‘ভোটের সময় টাকা নিয়ে ত্যাগীদের দূরে ঠেলে দেন’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা

জাতীয় পার্টির খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের সময় অতিথি পাখিরা টাকা নিয়ে হাজির হয়। আপনারা টাকা পয়সা নিয়ে আমাদের দূরে ঠেলে দেন। অনেকে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন কিন্তু আমরা চিনি না।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মতিঝিল এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলার সভাপতি অ্যাড. ফিরোজ।

জাপার এই নেতা বলেন, আমরা কষ্ট করে দল চালাই। বছরের পর পর টাকা-শ্রম দিয়ে দলকে এগিয়ে নেই। ভোটের সময় হাজির হয় কিছু অতিথি পাখি, তখন আপনারা তাদের কোলে তুলে নেন। আর আমরা তখন পার্টির চেয়ারম্যান মহাসচিবের বাসায় গিয়ে ধর্না দেই। কোনো লাভ হয় না। এভাবে চললে পার্টি সামনে এগুতে পারবে না।

সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজাহার আলী বলেন, ২০০৮ সালে সাতক্ষীরা থেকে জাতীয় পার্টির ২ জন এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আমরা অংশ নেই। পরে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের। আমরা প্রত্যাহার করি, কিন্তু আপনারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন না। কেন করলেন না, এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি কখনও। এসব কারণে সাতক্ষীরা থেকে বিতাড়িত জাতীয় পার্টি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/27/1561642868657.jpg
জেলা-উপজেলার নেতারা প্রায় সবাই হঠাৎ হঠাৎ প্রমোশন, বহিষ্কারের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দল পরিচালনা, সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়ার সুপারিশ করেন।

দুই নেতার আক্রমণাত্মক বক্তব্যের পর মাইক নেন মঞ্চে বসা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, এসব ক্ষোভ দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা তখন ছিলাম না, আমি ছিলাম না, মহাসচিবও ছিলেন না। অনেকে অবান্তর কথা বলেছেন সেগুলোর কোন সমাধান আমরা দিতে পারব না। আপনারা মতামত দেবেন ভবিষ্যতে কী করতে পারি।
তবে কথা দিচ্ছি, ভবিষ্যতে প্রার্থী আবিষ্কার ও বহিষ্কার করা হবে না। টাকা দিয়ে কেউ মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন বাণিজ্য শেষ। আমরা আগে ভাগেই প্রার্থী ঠিক করে দেব আপনাদের সঙ্গে পরামর্শ করে। বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম গঠন করা হবে, তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন তবে তিনিই ওই এলাকায় প্রার্থী হবেন, সংগঠন পরিচালনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন জি এম কাদের।

তিনি বলেন, চার দিনব্যাপী এই সাংগঠনিক সভায় অনেকে ক্ষোভের কথা বলেছেন। অবহেলা বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক অবহেলার কথা বলেছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য নিজেদের শক্তি অর্জন করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এখান থেকে পরিত্রাণ আসবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/27/1561643731746.jpg
পার্টিতে তরুণ সমাজ ও নারী কর্মীর অভাব রয়েছে। তরুণ সমাজের কাছে জাতীয় পার্টিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেন জিএম কাদের।

অতিথি পাখিদের প্রার্থী করার প্রসঙ্গ টেনে মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, গত নির্বাচনের সময় আমিও ছিলাম না, কাদের মামাও (জিএম কাদের) ছিলেন না। পার্টির চেয়ারম্যানকে (এরশাদ) হয়তো ভুল বুঝিয়ে, আবার অনেক সময় না বুঝেও উনি করে থাকতে পারেন।

আমরা এখন থেকে প্রার্থী ঠিক করে দেব। বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটি করে দেওয়া হবে। তারা আপনাদের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী চুড়ান্ত করবে। এখন থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য শেষ, কমিটি বাণিজ্য শেষ। কোন পকেট কমিটি হবে না। কাউন্সিলের মাধ্যমে সব কমিটি হবে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি বলেন, কিছু দুষ্টু লোক ভালো মানুষদের দলে আসতে দেননি। নেতাদের আশপাশে দুষ্টু লোকদের দেখলে, ভালো মানুষরা হতাশ হন। তারা দল ছেড়ে চলে যান। অতীতে জাতীয় পার্টিতে খারাপ লোকগুলো নেতাদের আশপাশে ঘোরাফেরা করত।

   

দেশে সাংবিধানিক সরকারকে উচ্ছেদের চক্রান্ত আছে: ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনো দেশ চক্রান্তের ভিতর আছে এবং সাংবিধানিক সরকারকে উচ্ছেদের চক্রান্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোট নেতাদের বৈঠক শেষে বের হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, মাঝখানে ১৪ দলের যাত্রাপথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেক সমন্বয়হীনতা, দূরত্ব ও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিন্তু আজকে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা শেখ হাসিনা অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন।

রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা কি সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো আজকের বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানান জাসদ সভাপতি।

