অবশেষে ২৪ ইউনিটের আংশিক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করল ছাত্রদল



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৪টি ইউনিটের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সারা দেশে ১০৭ টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৮ টি কমিটি পুনর্গঠিত হল।

মঙ্গলবার (৫ জুন) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন অর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এই কমিটিগুলো অনুমোদন করেছেন।

নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির পূর্নাঙ্গ তালিকাসহ অধীনস্থ সকল ইউনিট কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট, বগুড়া, চাঁদপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা দক্ষিণ, চুয়াডাঙ্গা, ঝালকাঠি, জয়পুরহাট, খাগড়াছড়ি, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, লক্ষ্মীপুর, মাগুরা. মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, পিরোজপুর, রাঙ্গামাটি, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘোষিত ইউনিট সমূহের যারা মনোনীত হলেন বাগেরহাট জেলা সভাপতি ইমরান খান সবুজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. গোলাম রসুল তরফদার নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম দ্বীপ, যুগ্ম সম্পাদক তালহা মাহী, যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফয়সাল মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান রাসেল।

বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু জাফর জেমস, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম আউয়াল,

চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইমান হোসেন গাজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি আবু হানিফ কানন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সারওয়ার জাহান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হাসান ইমতিয়াজ, সহ-সভাপতি ওমর  ফারুক রানা, সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াকিলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. জানিবুল ইসলাম জোসি, যুগ্ম সম্পাদক মো. হামিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সজীব আলি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোরসালিন ইসলাম।

কুমিল্লা মহানগর ইউনিটে  ছাত্রদল সভাপতি হলেন রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি তুষার পাল,সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল ফারিয়াল, সহ-সভাপতি রোবোন মজুমদার,সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন শিবলু, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম,যুগ্ম সম্পাদক শাহাবুদ্দীন হাসিব ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মুনির হোসেন ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক কাজী হোসনে জামান জিকু, যুগ্ম সম্পাদক জনি পাটোয়ারী, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দীন পাভেল, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ উদ্দিন বাহার,

এদিকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাদিমুর রহমান শিশির, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সার্কিট, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম সওদাগর, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান সুমন, সহ-সভাপতি জামাল হোসেন নয়ন, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দীন,সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ইরফানুল হক বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুদ্দিন। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি শাহাজাহান খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এলাহী তৌফিক, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান শিপুল,সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাবুদ  যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল আরেফিন কিরণ, যুগ্ম সম্পাদক সাজিদ হাসান মালিক সজীব, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম সম্পাদক আরিফ আহমেদ শিপ্লব, যুগ্ম সম্পাদক তানজীব সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন।

ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেদ রানা ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু, যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল হাসান সাকি, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আলী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রাজীব।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৌমেনুজ্জামান সৌমেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সহ-সভাপতি শাহিন মুন্সী, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব আলম মিলু, যুগ্ম সম্পাদক বাবলুর  রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সায়েদ।

জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মামুনুর রশিদ প্রধান, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম, সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ জিদ্দা, সহ-সভাপতি আল ইমরান বাঁধন, সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদুল হক আদনান, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রাব্বানি সরকার  রাব্বি, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রাইসুল আলম রিপন, যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম গোলাম মাহফুজ শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামিম হোসেন মন্ডল।

   

সরকার বড় বিপদে আছে : দুদু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, 'সরকার বড় বিপদে আছে। ডাইরেক্টলি (সরাসরি) না হলেও ইন্ডাইরেক্টলি আপনি (সরকার) সাবেক সেনাপ্রধান এম এ আজিজ ও সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের দুর্নীতির অংশীদার।'

শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, 'আমি জানি আপনি অস্থিরতার মধ্যে আছেন। এক সময়ের আপনার সেনাপ্রধান এম এ আজিজ বর্তমানে স্বপরিবারে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে। ডাইরেক্টলি না হলেও ইন্ডাইরেক্টলি আপনি তার (সেনাপ্রধান এম এ আজিজ) অংশীদার। তার মাধ্যমে '১৮ সালে আপনি নদী পার হয়েছিলেন। আপনার একসময়ের পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক জব্দ করার জন্য বলেছে কোর্ট। সে শুধু আপনার সমর্থকই ছিলেন না। আপনি তার ঘাড়ে চেপে পুলিশের সমর্থনে সরকার গঠন করেছেন।'

