এক নজরে পরশ বৃত্তান্ত



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
স্ত্রীর সঙ্গে পরশ/ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রীর সঙ্গে পরশ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ফজলে শামস পরশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কংগ্রেসে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।

কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে তার নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেখ ফজলে শামস পরশ

যুবলীগের আগের ৬ সম্মেলনের চারটিতেই নেতৃত্বে দেখা গেছে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি এবং তার নিকটাত্মীয়দের। পরশকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে সে ধারাবাহিকতা এবারো অক্ষুণ্ন থাকলো।

শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির জ্যেষ্ঠ পুত্র। বঙ্গবন্ধুর বোন শেখ আছিয়া বেগমের বড় ছেলে শেখ মনি।

বাবা শেখ মনির সঙ্গে পরশ ও তাপস

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা শেখ মনি ও মা আরজু মণিকে চিরতরে হারান পরশ। তখন তার বয়স মাত্র ৬। ছোট ভাই তাপস মাত্র ৪ বছরের শিশু।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হয় পরশ-তাপসকে। কখনও আত্মীয়দের বাসায় লুকিয়ে থাকতে হয়েছে, কখনোবা পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। এভাবে দুই বছর কাটার পর ১৯৭৮ সালে তারা ভারতে চলে যায়। শেখ আছিয়া বেগম তাদের ভারতে নিয়ে যান। চাচা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, ফুপু শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা তারাও তখন বিদেশে শরণার্থী।

তার ছোট ভাই শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১২ আসনের সংসদ সদস্য।

সংস্কৃতিমনা পরশ গান বাজনার প্রতি বেশ আগ্রহী

শেখ পরিবারের উত্তরাধিকারী পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে কলরাডো স্টেট ইউনির্ভাসিটি থেকে স্নাতকোত্তর করে দীর্ঘদিন শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় সংস্কৃতিমনা পরশ গান বাজনার প্রতিও বেশ সৌখিন।

সপ্তম কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চাচা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ভাই শেখ ফজলে নূর তাপস, চাচাত ভাই শেখ ফাহিম, শেখ নাঈমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সম্মেলন ভ্যেনুতে আসেন পরশ। ঝাঁকড়া চুলের দীর্ঘদেহী মানুষটি যখন মূল মঞ্চের দিকে যেতে থাকেন তখন সেখানে উপস্থিত জাতীয় নেতৃবৃন্দ তাকে অভিবাদন জানান।

প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে পরশের সেলফি

এরপর যুবলীগের একজন নেতা পরশকে মূল মঞ্চে তুলে নেন। মঞ্চে থাকা যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে প্রথম সারির ৫টি চেয়ারের সর্বডানে বসেন তিনি। তার বামে বসেন ওবায়দুল কাদের, তার বামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এরপর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম ও সদস্য সচিব হারূনুর রশীদ আসন গ্রহণ করেন।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরের পাশে পরশ 

যুবলীগের বিদায়ী কমিটির কোনো পদে না থাকা পরশের মঞ্চে আসন গ্রহণ নিশ্চিত করে দেয় যে তিনিই হতে যাচ্ছেন যুবলীগের ভবিষ্যৎ কান্ডারি।

বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের জনসভায় পরশ

এরপর বাকিটা ছিল অনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় অধিবেশনের আগে ততক্ষণে পরশ ঘিরে শুরু হয় যুবলীগ কর্মীদের পরশ উন্মাদনা। ছবি, সেলফি আর স্লোগানে স্বাগত জানিয়ে নেতা-কর্মীরা তাকে দ্বিতীয় অধিবেশনের ভ্যেনু ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে নিয়ে যান।

এসময় পরশের সঙ্গে ছিলেন মামাতো ভাই বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।

বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি

এরপর বিকেল সোয়া চারটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এর মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান রাজনীতিতে একদম নতুন পরশের রাজনৈতিক পথ চলা শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী তিন বছরের জন্য তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

   

খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা নজিরবিহীন: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যে বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিনে নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন। ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করেছেন, সেই চরম প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা পরায়ণ বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্বে সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ‘আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশ যেতে বাধা দিচ্ছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। আর তারা যদি তা মনে করে তাহলে তো আদালতে যেতে পারে। আর বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার কি পরিমান দম্ভ, অহমিকা, যে তার পুত্রবিয়োগে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ির দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি দরজা খোলেননি। তার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো, আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে নাই। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার নির্দেশে এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা হয়েছিলো। পরে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়, সেই এজেন্টের এখন বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়ার আমলে নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির কাছ থেকে কিছু কম্পিউটার কেনার চুক্তি হয়েছিলো, সেই কোম্পানির নাম কেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার কন্যা “টিউলিপ” নামের সাথে মিল, সে জন্য সেই চুক্তি তারা বাতিল করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, জিয়াউর রহমানের পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়াও তাদেরকে আবার পুনর্বাসিত করেছেন।

তিনি আরও, বেগম খালেদা জিয়া এতো প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন, এতো জিঘাংসা দেখিয়েছেন কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নজিরবিহীন মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেটি কি তারা কখনো করতো’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

 

;

‘বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা আমরা চাই’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা আমরা চাই। বিএনপি বা বেগম খালেদা জিয়ার যারা চিকিৎসকবৃন্দ আছেন তারা যদি মনে করেন তার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে তাহলে যেহেতু বেগম খালেদা দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি সেই হিসেবে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, জাতি খুব দুর্ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই সভা সামাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছেন। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য আইনি যে প্রক্রিয়া সেটার মধ্যে যাচ্ছে না। এতে জাতির মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, চিকিৎসা করাতে চায় না।

বিএনপি ধরেই নিয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করলে রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়া যাবে। সে কারণেই তাদের এই প্রক্রিয়া। না হলে তারা এতোদিনে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতো, গেলে হয়তো একটা সমাধান আসতো।

হানিফ আরো বলেন, আমি আশা করি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সমাধান করবেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, মার্কিন রাষ্টদূতের বিষয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবকে যে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এটা আমাদের জাতি অবশ্য জানে না। একজন রাষ্টদূতের পক্ষ হয়ে যখন একটি দলের মহাসচিব কথা বলেন, তখন জাতির মধ্যে এটা নিয়ে একটা সন্দেহ হয়।

বর্তমান সরকারের অধীনে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেহেতু বিএনপি কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাটে নাই, যার কারণে তাদের কাছে এটা অসম্ভব বলেই মনে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই আছে যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করে, নির্বাচনে পরাজিত হবার পর একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলো ২০০১ সালে। আর বিএনপি তো নির্বাচনে কখনো বিশ্বাসী না। যার ফলে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এটা তাদের কাছে একটা কাল্পনিক ব্যাপার বলেই মনে হয়, তারা ভাবতেই পারে। কিন্তু এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব।

এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক রাসেলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আমিনবাজারে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকার আমিনবাজারে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সাভারের আমিন বাজারে এ শান্তি সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সমাবেশে নেতারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও দেশকে নৈরাজ্য করার যে পায়তারা তার বিরুদ্ধে আমাদের এ শান্তি সমাবেশ। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা শপথ নিচ্ছি, আমরা আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ী করে আনবো।

প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, ২৩ অক্টোবর মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশ।

;

গণতন্ত্র ফেরাতে সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান দুদুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএন‌পির ভাইস চেয়ারম‌্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দ্রুত সুচিকিৎসা, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে’ এক মানববন্ধ‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

দুদু ব‌লেন, আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এখন বা‌হি‌রে বের হওয়ার সময়, রাস্তায় নামার সময়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামলেই এই সরকারের পতন হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের মানুষের ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে কোনো কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না।’

তিনি আরও বলেন, তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি তার জীবনের কোনো নির্বাচনে হারেননি; তার পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটাই প্রথম আবেদন না, এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম, অসুস্থ নেত্রী, যিনি দেশনেত্রী, আপসহীর নেত্রী তার সু চিকিৎসার জন‌্য বিদেশে পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এটা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি দাম্ভিকতার সাথে এটা নাকচ করে দিয়েছেন।’

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সভাপ‌তি‌ত্বে এবং সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সঞ্চালনায় মানববন্ধ‌নে আরও বক্তব‌্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পা‌র্টির (জাফর) মহাস‌চিব আহসান হা‌বিব লিংকন প্রমুখ।

;