দেশটা এখন মগের মুল্লুক : মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।’

রবিবার (১৯ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

পল্টন থানায় করা মামলায় ইশরাক হোসেনকে রবিবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি অভিযোগ করেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর নানা কায়দায় নির্যাতন–নিপীড়ন শুরু করেছে। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো যেন আওয়ামী সরকারের প্রধান কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইশরাক হোসেনও সে কর্মসূচির অংশ।

বিবৃতিতে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।

সরকারের বীভৎস রূপ ফুটে উঠেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেহারা কী বীভৎস রূপ ধারণ করেছে, সাংবাদিক নির্যাতন ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে তা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সব হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করে দেশ এবং দেশের মানুষকে অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।

শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরুকে আদালতে রিমান্ড শেষে নিয়ে আসার সময় গণমাধ্যমে যে চিত্র এসেছে তা যেকোনো বিবেকবান মানুষকে আলোড়িত করবে। রিমান্ডে এমনভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে যে তিনি দাঁড়াতেই পারছে না। মধ্যযুগীয় নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে অবৈধ সরকার। কোটা আন্দোলনের অন্যতম তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তুলে নিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের বর্বরোচিত অমানবিক কাজ পুরো সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি সাঈদ খানকে গত ২৫ জুলাই গভীর রাতে তার মগবাজারস্থ বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে এবং রাততর নির্যাতন চালায়। তারপর সাঈদ খানকে মেট্রোরেল পোড়ানোর বানোয়াট মামলায় জড়িয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কয়েকদিন পূর্বে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশ ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নয়াব আলীর একটি চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জহিরউদ্দিন স্বপন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন জাতীয় নেতা ও অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে কারান্তরীণ করা হয়েছে। গতকাল যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসায় তল্লাশি করে তাকে না পেয়ে তার ভায়রা, শ্যালক ও শ্যালকের ছেলেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানসহ অসংখ্য মানুষের বাড়ি বাড়ি ডিবি পুলিশ তল্লাশি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, অবৈধ পন্থায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা আগলে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ ধরে রেখেছে। তার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে হত্যার ঘটনা, সাজানো রায় দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দল ও মতের নেতা-কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান, ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে হয়রানি এবং খুন-গুম, রিমান্ডের নামে নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকার সৃষ্ট সন্ত্রাসের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে হত্যা-নির্যাতনের পর এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সাজানো মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধী মতের নেতাদেরকে হত্যা, গ্রেফতার, গুলি করে আদালতে উঠানোর আগেই নির্যাতন করে পঙ্গু করা হচ্ছে এবং বিচার বিভাগকে দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে আবারো নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সেখানে রিমান্ডের ন্যূনতম আইন মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারকৃতদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে কল্পকাহিনী রচনা করা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের পাশাপাশি এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকেও ব্লক রেড দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, আইডি কার্ড দেখামাত্রই গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদেরকে গুম করে কিভাবে নির্যাতন করে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে তা তাদের শরীরের ক্ষতচিহ্ন দেখলেই অনুধাবন করা যাচ্ছে।

সরকার প্রথম থেকেই সরকারি গুন্ডাবাহিনীকে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে লেলিয়ে দেয়। তারা এতই রক্ত পিপাসু হয়ে গেছে আরও কেন হতাহত ও আরো বেশি রক্তপাত হলো না কেন এর দায় এবং ব্যর্থতায় বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে যা রংপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী নেতাদের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে সরকার প্রধানসহ আওয়ামী নেতারা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক কল্পকাহিনী রচনার মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরছে, কিন্তু দেশের জনগণ তা বিশ্বাস করে না। তারেক রহমানকে নিয়ে সরকারের মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল।

ছাত্রদের গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার পর তাদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়া ও মায়া কান্না এবং সাহায্য করবার কথা বলা জনগণকে প্রতারণা করার আর একটি নজির। তাই এই সরকারকে বলবো-সকল হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করে দেশ এবং দেশের মানুষকে অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।

সরকার জনরোষে পড়ার ভয়ে জোর করে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশে কারফিউ দিয়ে রেলসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছে, জনগণকে কর্মহীন রেখে অনাহারে দিনাতিপাত করতে বাধ্য করছে, দ্রব্যমূল্য দিন দিন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে জাতি দ্রুত মুক্তি চায়, এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান।

২৫ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত সাঈদ খান একজন মেধাবী সাংবাদিক। তিনি সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর সরকারের বল প্রয়োগ ও নির্বিচারে গণহত্যার খবর অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে পরিবেশন করে আসছিলেন দ্য মিরর এশিয়ায়। একই সাথে তিনি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা হিসেবে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে গভীর রাতে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং রাতভর তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়।

