রেকর্ড ৩০ রানে অলআউট বাংলাদেশ নারী দল!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ব্যাট হাতে ব্যর্থ নারী দলের ক্রিকেটাররা -ফাইল ছবি

ব্যাট হাতে ব্যর্থ নারী দলের ক্রিকেটাররা -ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান নারী দল করল ১৪ ওভারে ৮৮ রান। খুব কি বড় রান? ওভার প্রতি ছ’য়ের একটু বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ নারী দলের কাছে সেই মামুলি রানই যে অনেক ‘বড়’ হয়ে গেল! সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে গেল মাত্র ৩০ রানে। পাকিস্তান নারী দল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল ৫৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। টি-টুয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশ নারী দলের সর্বনিম্ম স্কোর। আগের রেকর্ডটি ছিল ৪৪ রানের। সেখানেও প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। নতুন লজ্জার রেকর্ডটাও হল সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই!

বড় এই জয়ের সঙ্গে চার ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। বৃষ্টির কারণে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বাতিল হয়। সিরিজের তৃতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচ ৫ অক্টোবর।

শেষ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার, ৩ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও শঙ্কা জাগিয়েছিল বৃষ্টি। শেষপর্যন্ত খেলা মাঠে গড়ায়। তবে ওভার কমিয়ে আনা হয়। ২০ ওভারের ম্যাচ নির্ধারিত হয় ১৪ ওভারে।

জেতার জন্য ৮৯ রানের টার্গেটের পিছু নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। রান তোলার জন্য পুরো দলের মধ্যে তাড়াহুড়ো একটা ভাব দেখা যায়। মুলত তাতেই এলোমেলো হয়ে পড়ে গোটা ব্যাটিং। পাঁচ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা মাত্র ১৩ রান, উইকেট নেই ৩টি! সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি দল। পাকিস্তানের পেস বোলার আইমান আনোয়ার তার টানা তিন ওভারের স্পেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে নড়িয়ে দেন। ১৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেন আইমান। সঙ্গী স্পিনার আনাম আমিনকে তো খেলতেই পারেনি বাংলাদেশের নারী দল! প্রথম দুই ওভারে কোন রান খরচ না করেই ১ উইকেট তুলে নেন আনাম আমিন! ম্যাচ শেষে আনামের বোলিং বিশ্লেষণ দেখে যে বিস্ময়ে সবার চোখ ছানাবড়া। ৩ ওভার বল করে কোন রান না দিয়ে আনাম আমিন ৩ উইকেট শিকার করেন!

জবাবী ইনিংসের ১০ ওভার শেষ হতেই বাংলাদেশের হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। এই সময় মাত্র ২১ রানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। দলের একজন ব্যাটসম্যান পাকিস্তানি বোলিংয়ের জবাব দিতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের পুরো স্কোরকার্ড যেন টেলিফোন ডিজিট! কোনো ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারেই যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৯ রান করেন রুমানা আহমেদ।

টসে জিতে বৃষ্টি ভেজা মাঠে বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন বোলিং বেছে নেন। শুরুতেই পাকিস্তান শুরুতেই উইকেট হারায়। ওপেনার আয়েশা জাফর ৭ রানে রানআউট হয়ে ফিরেন। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে পাকিস্তান। পাকিস্তান অধিনায়ক জাভেরিয়া খান এবং ওপেনার নাহিদা খান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন। জাভেরিয়ার ব্যাট থেকে ১৮ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান পায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ দলের নাহিদা আক্তার ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলিং পারফর্মার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান নারী দল: ৮৮/৫ (১৪ ওভারে, আয়েশা ৭, নাহিদা ১৮, জাভেরিয়া ২৫, মুনিবা আলী ১০, আলিয়া রিয়াজ ১০*, নাহিদা ২/১৯, জাহানারা ১/১৯, লতা মন্ডল ১/১৩)। বাংলাদেশ নারী দল: ৩০/১০ (১২.৫ ওভারে, রুমানা ৯, আনাম আমিন ৩/০, আইমান ২/১৩, নাসরা ২/৭, নিদা ২/৪)। ফল: পাকিস্তান ৫৮ রানে জয়ী।

   

