খাটো করে দেখছেন না গোলাম রব্বানী ছোটন। মাটিতে পা রেখে সমীহের দৃষ্টি রেখেছেন ফাইনালের প্রতিপক্ষের দিকে, ‘তবে এখানে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ভারত প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলে এখানে এসেছে। যদিও ওদের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লিগে জিতেছি, কিন্তু ওরা ভালো প্রতিপক্ষ। এটা ফাইনাল। দুই দল সুযোগ পাবে। আমরা উন্নতি করব, ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করার চেষ্টা করব। মেয়েরা প্রতিটা ম্যাচে সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছে। কাল (আজ) ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।’

আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতকে ফের হারানোর স্বপ্ন বুঁনছে বাংলাদেশ। সঙ্গে সাবধানে পা ফেলবে স্বাগতিকরা। ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তেমনটাই জানালেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মারিয়া মান্ডা, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলা। সেভাবে খেলেই জিতেছি। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই ভালো খেলা উপহার দিয়েছি। অন্য দল থেকে এগিয়ে থেকেছি। কাল (আজ) আমাদের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। আগের ম্যাচগুলোতে যে ভুল-ত্রুটি করেছি, সেটা শুধরে ফাইনালে লড়াই করব। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।’

ভারতীয় কোচ অ্যামব্রোসের প্রত্যাশা জমজমাট একটা ফাইনাল ম্যাচ অপেক্ষা করছে দর্শকদের জন্য, ‘সব ফাইনালই কঠিন। মোটেও সহজ নয়। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তো আরও কঠিন, বিশেষ করে দর্শকদের সব সমর্থন তাদের দিকেই থাকবে। দর্শকদের সমর্থন অবশ্যই পার্থক্য গড়ে দেয়। তবে আমার মনে হয়, এটা আবার একইসঙ্গে খেলোয়াড়কে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে উৎসাহিত করে, খেলোয়াড়ের সত্যিচকারের দৃঢ়তা প্রকাশ পায়।’

ভারত অধিনায়ক সুমতি কুমারী দেখছেন শিরোপা নিয়ে ঘরে ফেরার স্বপ্ন, ‘দল ফাইনালে খেলছে, ভীষণ ভালো লাগছে। ফাইনাল জেতার জন্য যেভাবে খেলা দরকার, আমরা সেভাবেই খেলব।’

   

উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরুর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যটা ২০১ রানের। ম্যাচের শুরুটা যখন রান তুলতে ভুগছিল গুজরাটের ব্যাটাররা তখন মনে হচ্ছিল দিনটা ব্যাটারদের। অবশ্য পরে সাই সুদর্শন-শাহরুখ খানরা পাল্টেছেন রানের চিত্র। এবার রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা পাল্টে দিলেন পুরো ম্যাচের চিত্র। আরও একবার ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখালেন বিরাট কোহলি। তবে তাকে ছাপিয়ে আজ বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক উইল জ্যাকস। স্রেফ ৪১ বলেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। এতে ৪ ওভার হাতে রেখেই ৯ উইকেটে দাপুটে জয় পায় বেঙ্গালুরু।

এ নিয়ে আসরে টানা দুই ম্যাচে জয়ের দেখা পেল বেঙ্গালুরু। শুরুর আট ম্যাচে স্রেফ এক ম্যাচ জিতে এতদিন ছিল তালিকার একদম তলানিতে। অবশ্য টানা জয়েও বদলায়নি পয়েন্ট তালিয়ার অবস্থান। 

আহমেদাবাদে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০১ রান তোলে গুজরাট। 

বিশালের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার কোহলি ও ডু প্লেসি। শুরুটা ভালো পেলেও বেশিক্ষণ টিকেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ফেরেন দলীয় ৪০ রানের মাথায়। সেখান থেক জয়ের জন্য ৯৭ বলে তখনো দরকার ১৬১ রান। তবে সেই রান স্রেফ ৭৩ বলেই তুলে ফেলেন জ্যাকস ও কোহলি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুধু দলকেই জেতাননি, তুললেন আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ৪১ বলে ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

এদিকে কোহলিও ছিলেন দারুণ ছন্দে। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৭০ রান। এতে ১০ ম্যাচে আসরে পুরো ৫০০ রান করলেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। 

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের সংগ্রহে পৌঁছায় গুজরাট। 

এদিনে বেঙ্গালুরু হতাশাজনক শুরুর পর যখন টানা দুই ম্যাচে পেল জয়ের দেখা, তখন নিজেদের টানা দুই ম্যাচেই হারল গুজরাট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: 

গুজরাট টাইটান্স: ২০০/৩ (২০ ওভার) (সুদর্শন ৮৪*, শাহরুখ ৫৮; স্বপ্নিল ১/২৩)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০৬/১ (১৬ ওভার) (জ্যাকস ১০০*, কোহলি ৭০*; সাই কিশোর ১/৩০)