তিনি বলেন, আজকে আপনি বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট, বন্দর পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আপনি নিজেও স্বীকার করেছেন ভারতকে আপনি এমন কিছু দিয়েছেন যেটি ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না। সাদা চামড়া বলতে আপনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন? যে আপনার কাছে দাবি করেছে যে সাদা চামড়ারা নতুন রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে এই কথাটি আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই কথার মধ্যে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে কিনা সেটা দেখা দিয়েছে।'

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, 'গতকাল বর্তমান এই দখলদার প্রধানমন্ত্রী সাদা চামড়া প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন সেটি অত্যন্ত মারাত্মক। আজকে প্রধানমন্ত্রীকে জাতির সামনে এই কথাকে স্পষ্ট করে বিবৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। সাদা চামড়া বলতে আপনি (শেখ হাসিনা) কাদেরকে বুঝিয়েছেন।'

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আনার স্বর্ণ চোরাচালানসহ অনেক অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ছিল। এইসব দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাপ্রধান আজিজ ও পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ এবং দুশ্চরিত্র লম্পটরা যদি জাতীয় সংসদের সদস্য হয় আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যদি আপনি হন, আপনার দল হয় তাহলে আর কি বাকি থাকতে পারে।'

৭ জানুয়ারি আপনি একটি নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসার তিনমাসের অবস্থায় আপনি অস্থির হয়ে গেছেন। বাকি সময় এখনো পড়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, 'এ দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে যারা মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে ছয়টি বছর জেলখানায় বন্দি রেখেছে তাদের আগামী দিনে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে এদেশের ব্যাংকগুলো লোপাট করে নেওয়ার প্রশ্নে দুর্নীতির করাল গ্রাসে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্যে তাদেরকে একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।'

কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক বলেন, 'চারিদিকের যে পরিস্থিতি এখন সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়েছে। সরকার থাকবে কিনা, কবে যাবে, কত তারিখে পদত্যাগ করবে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরপরেও আমি শেখ হাসিনাকে বলবো, আপনি পদত্যাগ করে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য জনগনের ক্ষমতা জনগনের হাতে দিয়ে দেন। তাহলে হয়তো রেহাই পেলে পেতেও পারেন। অন্যথায় যদি আন্দোলনের মাধ্যমে আপনার পতন হয় তাহলে সে পরিস্থিতি আপনি সামাল দিতে পারবেন না।'

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা সকলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, 'দেশকে রক্ষা করার জন্য হলেও আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া যে সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশ পড়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার দ্বিতীয় কোন পথ নেই। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।'

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ্ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

;

নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানায় সমর্থন জানাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে আছেন। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে বাংলাদেশ সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘বিশ্বশান্তি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ফিলিস্তিনে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। ফিলিস্তিনি শিশুরা ঢিল ছুড়লে ইসরাইলি বাহিনী অন্যদিকে নির্বিচারে গুলি করে। কিছু দেশ একদিকে ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে অন্যদিকে আবার ফিলিস্তিনিদের খাবার দিয়ে সহযোগিতা করে। এমন নীতি আমার বোধগম্য নয়।’

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠলে অনেক দেশ ভ্যাটো দেয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ছাত্রদের পিটিয়েছে, তা কিন্তু গোপন থাকেনি। কোনও কিছুই গোপন থাকে না। নেতানিয়াহু এখন মানবাধিকারের শত্রু হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শোনেন না।’

‘শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সবসময় সোচ্চার। আমাদের দেশ সাহায্য পাঠিয়েছে। আরও সাহায্য পাঠাবে, যোগ করেন মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ইসলামের জন্য মায়াকান্না করে, সেই বিএনপি ও জামায়াত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে না। তারা কীভাবে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে? যেখানে বিশ্বের সব মানুষ যে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার, সেখানে বিএনপি কী করে ফিলিস্তিনির পক্ষে কথা না বলে থাকে?’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি সকালে এক কথা বলেন আর বিকেলে আরেক কথা বলেন। জামায়াত বলে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে। কারণ, তারা কাপুরুষ।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমকে (চরমোনাই পীর) ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন পীর সাহেব আছেন, যিনি মাঝে মাঝে বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ-মিছিল করেন। কিন্তু একটি মিছিলও তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে করেন না। তবে কর্মসূচি করেছে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং এর ভাতৃপ্রমিত দল।’

ক্ষমতার মোহে যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে নাই, তারা ইসরাইলের দোসর এবং নেতানিয়াহুর সহযোগীতে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।

;

বিএনপি পথ হারিয়ে বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে : কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মত বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের প্রতিনিধি। জনগণের ইচ্ছায় আমরা দেশ শাসন করছি। বিএনপি পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মত বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে। তাদের শক্তি কমে এসেছে ক্রমান্বয়ে নেতিবাচক রাজনীতির জন্য।