রাজনৈতিক মোল্লারা ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে, সাম্প্রদায়িকতা বিরাট সমস্যা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে লুটপাটতন্ত্র বখরাতন্ত্র এবং গোন্ডাবাজি শাসনের ঘাটতির সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেও জানান হাসানুল হক ইনু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আদর্শিক জোট ১৪ দলের সাথে জোট নেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বৈঠক বসে আজ গণভবনে। বৈঠকের শুরুতে জোটের নেতাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং চেতনাকে অটুট রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ অন্যান্য শরিক জোটের নেতৃবৃন্দ।

;

‘উন্নয়ন হয়েছে ঠিক, কিন্তু একটা গোষ্ঠী সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, কিন্তু ক্ষুদ্র একটা ধনিক গোষ্ঠী, সামরিক-বেসামরিক আমলা তারা এখন সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৪ দল আমরা এক সাথে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন করেছি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত কার্যকারভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই ছিলাম। ২০১৮ সালে এসে দেখলাম ১৪ দলের সরকার হয়ে গেলো আওয়ামী লীগের সরকার। তাহলে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা আর আওয়ামী লীগের কাছে নাই।

মেনন বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এই সময়কালে রাজনৈতিকভাবে যখন সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ আসছে আমেরিকা ও মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে সরকারের বিপক্ষে চাপ এসেছে আমরা ১৪ দল সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এমনকি ১/১১ এর সময় যখন মাইনাস টু ফর্মুলা আসছে তখন কিন্তু আপনার দলে বিভ্রান্তি আসছে কিন্তু আমরা আপনার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা বলেছি যে, আপনারাই এখন বলুন ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা আছে কি নেই।

ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি বলেন, দেশে এখন উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছি কোন সন্দেহ নেই কিন্তু ক্ষুদ্র একটা ধনিক গোষ্ঠী, সামরিক-বেসামরিক আমলা গোষ্ঠী তারা এখন সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকে অর্থপাচার নিয়ে যদি না বলি তাহলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এখন আমরা একটা উচ্চ বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছি। এখন বৈষম্যের বিচারে ৪.৯৯ যেখানে আগে ২.২ পয়েন্ট ছিল। আরেক পয়েন্ট বাড়লেই আমরা উচ্চ বৈষম্যের দেশে চলে যাবো।

মেনন বলেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এখন দেখা যাচ্ছে হেফাজত আওয়ামী লীগের মধ্যে চলে আসছে, আমাদের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হচ্ছে। প্রাইমারি স্কুল থেকে ছেলেমেয়ে মাদরাসায় চলে যাচ্ছে।

মেনন আরও বলেন, ১৪ দল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে। এখন ইনু সাহেব আগায়া আসছেন ঠিকই কিন্তু এদের মাথা থেকে লেনিনের ব্যাপারটা যায়নি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই আজকের বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটি গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন। আজকে আমাদের রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়ে ও ভূখণ্ডে যাতে সমস্যা হয় তারা সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নিয়ন্ত্রণ চায় বাংলাদেশে, আমরা তাদের সেই প্রস্তাবে রাজি নই। এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা আমাদের না।

মেনন আরও বলেন, ১৪ দলকে দলগতভাবে জায়গা না দিলে ঐক্যবদ্ধ থাকা সম্ভব না। এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথাও বলেছেন জোট নেত্রী শেখ হাসিনা। বাইরের লোক মনে করে আমরা সরকারের সঙ্গে আছি ফলে আমাদের কথা সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা আমাদের মতো করে আমাদের জায়গা থেকে এই ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদের ১৪ দলের ভারসাম্য জনগণের কাছে দৃশ্যম্যান হবে।

গত নির্বাচন সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছি, ১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল রাজশাহীতে কিন্তু সেখানে এবার আওয়ামী লীগ নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করলো।

তিনি আরও বলেন, হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারা দাঁড়িয়ে তাকে হারানোর ব্যবস্থা করেছে, মাইজভান্ডারির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ১৪ দলের নেতাদের যদি পাশে না নেন তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এবং ঐক্যবদ্ধ থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

;

আজকের পর ১৪ দলে আর দূরত্ব থাকবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে সাড়ে তিন ঘণ্টা তাদের বক্তব্য শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার যা বলার সবাই বিস্তারিত বলেছেন। এতে ১৪ দলের যে দূরত্বের কথাটা বলা হয় সেটা আর থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ১৪ দল নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয়ক এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত হয়েছেন। ১৪ দলের সবাই গাইডলাইন চেয়েছেন। তাদের (১৪ দল) নিজেদের দলগুলোকে আরও সংগঠিত করা, জনগণের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৪ দলকে এই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

১৪ দলের সবাইকে নিজেদের দল গোছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী গাইডলাইন দিয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (১৪ দল) নিজেদের দলকে আরও সংগঠিত করার জন্য গাইডলাইন দিয়েছেন। ১৪ দলের নেতারা সমন্বিতভাবে আরও সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত ঐক্য গড়ে তুলবেন এই ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছেন।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

বহিষ্কার করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে (মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা) নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয় মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি দলের নিবার্চন করি না, জনগণের নিবার্চন করি। তাই দল যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। দল যেটা ভালো মনে করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমারও সেটাকে সমর্থন করি। এর বাইরে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।

;