ফলাফল: বেঙ্গালুরু ৯ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: উইল জ্যাকস 

;

একাই লড়লেন জ্যোতি, সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচটা কঠিন গিয়েছিল তখনই যখন ১২ ওভার ৫ বলেই দলীয় সংগ্রহের শত রান পেরিয়ে যায় ভারত। পরে বোলাররা ছন্দে ফিরলেও ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। পরে ব্যাটিংয়ে এসে সেই পুরনো সমস্যা, যেই সমস্যায় জ্যোতি-নাহিদাদের ভুগিয়েছে ঘরের মাঠে এর আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও। ব্যাটিং ব্যর্থতা। ৫১ রান করে স্রেফ একাই লড়লেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাকিদের আরও একবার হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৪৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন ভারতের মেয়েদের জয়ের শুরুটা টস দিয়ে। সেখানে আগে ব্যাট  করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে সফরকারীরা। 

রান তাড়ায় শুরুর সাত ওভারেই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় জ্যোতি-নাহিদারা। ৩০ রানেই স্বাগতিকরা হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। ম্যাচের বাকি অংশ জুড়ে চলেছে স্রেফ একটি চিত্র। ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন অধিনায়ক, বাকিরা যাওয়া-আসার মধ্যেই। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। 

শেষ ওভারে সাজঘরের ফেরার আছে জ্যোতি করেন ৪৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রেনুকা সিং। জিতেছেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে বসেছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় স্মৃতি মান্ধানার সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু। সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে যস্তিকার ব্যাট থেকে। 

এদিকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। এছাড়া মারুফা নিয়েছেন ২ উইকেট। 

আগামী ৩০ এপ্রিল সিলেটের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১৪৫/৭ (২০ ওভার) (যস্তিকা ৩৬, শেফালি ৩১, হারমানপ্রীত ৩০; রাবেয়া ৩/২৩, মারুফা ২/১৩)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১০১/৮ (২০ ওভার) (জ্যোতি ৫১; রেনুকা ৩/১৮, পুজা ২/২৫)

ফলাফল: ভারত ৪৪ রানে জয়ী

সিরিজ: ভারত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: রেনুকা সিং

;

‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে গুজরাটের ২০০ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওভারেই সাজঘরে পাড়ি জমান ঋদ্ধিমান সাহা। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার ও গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিলও। ৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ কেবল ২ উইকেটে ৪৭ রান। রান রেট ৭-এর নিচে। এই রান বন্যার আইপিএল মৌসুমে যা অনেকটাই বেমানান। পরে শেষে এসে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে পুরো ২০০ রান। মাঝের এই পথটুকু গুজরাট পাড়ি দিয়েছে সাই সুদর্শনের ৮৪ রানের এক ‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে। 

এ নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে ৪৫তম ম্যাচে এসেই দুই ইনিংসে মিলিয়ে মোট ২৭ বার দুইশ পেরোনো সংগ্রহ দেখল বিশ্বের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। 

গুজরাটের মাঠ আহমেদাবাদে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় গত আসরের রানার্স-আপ দলটি।

আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সুদর্শন। এ নিয়ে ১০ ম্যাচে ৪১৮ রান করেছেন তিনি। আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে। ৯ ম্যাচে ৪৩০ রান করে শীর্ষে আছেন প্রতিপক্ষ দলের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি।

 

;

জ্যোতিদের সামনে ভারতের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধারহীন বোলিং, হতশ্রী ফিল্ডিং। এই দুইয়ে মিলে ইনিংসের শুরুর ১৩ ওভারে ভারতের কাছে তেমন পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২ ওভার ৫ বলেই ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে হারমানপ্রীতের দল। পরে শেষ দিকে রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে ম্যাচ কিছু সময়ের জন্য নিজেদের দিকে নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। অবশ্য শুরুর সেই দাপ্ট ধরেই শেষে এসে ভালো সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। জয়ের জন্য জ্যোতিদের তাই ছাড়িয়ে যেতে হবে সফরকারীদের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

শেষ ৭ ওভারে স্রেফ বলের সমানই রান তুলতে পেরেছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। অর্থাৎ, ১৩ ওভারে ১০৩ রান থেকে শেষ ৪২ বলে ৪২ রান তুলতে পেরেছে সফরকারীরা। এর মধ্যে শেষ ওভারে স্রেফ ২ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন মারুফা আক্তার। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। সেখানে দ্বিতীয় ওভারেই দলটির তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানার উইকেট তুলে নিতে পারতো বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় এই বাঁহাতি ব্যাটারের সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু।  

এদিকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। এছাড়া মারুফা নিয়েছেন ২ উইকেট।

;