‘প্রতিটা ম্যাচই নতুন, শূন্য থেকে শুরু’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি লিটন দাস

মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি লিটন দাস

  • Font increase
  • Font Decrease

সবার আগে তার কিছু পরিসংখ্যান।

১১৭ বলে ১২১ রান; তার খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচের স্কোর এটি। ৩২ বলে ঝড়ো ৬১ রান; এটি তার খেলা সর্বশেষ টি-টুয়েন্টির স্কোর। ১৪২ বলে ২০৩ রান; প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার সর্বশেষ স্কোর।

ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট-তিন ফরমেটেই তার ব্যাটে রানের হাসি, একেবারে অট্টহাসি! এমন সুখের সময়ে তো যে কাউকেই যা আঁকড়ে ধরতে পারে তার নাম-গর্ব, আত্মতুষ্ঠি!

কিন্তু ঠিক এই জায়গায় লিটন দাস একটু ব্যতিক্রম। ধারাবাহিকভাবে রান পেলেও, পারফর্ম করলেও পা কিন্তু মাটিতেই রাখছেন। টানা পারফরমেন্সে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। কিন্তু আত্মতুষ্ঠিকে ধারে কাছে ঘেঁঘতে দিচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের এই ওয়ানডে ওপেনার। ‘ওয়ান ইনিংস ওয়ান্ডার’ হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে পরিচিত হতে চান না তিনি। লক্ষ্য তার একটাই- লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে থাকতে। সেই লক্ষ্য অর্জনের পথটা বড় কঠিন, সেটা লিটন মানেন। তাই এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি বা ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড-কোনকিছুকেই ‘গ্যারান্টি’ হিসেবে মানতে রাজি নন। ভালই জানেন সামনের দিনে ভাল না করলে পেছনের সাফল্য স্মৃতিপট থেকে ধসূর হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না। তাই এশিয়া কাপের সেঞ্চুরিকেই ক্রিকেট জীবনের বাঁক বদলের কারণ হিসেবে মানতে ইচ্ছুক নন তিনি।

জাতীয় দলের ক্যাম্পে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলনে নামার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সেকথাই বলছিলেন লিটন দাস-‘প্রতিদিনই প্রতিটা ম্যাচই আসলে নতুনকিছু। প্রতিটা ম্যাচেই একেবারে নতুন করে সবকিছুই শুরু করতে হয়। তবে হ্যাঁ, একটা ম্যাচ কোন খেলোয়াড়ের জীবনে বড় একটা হয়তো প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটাই আবার সবকিছু না। কারণ পরের ম্যাচ খেলতে নামলেই সেখানে তো আমাকে শূণ্য থেকে শুরু করতে হবে। আমি চেষ্টা করবো যে শূণ্য থেকে আবার যেন বড় কিছুতে যেতে পারি। পেছনে কোন একটা বড় ইনিংস খেলেছিলাম, সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা করে আসলে কোন লাভ নেই। তবে হ্যাঁ, মাঠে কোন এক ম্যাচে ভাল পারফর্ম করলে নিজের ওপর থাকা চাপ কিছুটা হলেও কমে যায়। ক্রিকেট তো আসলে মানষিক খেলা। মন যখনই উদ্বীপ্ত থাকবে, পরিস্কার থাকবে ততই ভাল খেলার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আর মাঠে পারফর্ম না করলে একটা খোঁচা তো মনের মধ্যে থাকেই। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভাল পারফর্ম করার পর চাপ একটু কম ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাই খোলা মন নিয়ে খেলতে পেরেছি। পারফরমেন্সও হয়েছে।

দুটো ভাল যখন খুব পাশাপাশি সময়ে ঘটে, তখন কোনটা বেশি আনন্দদায়ক সেই তুলনা খোঁজার বিষয়টা ক্রিকেটে একটা নিয়মিত অভ্যাসের মতো। লিটনকেও তাই শুনতে হল-এশিয়া কাপের সেঞ্চুরি নাকি ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ডময় ডাবল সেঞ্চুরি, কোনটা বেশি আনন্দ ছড়ায়?

তুলনা খোঁজার জন্য বেশি সময় নিলেন না লিটন দাস। বললেন-‘অবশ্যই এশিয়া কাপের সেঞ্চুরিটা। অনেকদিন ধরে ব্যাকফুটে ছিলাম। পারফর্ম করাটা আমার জন্য জরুরি হয়ে দাড়িয়েছিল। তাছাড়া জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি। তাও আবার বড় আসরে। এটা অবশ্যই আমার জন্য অনেক বড় কিছু। এখন আমার লক্ষ্য আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এই পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।

এশিয়া কাপে বড় সেঞ্চুরি করেছেন। শেষ টি-টুয়েন্টিতেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও নিয়মিত ধারাবাহিক পারফর্মার। এতকিছুর পরেও নিজ সম্পর্কে লিটন দাসের বিনীত বিশ্লেষণ-‘এখনো আমি বড় খেলোয়াড় হইনি।’

এশিয়া কাপে তার সেঞ্চুরি নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, তারচেয়ে বেশি বাজার গরম হয়েছে তার আউট নিয়ে। টিভি আম্পায়ার তাকে যে আউট দিয়েছিলেন সেটা যথাযথ ছিল কিনা-সেই বিতর্ক চলছে এখনো! লিটন সেই বিতর্কে বাড়তি কোন উপাত্ত যোগ করতে রাজি নন-‘উইকেটে আরও সময় টিকে থেকে খেলতে পারলে হয়তো অবশ্যই ভাল হত। দলের রান আরও বাড়তো। তবে আউট নিয়ে বলার কিছু নেই। যেহেতু আম্পায়ার আউট দিয়েছে, তাই আউট!’

এখানেও বিনয়ী লিটন!

   

মৌসুম সেরার পুরস্কার জিতলেন ফোডেন-পালমার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে চেলসির কোল পালমারের হাতে।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ফোডেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। চোটে আর অফ ফর্মে যখন সিটির অন্য ফুটবলার ভুগেছেন, তখন বহুবার দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি।

মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিততে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন ক্লাব সতীর্থ আর্লিং হালান্ড, আলেক্সান্দার আইসাক, মার্টিন ওডেগার্ড, কোল পালমার, ডেকলান রাইস, ভার্জিল ফন ডাইক ও ওলি ওয়াটকিন্সকে।

অন্যদিকে সেরা উদীয়মানের খেতাব জেতা কোল পালমার গোল এবং অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে ফোডেনের চেয়েও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করেছেন, করিয়েছেন আরো ১০ গোল। কিন্তু ফোডেনের দল সিটি যেখানে টানা চতুর্থবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে, সেখানে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পালমারের দল চেলসি। অনেকটা সে কারণেই হয়ত মৌসুমসেরার পুরস্কার হাত ফসকে গেছে তার, সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সেরা উদীয়মানের খেতাব নিয়ে।

;

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;