৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে আমরা বলি গণভোট: আমীর খসরু



স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী রেজিম যারা আছে তারা ক্যু করেছে। এটা হচ্ছে মিলিটারি ক্যুর মতো। এটাকে আমরা নির্বাচন বলতে পারি না, এটাকে আমরা বলি গণভোট। কারণ নির্বাচনে সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেনি ‘

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, আমরা বলেছি যাবেন না, জনগণ যায়নি। তারা বলেছে না গেলে ভাতা কেটে নেবে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তো জনগণ যায়নি। ৯৫ শতাংশ মানুষ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপরেও কেউ ক্ষমতা দখল করে থাকতে চাইলে সেটা তাদের বড় সমস্যা।

তিনি বলেন, জনগণকে সকল নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ও তাদের ভোট কেড়ে নিয়ে যখন জোর করে বারবার ক্ষমতা দখল করবেন, তখন আপনার মুখ দিয়ে যা ইচ্ছে আপনি বলতে পারবেন। জনগণ তখন কি ভাবছে বা কি করছে অথবা কি চাইছে তখন সেটা আর বিবেচ্য থাকে না। কারণ যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি তারা তো অবৈধ সরকার। তাদের যা ইচ্ছে তারা সেটাতো বলতে পারবে। কারণ তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহি নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচি চলমান আছে। যতদিন বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে না পাবে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি মনে করে জনগণকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকতে পারবে এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছু নেই।

আমীর খসরু বলেন, এমন সময়ে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশের পাঁচ কোটির ওপরে মানুষ আজ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এসময়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এ উদ্যোগ কিছু মানুষের জীবনে অন্তত স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। অন্তত কয়েক বেলা তারা খেতে পারবে, ইফতার করতে পারবে। বিএনপির কাজ এরকমই হতে হবে। বিএনপি মানে জনগণ, জনগণ মানে বিএনপি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী জনগণ বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে আজ অনেক গরীব মানুষ এসেছেন। আপনাদেরকে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে না যান তাহলে আপনাদের ভাতা কেটে নেওয়া হবে। আপনারা অভাবী মানুষ। আপনাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে তবুও আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাননি। আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। এজন্য বিএনপি ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আমীর খসরু বলেন, ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অভাব থাকা সত্ত্বেও, সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাননি। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের বিজয়। এটা আমাদের আন্দোলনের সুফল। যে আন্দোলনে আমাদের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘর ছাড়া হয়েছে, জেলে গিয়েছে। এত সমস্যার মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন। এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের আত্মা ফিরিয়ে দিতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের যন্ত্র বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না। বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের হৃদয়ে। বিএনপি বিগত ১৭ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। এর উপরে সরকারের দমন, নিপীড়ন ও হামলা, মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা এখন নিঃস্ব প্রায়। তারপরও জনগণের দল হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকে। আর জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো মায়া নেই। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এরমধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমানে বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, মরিচ, গুঁড়ো দুধ, শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে সাধারণ মানুষ অসহায়। সবজিসহ প্রত্যেকটি জিনিস এই ভরা মৌসুমে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী নীতির প্রকাশ। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরনের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেতো না। এই দাম বৃদ্ধির পেছনে আওয়ামী লীগের অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মো. কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

   

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে তার শরীরের বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।

;