এই সরকারের আমলে কোন নিরীহ লোক হয়রানি, জেল জুলুমের শিকার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আপনাদের দল প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশকে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করেছে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছেন। এইসব অপরাধের সাথে যারা জড়িত তারা তো অপরাধী। তাদেরকে বিএনপি হিসেবে আটক করা হয়নি, আটক করা হয়েছে খুন, আগুন সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে।

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, কয়দিন আগে চাপাইনবাবগঞ্জে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরে জানা গেলো তিনি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অথচ ফখরুল সাহেব তার পক্ষে এক বিরাট বিবৃতি দিয়ে বসলেন। খুনি, সন্ত্রাস ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাথে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার যে প্র‍্যাক্টিস (চর্চা) তারা এখনো তা করে যাচ্ছে। এখানে কোন ছাড় নেই।

পৃথিবীতে এই বছর ৬৪টি দেশে নির্বাচন হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার মধ্যে যুক্তরাজ্যও আছে। তাদের নির্বাচন জুলাইয়ের ৪ তারিখ। আফ্রিকার অনেক দেশে ইতিমধ্যে নির্বাচন হয়ে গেছে। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ভোটার টার্নআউট আমি বলবো সন্তোষজনক। বিএনপির ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিবিসি বলেছলো ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা নির্বাচন কমিশন থেকে ২১ শতাংশ দেখিয়েছে। এবার তার ডাবল। এটা কে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বলবেন কম!

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে সিইসি বলেছেন ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ -এর বেশি। আর এবার দ্বিতীয় ধাপে পড়েছে ৩৭ শতাংশের বেশি। তার মানে এই বার এক শতাংশ বেশি।

বিশিষ্ট সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, শরৎচন্দ্রের কথা, মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন তার মুখে বিষ উগ্র হয়ে নেমে আসে। বিএনপির মুখের বিষ এতই উগ্র, ফেসবুকের যে অপপ্রচার, টিকটকে আমাদের যে নোংরাভাবে আক্রমণ করে এটা কি সম্ভব কোন গণতান্ত্রিক দেশে? প্রধানমন্ত্রী কে যেভাবে আক্রমণ করে! এসব করার পরেও বলে সরকার জুলুম করছে, নির্যাতন করছে। এমন কোন বাজে কথা নেই, তাদের নেতারা প্রতিদিন উচ্চারণ করে না। সেটার জন্য তো কারো গলা টিপে ধরা হয়নি। কাজেই এসব অবান্তর বক্তব্যের কোন মূল্য নেই।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা অর্জন করেছে, ক্ষমতা দখল করেনি মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা হলো ক্ষমতা অর্জন, আর বিএনপি বলছে ক্ষমতা দখল। জনগণের ভোটে আমরা ক্ষমতা অর্জন করেছি, এটা আমাদের এচিভমেন্ট। এটা আমাদের অর্জন, ক্ষমতা দখল নয়। মনে হয় যেনো বন্দুকে নল উচিয়ে তাদের নেতা যেভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, নির্বাচন করে যেনো আমরা ক্ষমতা সেভাবেই দখল করেছি। সারা দুনিয়া জানে। যে কারণে নির্বাচনের আগে দুনিয়ার অনেকেই সমালোচনা করেছে কিন্তু নির্বাচনের পরে! বাইডেনের চিঠিটা আমরা তাদের পড়তে বলবো। যে কারণেই হউক, তিনিও এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশে সাংবিধানিক সরকারকে উচ্ছেদের চক্রান্ত আছে: ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনো দেশ চক্রান্তের ভিতর আছে এবং সাংবিধানিক সরকারকে উচ্ছেদের চক্রান্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোট নেতাদের বৈঠক শেষে বের হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, মাঝখানে ১৪ দলের যাত্রাপথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেক সমন্বয়হীনতা, দূরত্ব ও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিন্তু আজকে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা শেখ হাসিনা অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন।

রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা কি সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো আজকের বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানান জাসদ সভাপতি।

রাজনৈতিক মোল্লারা ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে, সাম্প্রদায়িকতা বিরাট সমস্যা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে লুটপাটতন্ত্র বখরাতন্ত্র এবং গোন্ডাবাজি শাসনের ঘাটতির সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেও জানান হাসানুল হক ইনু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আদর্শিক জোট ১৪ দলের সাথে জোট নেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বৈঠক বসে আজ গণভবনে। বৈঠকের শুরুতে জোটের নেতাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং চেতনাকে অটুট রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ অন্যান্য শরিক জোটের নেতৃবৃন্দ।

;