জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জাপার ১০ম জাতীয় সম্মেলন শুরু

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির একাংশের ডাকা (রওশন এরশাদ) ১০ম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (মার্চ ৯) দুপুর ১২টায় এ সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে এরশাদকে নিয়ে নকুল কুমার বিশ্বাসের গান আইইবি (দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ) চত্বরে উৎসব ও আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সাইদুর রহমান টেপা, ঢাকা উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন কাউন্সিলে। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম ও কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় রায় বার্তা২৪কমকে বলেছেন, সারাদেশ থেকে ৫ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসরা সম্মেলনে যোগ দেবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই সম্মেলন স্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নানা রকম টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেবর-ভাবির (জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ) সম্পর্ক। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে প্রথম বিরোধ দেখা দেয়। দেবর-ভাবি পৃথকভাবে নিজেকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিগত সংসদে। শেষপর্যন্ত রওশন এরশাদকে বহাল করেন স্পিকার। আরও কতগুলো ইস্যুতে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন ছিল।

কিন্ত গত সংসদ নির্বাচনে রওশন এরশাদ এবং তার সন্তানকে পার্টি থেকে মনোনয়ন না দেওয়া অম্লমধুর সম্পর্ক এখন সাপে-নেউলে রূপান্তরিত হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে নিজেকে তিনি জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। রওশন এরশাদ দাবি করেছেন, তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। দলটির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে একাধিক দফায় সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। সেই সময়ও গত হয়েছে কয়েক মাস আগেই। কিন্তু কাউন্সিল করতে পারেনি জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদলের আসনে থাকা দলটি।


আর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছেন রওশন এরশাদ। হঠাৎ করেই একতরফাভাবে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ডাকেন রওশন এরশাদ। এরপর তাকে সামনে রেখে বর্ধিতসভাসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রওশন এরশাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিনিয়র বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করেছেন জিএম কাদের।

রওশনপন্থীরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির অন্য অংশের চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবকে মানতে চাইছেন না। আর অন্যান্য সব কমিটিকে তাদের কমিটি বলে দাবি করে আসছেন। তারা বলতে চাইছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সব জেলা-উপজেলা কমিটি তাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।