বিশ্বকাপজয়ী ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তরুণ এই ফরোয়ার্ড পিএসজি ছেড়ে কোন ক্লাবে যাবেন সেটিই ছিল আলোচনার মুখ্য বিষয়। তবে পরের মৌসুমে তিনি যেই ক্লাবেই যান, চলতি মৌসুমে নিজের ক্লাব পিএসজির হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাটি জেতার শেষ সুযোগ ছিল তার কাছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে পিএসজি বরাবরের মতোই এবারও হোঁচট খেয়ে বিদায় নিল। জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো লুইস এনরিকের দলকে। সেই সাথে আরও একবার আশাভঙ্গ হলো এমবাপের।
২০১৮ সালে মোনাকো থেকে পিএসজিতে এসেই যেন বদলে যায় কিলিয়ান এমবাপের জীবন। দেশের হয়ে জেতেন বিশ্বকাপ। ক্লাবে একইসাথে খেলেছেন বিশ্বের প্রথম সারির সব তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে, জিতেছেন একের অধিক ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপাও। তবে কাঙ্ক্ষিত সেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটি ছুঁয়ে দেখার সুযোগ এখন পর্যন্ত হয়নি সময়ের অন্যতম সেরা এই ফরোয়ার্ডের।
গতরাতে ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচে একের অধিকবার গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপে। ম্যাচের শেষ দিকে তার জোরালো এক শট আটকিয়ে দেন গোলরক্ষক, আরেক শট লাগে গোলপোস্টে। সব মিলিয়ে ভাগ্যও যেন সহায় হয়নি তার ওপর।
ম্যাচ শেষে এমবাপের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে হতাশার ছাপ। হবেই না কেন? এবার অন্তত ফাইনালে খেলার তীব্র সম্ভাবনা ছিল পিএসজির, তবে ডর্টমুন্ডের দুর্দাস্নত পারফরম্যান্সের কাছে হার মানতে হয় তাদের সেই সম্ভাবনাকে। ম্যাচের পর এমবাপে বলেছেন, ‘আজ রাতে আমরা হতাশ, আমরা বিষন্ন।‘
পিএসজির হয়ে ইউসিএল ট্রফি না জিততে পারলেও আগামী দিনে এই ক্লাবের উজ্জ্বল দিন কামনা করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে এমবাপে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, আমি নিশ্চিত যে পিএসজি এর থেকে খুব বেশি দূরে নয়।‘