দুর্বৃত্তের হামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর, বার্তা২৪.কম
আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপির এক নেতা, ছবি: বার্তা২৪

আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপির এক নেতা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এ হামলায় দলটির ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালের দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মাথায় দুটি বড় আকারের জখম হয়েছে বলে জানা যায়। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জুলফিকারকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা (৬২), জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন (৫৫), জেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক দিলদার হোসেন (৪৭), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিটন বিশ্বাস (২৯), ছাত্রদল সরকারি ইয়াছিন কলেজের সাবেক এজিএস আল আমীন তুষার (৩১), জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সেন্টু (৩৪), কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস হোসেন মোল্লা (৩৬), শ্রমিক দলের বিল্লাল তালুকদার (৩২) সহ আরও পাঁচজন নেতাকর্মী এ হামলায় আহত হয়েছেন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে মিছিল সহযোগে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই মিছিলে ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক দিলদার হোসেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553600289803.jpg

ঘটনার বিবরণ দিয়ে দিলদার হোসেন জানান, সকালে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জামান সাহেবের পেট্রোল পাম্পের সামনে এলে ৭/৮ জন যুবক প্রথমে তাদের ব্যানার দিয়ে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এরপর পেছন থেকে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, বিএনপির আরেকটি অংশ একে কিবরিয়ার নেতৃত্বে শহরের গোয়ালচামট এলাকার হাজরাতলার মোড়ে হামলার শিকার হয়। এখানে লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে কিবরিয়াসহ কয়েকজনকে আহত করা হয়। তারা শহীদ বেদিতে ফুল দিতে পারেনি।

হামলার মুখে যুবদলের একটি মিছিল শহীদ বেদিতে ফুল না দিয়ে ফেরার পথে পূর্ব খাবাসপুর জোড়া সেতুর নিকট হামলার শিকার হয়। এখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলীসহ কয়েকজন আহত হন।

জেলা বিএনপির ব্যানারে সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অংশ ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। হামলার মুখে তারাও দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

হামলায় আহতরা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় তারা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অস্ত্রধারীদের হামলার পর তারা এখন গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছেন।

এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম কিবরিয়া স্বপন আহত অবস্থায় বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা জানান, ১২ থেকে ১৪ জন একটি দল অতর্কিত ভাবে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আহত অবস্থায় আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সাহস পাচ্ছে না। আমরা এই হামালার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।'

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম বলেন, 'শহীদ বেদির নিকটে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় হামলার শিকার হয়ে বিএনপির তিন নেতা ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান দেওয়া নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।'

   

বর্তমান সরকার অনেক সমস্যার মধ্যে আছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার অনেক সমস্যার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনার তৈরি করা সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা করেন, কিছুদিন পর শেখ হাসিনাও স্যাংশন খাবে।

শ‌নিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের আয়োজনে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে তি‌নি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ কত ধরনের দুর্নীতি করেছে। এখন হাইকোর্ট তার সবকিছু বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বেনজীরের অবৈধ সম্পদ নিয়ে দুদক আগেই তদন্ত করতে চেয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশের সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল এটা কার নির্দেশ ছিল জনগণ জানতে চায়।

তিনি বলেন, একজন এমপির বিরুদ্ধে খুন ধর্ষণের মামলা ছিল, সে আবার এমপি হয়। আবার সেই এমপি কিভাবে খুন হলো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভাঙতে হবে, তবেই খালেদা জিয়া মুক্ত হবে তাছাড়া মুক্ত হবে না।

সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর সভাপ‌তিত্বে কর্মসুূচিতে আরও উপ‌স্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি'র সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম,গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম। ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।

;

‘আজিজ-বেনজীরকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান (অব.) আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যাত্রাপথে দুঘর্টনায় মৃত্যুর ভয়াবহতা ও জনদুর্ভোগ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ-এ্যাব ঢাকা সেন্টার।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আজকে দেশে শেখ হাসিনাকে একচেটিয়াভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য কাজ করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ। তিনি ২০১৮ সালের মিডনাইট নির্বাচনের আর্কিটেকচার তথা স্থপতি। এভাবে তাকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার সকল প্রোটেকশন দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান।

অন্যদিকে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং অবৈধ সম্পদ বন্ধের নির্দেশ আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করেন রিজভী। তিনি বলেন, কদিন পর দেখবেন যে আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে জনদৃষ্টি সেদিকে নিয়ে যাবে। কারণ বেনজীরকে দিয়েও অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আসলে সরকার চাচ্ছে জাতিকে একটি শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে। আজকে দেশের নাগরিকদের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষ যেন একটি বেড়ার মধ্যে বাস করছে। তাদের নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের উচিত জনগণের কাছে যাওয়া।

এ্যাব ঢাকা সেন্টারের সিনিয়র সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, এ্যাব রুয়েটের সেন্টারের সহসভাপতি প্রকৌশলী এসএম আব্দুর রাজ্জাক, প্রকৌশলী মো. হানিফ, রুহুল আমিন প্রমুখ। এসময় প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, গোলাম রহমান রাজীব, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচিসহ আনেক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। এতে মুল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন এ্যাব ঢাকা সেন্টার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মাহাবুব আলম প্রমুখ।

;

দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু কয়েকজন ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করতে হবে।

শ‌নিবার (২৫ মে জাতীয়) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃ‌ন্দরা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদেরকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সেজন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে বাংলাদেশ ডুবন্ত নৌকায় আসিন। চারিদিকে হাহাকার। আজকে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তাদের দুর্নীতির দায় তো সরকারের ওপর বর্তায়।

তিনি বলেন, আজকে দশ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এর মধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ফ্যাসিস্ট ও ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশের ভেজাল পণ্য বয়কট এবং চলমান আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান এহসানুল হুদা।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন , জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

;

যারা দুর্বৃত্ত, অপরাধী তাদের জেল জুলুম হবেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানোর এজেন্ডা আমাদের নেই। তবে যারা দুর্বৃত্ত, অপরাধী তাদের জেল জুলুম হবেই।

শনিবার (২৫ মে) সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম তাদের আন্দোলনের বাতিঘর। কিন্তু তারা যখনই আন্দোলন-সংগ্রাম করে তখনই সরকার তাদের জেল জুলুম শুরু করে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি অথবা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্যাতন কিংবা জেলে পাঠনোর চিন্তা করেনি আওয়ামী লীগ। কিন্তু যারা দুর্বৃত্ত, অগ্নিসন্ত্রাস, খুনি, অস্ত্র ব্যবস্থা করে, তাদের অপরাধের মানদন্ডে জেল জুলুম হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেক্ষেত্রে কোনো দল বিবেচনা করা হয় না।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তৎপর। সাম্প্রদায়িক বিষ বৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন আওয়ামী লীগের আঙ্গীকার।

জাতীয় কবিকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহ-বেদনার কবি, যৌবনের কবি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। যে কবিকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর প্রতিবেশী দেশ থেকে বাংলাদেশে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায় মৃত্যুর পর কবিকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এই মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রেরণার উৎস ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম। তার গান ও কবিতা স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে উৎসাহ জুগিয়েছে। আজ আমরা সেই কবিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি আব্দুস সবুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;