চোট নিয়েও সেমি-ফাইনালে জোকোভিচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শেষ চারের টিকিট কেটেছেন নোভাক জোকোভিচ

শেষ চারের টিকিট কেটেছেন নোভাক জোকোভিচ

  • Font increase
  • Font Decrease

ইনজুরি নিয়েই কোর্টে নেমেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। শুরুতে পিছিয়েও পড়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। প্রতিপক্ষ পাবলো ক্যারেনো বাস্তাকে হারিয়ে ঠিকই ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেছেন এ সার্বিয়ান সুপারস্টার।

বিশ্বের টেনিস র‌্যাঙ্কিং’র নাম্বার ওয়ান তারকা যখন কোর্টে ঢুকেন, তখনই বোঝা গিয়েছিল, তার পিছু নিয়েছে চোট। গলায় লাগানো ছিল টেপ। বারবার বাঁ হাতের উপরের অংশটা মেসেজ করিয়ে নিচ্ছিলেন। এ কারণে প্রথম সেটটা হেরে যান ৪-৬ গেমে।

কিন্তু পরে আর পিছু তাকাতে হয়নি। স্প্যানিশ প্রতিপক্ষকে পাত্তাই দেননি। খেলায় ফিরে শেষের তিন সেট ৬-২, ৬-৩ ও ৬-৪ গেমে জিতে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেন টেনিস মেগাস্টার জোকোভিচ।

সেপ্টেম্বরের ইউএস ওপেনে এই ক্যারেনো বাস্তার কাছেই ম্যাচ ছেড়ে দিতে হয়েছিল জোকোভিচকে। হতাশা থেকে বল ছুড়ে মেরে ছিলেন। আচমকা তার র‌্যাকেট ছুয়ে যাওয়া বল আঘাত করেছিল লাইন জাজকে। যে কারণে ডিসকোয়ালিফাইড হন। এর পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন দুজনে।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৭ মেজর ট্রফির মালিক জোকোভিচ খেলবেন গ্রীসের স্তেফানোস সিতসিপাসের বিপক্ষে।

   

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শরফুদ্দৌলার হাফ-সেঞ্চুরি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি ক্রিকেট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার তিনি। রবিবার ভোরে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছি স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। দুর্দান্ত এই ম্যাচে নতুন এক কীর্তি গড়েছেন শরফুদ্দৌলাও।

একমাত্র ও সর্বপ্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ৫০তম ম্যাচ পরিচালনা করলেন তিনি। উদ্বোধনী ম্যাচে এই রেকর্ডটি স্পর্শ করায় এই মাইলফলকটি আরও বিশেষ হয়ে থাকবে তার ক্যারিয়ারে।

এখন পর্যন্ত ১৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শরফুদ্দৌলা। তবে সে হিসেবের বাইরেই এবার অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ৫০টি অন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার কীর্তি গড়েছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টির বাইরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৫ টেস্ট, ১০০টি ওয়ানডে এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন শরফুদ্দৌলা। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০ ম্যাচ পরিচালনা করার কীর্তিও তার। এর বাইরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করা একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ারও তিনিই।

;

গার্দিওলা, জিদানদের ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস লিখছেন আনচেলত্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তি। ২০২১-২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেই প্রথম ম্যানেজার হিসেবে চারবার এই শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছিলেন। এবার সে রেকর্ডকে আরেকটু বাড়িয়ে নিয়ে পঞ্চমবারের মতো জিতলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

আনচেলত্তির আগে সর্বোচ্চ তিনটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি ছিল পেপ গার্দিওলা, জিনেদিন জিদান এবং বব পেইসলির। দুইবার করে এই শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছেন জোসে মরিনিও এবং অ্যালেক্স ফার্গুসন।

ম্যানেজার হিসেবে পাঁচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম দুটি জিতেছিলেন এসি মিলানের হয়ে। ২০০২-০৩ এবং ২০০৬-০৭ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় সফলতম দলকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ এনে দেন আনচেলত্তি।

তার বাকি তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এসেছে রিয়াল মাদ্রিদের হাত ধরে। প্রথম দফায় যখন রিয়ালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন ২০১৩-১৪ মৌসুমে লস ব্লাঙ্কোসদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতান। 

