শিরোপা আবাহনী নাকি বসুন্ধরার?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঢাকা আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস

ঢাকা আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা কাপে আবাহনী লিমিটেড সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। পরে ২০১৬ সালে ফাইনালে নাম লিখলেও শিরোপা জেতা হয়নি। সেবার তারা শিরোপা হাতছাড়া করে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। সে হিসেবে ৩১ বছর ধরে টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি ঢাকা আবাহনীর।

সেই শিরোপা খরা ঘোচানোর সুবর্ণ সুযোগ আজ আবাহনীর সামনে। তাদের প্রতিপক্ষ আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। কোচ অস্কার ব্রুজনের দল মাঠে নামবে আজ ট্রফি ধরে রাখার মিশন নিয়ে।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি। দুই জায়ান্টের জমজমাট ফুটবল লড়াইটা সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।

২০১৮ সালে টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরে বসুন্ধরা কিংস শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে শেখ রাসেলকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। তখন কিংসের হাতে ছিল কোস্টারিকার স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস।

তবে এবার কলিন্দ্রেস খেলছেন আবাহনীর হয়ে। যেখানে আবাহনী ফাইনালের আগে যেন একটু বাড়তি উজ্জীবিত। তবে কলিন্দ্রেস না থাকলেও ছেড়ে কথা বলবে না বসুন্ধরা। তাদের হাতেও মজুদ রয়েছে ফাইনালে জেতার মতো অস্ত্র।

১৯৭২ সালে শুরু হওয়ার পর এখনো নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেনি স্বাধীনতা কাপ। অনিয়মিত এই ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে আজ কে জেতে সেটাই দেখার জন্যই এখন বসে আছেন সবাই।

   

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ পাকিস্তানের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জয় পাক, সেটা হয়তো চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সবাই। কিন্তু এভাবে হোক, তা নিশ্চয়ই কেউ চাননি! দুই গ্রুপের বৈতরণী পার হয়ে গেলে জয় দিয়ে শেষ করার সুযোগ তো একমাত্র চ্যাম্পিয়ন দলেরই থাকে! কিন্তু বাবর আজমের দল হলো তার ঠিক উল্টোটা। বনে গেল গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া ১২ দলের একটা। শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ৩ উইকেটের জয়টাকে তাই সান্ত্বনার জয় ছাড়া আর কিছুই বলা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান তুলে নিয়েছিল আইরিশদের ৩ উইকেট, দলের রান ছিল তখন মোটে ৪। এরপর শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই ২ অঙ্কে যেতে পারেননি। তবু আয়ারল্যান্ড ১০৬ পর্যন্ত গেছে গ্যারেথ ডেলানির ১৯ বলে ৩১ আর জশ লিটলের ২২ রানে ভর করে।
জবাবে পাকিস্তান শুরু করেছিল ভালোই। তবে পঞ্চাশ পেরোনোর পরই দশ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট খুইয়ে কাঁপতে থাকে বাবর আজমের দল। সেখান থেকে দলকে রক্ষা করলেন বাবর নিজেই। ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসটা হয়তো তার সেরা নয়, কিন্তু পরিস্থিতি বিচারে তিনি একে মনে রাখবেন অনেক দিন। শেষ দিকে পরিস্থিতিটা আরও কঠিন হতে দেননি শাহিন আফ্রিদি। দুই ছক্কায় ম্যাচটা শেষ করেন ৭ বল বাকি থাকতেই।
আইরিশদেরও বিশ্বকাপ বহু আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান নিজেদের অন্তত এই বলে সান্ত্বনা দিতে পারে যে, তারা তো শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে, আইরিশরা যে এই সান্ত্বনাটাও নিজেদের দিতে পারছে না!

