টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের শিরোপা উৎসব

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের শিরোপা উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে ছিল অনেকটা। বিশ্বকাপের আগে মাঠের লড়াইয়ে পারফরম্যান্সটাও আহামরি ছিল না। যে কারণে ফেভারিটদের তালিকায় অনেকে বিবেচনাই করেনি যে অস্ট্রেলিয়াকে। সেই অস্ট্রেলিয়াই আত্মবিশ্বাসের তোড়ে ফাইনালে উঠে ক্রিকেট দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিল। ছিনিয়ে নিল বিশ্বকাপ শিরোপাই।

শুরুতে ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন সিরিজ সেরা ডেভিড ওয়ার্নার। পরে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজেকে সামিল করলেন মিচেল মার্শ। দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। দুর্বার জয়ের সঙ্গে রুপালি ট্রফিটা অজিদের হাতে ধরা দিন ৭ বল হাতে রেখেই।

প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও ২০১০ আসরে এই অস্ট্রেলিয়ার হৃদয় ভেঙেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়বার ফাইনালে নাম লিখে প্রতিপক্ষকে আর কোনো সুযোগ দেয়নি অজিরা। তাইতো প্রথমবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হলো ব্ল্যাক ক্যাপস শিবিরের। 

তবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দলের স্কোর তখন ১৭। পরে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়াকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। দুজন মিলে দলকে পৌঁছে দেন ১০৭ রানের স্কোরে। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন।

মারকুটে ওপেনার ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৫৩ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন। ফেরার আগে ফিফটি পেরিয়ে যাওয়া সুন্দর ইনিংসটি ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজিয়ে নিয়ে যান।

ওয়ার্নার ফিরলেও ব্যাট হাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যান ওয়ানডাউনে নামা মিচেল মার্শ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গী করে তৃতীয় উইকেটে লিখে ফেলেন ৬৬* রানের হার না মানা জুটি।

ম্যাচসেরা মার্শ ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৭৭* রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। ২৮* রানে অপরাজিত থেকে মার্শকে সঙ্গ দিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ১৭৩ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের হয়ে চার ওভারে ১৮ খরচ করে দুটি উইকেটই নেন ট্রেন্ট বোল্ট।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান কেন উইলিয়ামসনও। খেলেন অধিনায়কোচিত দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তার ব্যাটিং ঝলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭২ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে নিউজিল্যান্ড।

তবে কিউইদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। দলীয় ২৮ রানে হারিয়ে ফেলে ওপেনার ড্যারিল মিচেলের উইকেট। তবে কেন উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপটিলের ব্যাটে দ্রুত বিপদ কাটিয়ে ওঠে তারা। 

কেন উইলিয়ামসন ৪৮ বলে খেলেন ৮৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। কিউই ক্যাপ্টেন নিজের চমৎকার ইনিংসটি সাজান ১০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। তার আগে ওপেনার মার্টিন গাপটিল ২৮ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। আর ১১ রান আসে ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে।

গ্লেন ফিলিপস ১৮ ও জেমস নিশাম দলীয় স্কোরে যোগ করেন ১৩* রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই তিন উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড। আর একটি উইকেট পান অ্যাডাম জাম্পা।

তার আগে টস ভাগ্য সহায় হয়নি নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসনের। টস জিতে নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে বোলিং বেছে ভুল করেননি অজি ক্যাপ্টেন।

তাই শুরুতে ব্যাট হাতে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড। এখানেই পিছিয়ে যায় মূলত নিউজিল্যান্ড। শিশিরের কারণে শেষে বোলিং করাটা কঠিন হয়ে যায় কিউইদের জন্য। যার চড়া মূল্য দিতে হলো শিরোপা হাতছাড়া করে। 

   

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ায় ছাপ রাখতে চান রাজা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ২০টি দল নিয়ে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে কানাডা-উগান্ডার মতো দলের জায়গা হলেও হয়নি জিম্বাবুয়ের। যা অধিনায়ক হিসেবে বেশ পোড়ায় সিকান্দার রাজাকে। সেই ক্ষতে প্রলেপ হতে পারে আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করতে চায় সফরকারীরা। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা বার্তা দিতে চায় তারা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রাজা জানিয়েছেন এমন কথায়।

নিজেদের মাটিতে উগান্ডার কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর সেটি যে বাকি জীবন পোড়াবে রাজাকে তা স্বীকার করে রাজা বলেন, ‘ওই ঘটনাটা সব সময়ই বেদনাদায়ক হয়ে থাকবে। শুধু এখন নয়, যখন আমরা অবসর নেব, তখনো। শুধু আমরা যারা খেলছি তাদের জন্য নয়, যারা ম্যানেজমেন্টে আছে, তাদের জন্যও বিশ্বকাপে না যাওয়াটা সমান বেদনাদায়ক। শুধু এখন নয়, এই অনুভূতি আমাদের আরও অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।’

রাজার বর্তমান বয়সটা ৩৮। তার মতোই বর্তমান দলের অনেকেই অবস্থান করছেন ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে। তবে ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগে সকলে মিলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎটা গড়ে দিয়ে যেতে চান তিনি। যা নিয়ে রাজা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে যাওয়া। সেটা হয়নি। তবে জিম্বাবুয়েতে যে ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট খেলে, যারা ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের প্রতি আমাদের বিরাট দায়িত্ব আছে। আমাদের বড় ক্যানভাসে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা। অনুপ্রেরণার কথা বললেন, ওই ছেলেমেয়েরা, ওই পরিবার, আমার দেশ এবং আমাদের দেশে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের অনুপ্রেরণার জন্য যথেষ্ট। আমরা চাইব আরও অনেক ক্রিকেটার তৈরি করতে এবং নিজেদের একটা ছাপ রেখে যেতে।’