মেসির মতো যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলবেন সাকিবও!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাগলামি একটু বেশিই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে- একবার কোনো এক সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যদি চাঁদে চান তাহলে কাকে সঙ্গে নিতে চাইবেন? উত্তরে স্ত্রী শিশিরের নাম নেয়া যাবে না, সে শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল। সাকিব উত্তর করেছিলেন, লিওনেল মেসি। 

সাকিবের মেসিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সাকিবকে ঢাকার রাস্তায় আনন্দে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছিলো। মেসির আর্জেন্টিনার কিংবা বার্সার জার্সি গায়ে দেওয়া ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহ। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ফুটবলে সবচাইতে পটু হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার।

এবার মেসির পথেই হাঁটছেন সাকিব। না, মেসির মতো ফুটবলার বনে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে দুজনের গন্তব্য কিছু সময়ের জন্য এক হয়ে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন, আরেকজন আমেরিকায় আছেন বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে। তবে যে জায়গায় মিল সেটা ক্লাব।

দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা সাকিব আল হাসান এবার খেলবেন, আমেরিকার মেজর লিগ ক্রিকেটের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সে। মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য শাহরুখ খানের দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাকিব।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে হয়ে প্রথমবার আইপিএল খেলেন সাকিব। ২০১২ এবং ২০১৪ তে ভূমিকা রেখেছিলেন আইপিএল জয়ে। ২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কেকেআরে। ২০২১-এও দলকে নিয়েছিলেন ফাইনালে। সবশেষ ২০২৩ সালেও তাকে কিনেছিলো কেকেআর। যদিও পরে নাম প্রত্যাহার করেন৷

;

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে বিস্ফোরক কোহলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে বেশ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার রোহিতের সুরে সুর মেলালেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিও।

ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতির কারণে ‘খেলার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা এই ক্রিকেটার জিও সিনেমার সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বিনোদন খেলার একটা অংশ, তবে খেলায় এখন কোনো ভারসাম্য নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম খেলার ভারসাম্য নষ্ট করছে। শুধু আমি-ই নই, অনেকেই এমনটা মনে করছে।’

গত মাসে এক পডকাস্টে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় নীতি নিয়ে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন রোহিতও, ‘আমি এটার সমর্থক নই। অলরাউন্ডার ক্ষতি করছে এই নিয়ম। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’

কোহলি আশা করছেন, শিগগিরই আইপিএলে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম বাতিল করবে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নীতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন জয় শাহ। এতে আশার আলো দেখছেন কোহলি, ‘জয় (শাহ) ভাই বলেছেন যে, তারা এটা পর্যালোচনা করছে। আমি নিশ্চিত পর্যালোচনার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসবে।’

;

কোহলি-ধোনিদের বাঁচামরার ম্যাচে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাঁচামরার ম্যাচে মুখোমুখি চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের চার দলের মধ্যে তিন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই দুই দলের মধ্যে যেকোনো একটি আজ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে পা রাখবে।

কিন্তু এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ ভাগ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত, সেই মধ্য বেঙ্গালুরুতে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃষ্টিতে যদি ম্যাচ ভেসে যায়, সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। আর যদি বৃষ্টির চোখরাঙানি ডিঙিয়ে খেলা মাঠে গড়ায় সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর সামনে সমীকরণ অনেকটা এরকম-আগে ব্যাট করলে ১৮ রানে জিততে হবে আর পরে ব্যাট করলে চেন্নাইয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ১১ বল হাতে রেখে। মানে কোহলিদের শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে এই দুটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করে।

অন্যদিকে চেন্নাইয়ের জন্য সমীকরণ তুলনামূলক সহজ। জিতলেই প্লে-অফ, হারলেও থাকবে সুযোগ। বেঙ্গালুরুকে শর্ত পূরণ করতে না দিলেই প্লে-অফের টিকিট ধরা দেবে তাদের।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় তাৎপর্যপূর্ণ দক্ষিণ ভারতীয় ডার্বিতে মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই।

;

টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’ সেখানে একক টেবিল টেনিস ইভেন্টে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

আজ (শনিবার) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয় এই টেবিল টেনিস ইভেন্টটি।

এদিকে টেবিল টেনিসের দ্বৈত ইভেন্টে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;