;

সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ম্যাথিউস

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ায় বেশ হতাশ হয়েছেন দলের খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট এবং সমর্থকরাও। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসি ও লঙ্কান ক্রিকেট দলের ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।

ম্যাথিউস বলেন, ‘আমরা পুরো দেশকে হতাশ করেছি। আমরা সত্যিই দুঃখিত কারণ আমরা নিজেদেরকেও হতাশ করেছি। আমরা কখনও এমনটা আশা করিনি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে সেগুলো দুর্ভাবনার কিছু নয়। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারিনি।’

সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। ডাচরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল কারণ তারা দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো পারফর্ম করেছে। তাই তাদেরকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন ম্যাথিউস।

লঙ্কান এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমরা কোনো দলকে হালকাভাবে নিতে পারি না। নেপাল কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিচ্ছিল আমরা দেখেছি। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে নেপালের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তবে যা হওয়ার হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টে আমাদের আর একটি ম্যাচ বাকি। আমরা নিজেদের সম্মানের জন্য খেলব।’

বেশ দুঃখ নিয়েই ম্যাথিউস শেষে বলেন, ‘নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি আমরা। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা হতাশ। নিজেদের মধ্যে আমরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। আগামীকাল নতুন দিন এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হবে। তারা খুব, খুব বিপজ্জনক দল। তাই আমরা ভালো খেলে তাদের হারাতে চাই।’

;

আমরা আমাদের শতভাগ ও সেরাটা দিব: সাকিব

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। তাই নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়েই মাঠে নামছেন শান্ত-সাকিবরা।

টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের ইনজুরির ফলে বাংলাদেশের একাদশে সুযোগ পান তানজিম সাকিব। সুযোগটি বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজের জায়গাটা একাদশে শক্তভাবে নিশ্চিত ও নিজের করে নিয়েছেন।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘ম্যাচ খেলব কি খেলব না এটা নিয়ে ভাবি না। সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কম্বিনেশনের কারণে না খেলা হলে আলাদা ব্যাপার। আমি সবসময় প্রস্তুত থাকি। সুযোগ পেলে তিন বিভাগেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কাছ থেকে দল যেন সর্বোচ্চটা পায়। দলের জন্য আমি শতভাগ দিতে চাই মাঠে, এটাই আমার কাজ।’

নেপালকে একদমই হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ, এমনটাই বলেছেন সাকিব। কারণ নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল এই নেপাল।

এ প্রসঙ্গে টাইগার পেসার বলেছেন, ‘আমরা আমাদের শতভাগ দেবো, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছোট-বড় দল নেই। প্রত্যেককে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। মাত্র ২০ ওভারের খেলা, কখন মোমেন্টাম বদলে যায়, কেউ বলতে পারে না। আমরা প্রত্যেক দলকেই সমানভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক একইভাবে খেলার চেষ্টা করব।’

;

সাকিবের বিশ্বাস, শান্ত ফর্মে ফিরবেন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্স একদমই আশানুরূপ না। এই টুর্নামেন্টের আরও বেশ আগে থেকেই এই ব্যাটিং ব্যর্থতা চলে আসছে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত সহ বাকিরাও ব্যাট হাতে প্রশংসা পাওয়ার মতো কিছু করে দেখাতে পারছেন না।

তবে শনিবার রাতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার পেসার জানিয়েছেন, দলের ব্যাটারদের ওপর ভরসা আছে তার। এমনকি সতীর্থ ও অধিনায়ক শান্তও অতি শীঘ্রই ফর্মে ফিরবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

তানজিম সাকিব বলেন, ‘শান্ত ভাই খুব পরিশ্রম করছে প্র্যাকটিসে নিজেকে ফর্মে ফিরিয়ে আনার জন্য। উনি খুব কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, জাতীয় দলের কয়েকজন পরিশ্রমীর মধ্যে উনি একজন। খুবই ডেডিকেটেড এবং প্যাশনেট একজন মানুষ। উনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। অধিনায়ক হিসেবেও খুবই ভালো। সবাইকে খুব আগলে রাখেন, গুছিয়ে রাখেন- মাঠ ও মাঠের বাইরে। এটা খুব ভালো দিক আমি বলব।’

শান্তসহ যাদের ব্যাট বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসছে না, তাদের ওপরও আস্থা আছে সাকিবের। নিজের চেনা রূপে ফিরবে তারা এমনটা বিশ্বাস করে সাকিব বলেন, ‘যাদের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তারা বেস্ট চয়েস। তারা শতভাগ দিলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবে। তারা খুব চেষ্টা করছে। হয়ত ২-১ জন রান পাচ্ছে না। আমি খুব বিশ্বাস করি, খুব তাড়াতাড়ি রানে ফিরবে। এটা দলের বিশ্বাস, এই বিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামি। আমাদের বিশ্বাস আছে কেউ না কেউ ভালো খেলে দিবে।’

আগামীকাল (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের বিপক্ষে নিজেদের সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করার ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।

;