;

সাকিবের ব্যাটে বঙ্গ’র স্টিকার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সময়ের বিবর্তনে এই নামটাই যেন পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ডে। দেশের অন্যতম এই তারকার ব্যাটের এবার স্টিকার পার্টনার হলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই চুক্তি হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্য সাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে থাকবে বঙ্গ’র স্টিকার।

আগামীকাল থেকে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দলে সাকিব না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে সব ঠিকঠাক থাকলে এই সিরিজ দিয়েই সাকিবের সঙ্গে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গ’র।

‘ব্যাট স্টিকার পার্টনার’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই পার্টনারশীপ এর অংশ হিসাবে, জনপ্রিয় এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এর লোগো বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচের সময় শাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে ২ বছর পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আগামী জিম্বাবুয়ের সিরিজ, যা ৩রা মে থেকে শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আহাদ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটা গৌরবময় ইভেন্ট। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা । তার ব্যাটের ‘স্টিকার পার্টনার’ হিসেবে আমরা যুক্ত হতে পেতে আনন্দিত। বঙ্গ বরাবরই শ্রেষ্ঠত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় বিশ্বাসী। আমরা তাই সবসময় চেষ্টা করি

আমাদের সীমানা ভেঙে অভিনব কিছু আনতে যাতে আমরা দর্শকদের স্পেশাল ফিল করাতে পারি। দেশের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে এই পার্টনারশিপ আমাদের সেই লক্ষ্যেরই একটি প্রতিফলণ।‘

অন্যদিকে এই পার্টনারশিপ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘বঙ্গ এই মুহুর্তে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। বিশেষ করে ওদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কন্টেন্টগুলো দেশের বিনোদন জগতের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আর আমরা সবাই জানি ক্রিকেট শুধুমাত্র একটি খেলাই নয়, কোটি কোটি মানুষের জন্য এক বিনোদনের মাধ্যমও। তাই বঙ্গ-এর মতো বিনোদন প্ল্যাটফর্মের সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব আশা করি এই বিনোদনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।‘

বঙ্গ বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারেরও বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ডাবিংকৃত কন্টেন্ট, নাটক, টিভি শো, সিরিজসহ বিশাল তাদের লাইব্রেরি। সম্প্রতি তারা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজনেস রিয়ালিটি শো ‘শার্ক ট্যাংক’-এর বাংলাদেশি সংষ্করণ তাদের প্লাটফর্মে সম্প্রচার  শুরু করেছে।  

এছাড়া পার্টনারশিপ নিয়ে বঙ্গ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আরো কিছু আকর্ষনীয় খবর আসতে চলেছে।

;

জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিলো ২-১ ব্যবধানে। সেটাও অবশ্য ২০২২ এর আগস্টে। অর্থাৎ এক বছর নয় মাস আগে। তবে এই সময়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। মাঝে একটা বিশ্বকাপও গিয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।

বিশ্বকাপে না থাকলেও জিম্বাবুয়েকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্বাগতিক ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত। দুই দলের পার্থক্য দেখছেন না খুব একটা।

‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।‘

বিশ্বকাপ না খেললেও জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে দেখছেন কয়েকজনের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা মজবুতের শক্ত ভিত্তি হিসেবে। তবে শান্ত মনে করছেন এই সিরিজে খুব একটা পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ছে না। সিরিজ জেতা আর ঠিকঠাক প্রস্তুতিটাই আপাতত শান্তর প্রধান লক্ষ্য।

‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখবো কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো তা–ও না। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলবো না। আমি বলবো সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেনো আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।‘

শান্ত জিম্বাবুয়েকে যতটা শক্তভাবে নিচ্ছেন রাজা-উইলিয়ামস-বার্লরা আসলেই কী তাই? বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে কাটতে পারেনি বিশ্বকাপের টিকিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে বরং সেটাই হবে অঘটন।

;

৭ উইকেটের সহজ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে তা পুরোদস্তুর মামুলি বানিয়ে দিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। বাকি ২৭ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারালেও সফরকারীদের জয়ের পথে সেটি তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ১০ বল হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত নারী ক্রিকেট দল। 

টানা তিন ম্যাচেই সহজ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীতের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। 

লড়াকু সেই সংগ্রহের ভিতে জ্যোতিদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই । সেখানেই বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে ফেলে শেফালি ও মান্ধানা। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিফটি পেরিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান তোলা শেফালিকে ফেরান রিতু মনি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৭৪ বলে স্রেফ ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। এতে আরও এগেই লক্ষ্য পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের কিছুটা লড়াই চালানো স্পেলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৯তম ওভার পর্যন্ত পাড়ি দিতে হয় সফরকারীদের। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  

দাপুটে জয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রান করা শেফালি জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১১৭/৮ (২০ ওভার) (দিলারা ৩৯, নিগার ২৮; রাধা ২/২২, শ্রেয়াঙ্কা ১/২৪)

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১১৮/৩ (১৮.২ ওভার) (শেফালি ৫১, মান্ধানা ৪৭; রিতু ১/১০, রাবেয়া ১/২৪)

ফলাফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: শেফালি ভার্মা

;