দ্বিতীয় দফায় রিয়ালের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে শিরোপা ক্ষুধা আরো বেড়েছে আনচেলত্তির। ২০২১-২২ এবং সবশেষ গত রাতে আরো একবার মাদ্রিদকে ইউরোপসেরার খেতাব এনে দিয়েছেন এই ইতালিয়ান।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার সঙ্গে আনচেলত্তির হৃদ্যতার গল্প অবশ্য আরো পুরোনো। খেলোয়াড়ি জীবনে এসি মিলানের হয়ে দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছিলেন ৬৪ বছর বয়সী এই ফুটবল জাদুকর।

সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী ম্যানেজার

৫ - কার্লো আনচেলত্তি

৩ - পেপ গার্দিওলা, জিনেদিন জিদান, বব পেইসলি

২- জোসে মরিনিও, অ্যালেক্স ফার্গুসন

;

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ঘিরে লন্ডনে আটক ৫৩



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চলাকালে মাঠে অনুপ্রবেশ এবং নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর কারণে ৫৩ জনকে আটক করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ। এক বিবৃতিতে তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনাল মাঠে গড়ানোর পর প্রথম মিনিটেই মাঠে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। তিন ব্যক্তি গ্যালারির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঠে ঢুকে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই তিন ব্যক্তি এবং বিনা টিকিটে মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করা বেশ কয়েকজন হেফাজতে নিয়েছেন তারা।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার লুইস পাডেফুট এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশ কর্মকর্তা, স্টুয়ার্ড এবং স্টেডিয়ামের অন্য স্টাফদেড় তৎপরতায় বেআইনিভাবে মাঠে প্রবেশের বেশিরভাগ প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা গেছে। ওয়েম্বলিতে পুলিশ কর্মকর্তারা ৫৩ জনকে আটক করেছেন। ৫ জন মাঠে অনুপ্রবেশের দায় এবং বাকিদের নিরাপত্তায় বিঘ ঘটানোর অপরাধে আটক করা হয়েছে।’

মাঠে অনুপ্রবেশকারীদের ‘তিরস্কার’ করেছে ওয়েম্বলি কর্তৃপক্ষ।

২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড-ইতালির মধ্যকার ইউরো ফাইনালের সময়ও পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের দাঙ্গা হয়েছিল। তাই এবারের ফাইনাল ঘিরে নিরাপত্তাবাহিনী নিজেদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছিল।

উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধে করা দুই গোলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে ১৫তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করে রিয়াল মাদ্রিদ।

;

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড বই ওলটপালট করেই শুরু হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবর আসর। কানাডার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জোন্স-গাউসের রেকর্ড জুটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ ম্যাচে তারা গড়েছে একগাদা রেকর্ড। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি

৪২ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রেস গাউস ও অ্যারন জোন্স মিলে ৫৮ বলে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা এক দশক আগে ২০১৪ সালে, ইংল্যান্ডের মরগান ও হেলসের ১৫২ রানের জুটি। 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি 

২০২১ সালে লডারহিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে গজানন্দ সিং ও সুশান্ত মোদানির ১১০ রানের জুটিটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। তবে সেটি ছাপিয়ে এখন জোন্স-গাউসের ১৩১ রানের জুটি সবার ওপরে। তাও আবার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে। 

বিশ্বকাপে আইসিসির কোনো সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ

যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য তাড়ার ইনিংসে ৩ উইকেটে করেন ১৯৭ রান। যা বিশ্বকাপে আইসিসির কোনো সহযোগী দেশের এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। অবশ্য ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ডাচদের ১৯৩ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৯৪ রান করেছিল কানাডা। তবে তাদের রেকর্ড টিকলো না দুই ঘণ্টাও। 

বিশ্বকাপে দ্রুততম তিন অঙ্কের জুটি

জোন্স-গাউস মিলে ৫৮ বলে রান তোলেন ১৩১। যেখানে ওভারপ্রতি রান ছিল ১৪.২৯, যা বিশ্বকাপে তিন অঙ্কের জুটিতে দ্রুততম রান তোলার রেকর্ড। 

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তাড়া করে জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ১৯৫ রান তাড়া করে নতুন রেকর্ড গড়ল তারা। এছাড়া এটি ছিল বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি। ২০০৭ সালে ২০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ২০১৬ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ২৩০ রান তাড়া করে সেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড। 

বিশ্বকাপে ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড

২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস গেইল। ২০০৭ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মেরেছিলেন ১০টি ছক্কা। এবার ১০টি ছক্কা মেরে সেই তালিকার দ্বিতীয়তে যৌথভাবে গেইলের সঙ্গে নাম লেখালেন জোন্স। 

;