বর্তমানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেহারা কী বীভৎস রূপ ধারণ করেছে সাংবাদিক নির্যাতন ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে তা ফুটে উঠেছে। সরকারি বাহিনীর হাতে মাত্র এক সপ্তাহে চার সাংবাদিক হত্যা এবং দুই শতাধিক সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনার বিচার না করে প্রতিবাদী সাংবাদিক নেতা সাঈদ খানকে গ্রেফতার সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের একটি কু-নজির। কথায় কথায় বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের খুন, গুম, বিনা বিচারে হত্যা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে হত্যা, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, বল প্রয়োগ করে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকার দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সরকারের প্রতিহিংসা থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। এ সরকারের আমলে ৬৬ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শত শত সাংবাদিক। অনেক সাংবাদিককে প্রাণ বাঁচাতে দেশান্তরিত হতে হয়েছে। সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

সাংবাদিক সাঈদ খানকে গ্রেফতার এবং বানোয়াট মামলায় রিমান্ডে নেয়ার মাধ্যমে সরকারের সমালোচক, প্রতিবাদী কলামিস্ট ও বিবেকবান লেখক-বুদ্ধিজীবীদের বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিলো। সরকার কেবল বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরই নয়, তারা এখন টার্গেট করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে। অন্তহীন ক্ষমতালিন্সার জন্য এরা প্রতিবাদী সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই প্রতিবাদী সাংবাদিক, নির্ভিক লেখক ও অকুতোভয় গণতন্ত্রকামী বরেণ্য বৃদ্ধিজীবীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমরা সরকারকে এই ভয়ঙ্কর গ্রেফতার খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

;

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার চান রওশন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ

সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো নাগরিক তার দেশের সম্পদ এভাবে ক্ষতি করতে পারে না, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা দেশের শত্রু। তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (রওশন) চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) আন্দোলনকারীদের আগুনে বিধ্বস্ত সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে এমন মন্তব্য করেন। সেতু ভবনের সামনে গাড়িতে বসেই ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিদর্শন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান।

১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দফায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সেতু ভবনে। এই হামলায় ৫৫টি গাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এছাড়া ভবনের নিচতলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, মিলনায়তন, ডে-কেয়ার সেন্টার পুড়ে গেছে পুরোপুরি। নিচ থেকে ৭ তলা পর্যন্ত ক্ষতচিহ্ন জ্বল জ্বল করছে। নিচতলা ও সামনের পার্কিং এরিয়া অনেকটা ভাগাড়ের মতো দেখাচ্ছে। ভবনের দক্ষিণ দিকে পার্কিং এলাকায় থাকা সবগুলো গাড়ি পুড়ে বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর বৃষ্টিতে এরইমধ্যে মরিচার আস্তরণ পড়েছে। এতে করে বুঝবার উপায় নেই কয়েকদিন আগে গাড়িগুলো সচল ছিল, মনে হচ্ছে কতকাল আগে ডাম্প করা।

সেতু ভবনের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে হাতের বামে ভবনের সিঁড়ির গোড়ায় যাত্রী নামিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে ডানে টার্ন নিয়ে পার্কিং অথবা বেরিয়ে যাওয়ার পথ। সেই পথটুকু শুধু ফাঁকা ছিল। সেই গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পথে অস্থায়ী তাবু টানিয়ে চলছে সেতু বিভাগের কাজকর্ম। অন্যদিকে ১৯ জুলাই শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২৩টি গাড়ি পুড়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় আরও ২৮টি গাড়ি।

রওশন এরশাদ বলেন, সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। মিডিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই আজকে নিজে চোখে দেখতে এসেছি। এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে, কিন্তু মনের ক্ষত আমরা মুছতে পারবো না।

তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্র সমাজ ন্যায় সঙ্গত কিছু দাবি জানিয়েছিল, আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনে সহিংসতা দেখা যায়। তার জন্য অনেক ছাত্রের অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।

আমি সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি ও যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। নিহতদের পরিববার পরিজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান রওশন এরশাদ।

;

নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণ-গ্রেফতার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এখানে কোনো গণ-গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছেন। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনো ভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করা হয়েছে। সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবিলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মিশনে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে জড়ো হয়েছিল। এই সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। হত্যা-গুপ্তহত্যা ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা আবার ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণ-গ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো গণ-গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। নিরপরাধী কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করবো। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য! উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য! জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর। এই ঐক্যের ডাক এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।

;

দুঃস্থদের মাঝে কৃষক লীগের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গরীব ও দু:স্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী কৃষক লীগ।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী লীগের আদর্শ হচ্ছে অসহায় ও দু:স্থদের পাশে দাঁড়ানো। সেই আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ কৃষকলীগ আজকে সারা দেশের সহিংস তান্ডবের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এই খাদ্য সামগ্রী উৎসর্গ করা হচ্ছে। বিএনপি জামাতের অপশক্তি তৎপরতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য কৃষক লীগের সকল নেতাকর্মীদেরকে তিনি আহবান জানিয়েছেন।

এসময় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি সঞ্চালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, শামীমা আকতার, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসীমউদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, নুরে আলম সিদ্দিকী হক, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।

;