ছাত্রলীগের পরিচয়ে অপকর্ম, বিব্রত ক্ষমতাসীনরা



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী অনেকটাই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেয়া বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা প্রায়ই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছে।

ছাত্রলীগ যখন গণমাধ্যমে নেতিবাচক শিরোনাম হচ্ছে তখন বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাও। ৭৬ বছরের পুরোনো এই সংগঠনটির ঐতিহ্য কোনোভাবেই যেন ম্লান না হয় তা নিয়ে সতর্ক জ্যেষ্ঠ নেতারা।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদকসহ নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে প্রায়ই শিরোনাম হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনটি।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সারা দেশে সমালোচনায় মুখে ফেলেছে ছাত্রলীগকে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে ছিলেন তার পরিচিত মামুনুর রশীদ মামুনসহ আরও ছয়জন।

চায়ের দোকানে বসার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপ। গত বুধবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা তিনদিন সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ আহত হন প্রায় ৮০ জন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজার কনসার্টকে কেন্দ্র করে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন প্রায় ১৫ জন।

১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির সামনে লুঙ্গি পরে চলাচল ও সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের খবরও উঠে এসেছে গণমাধ্যমের খবরে।

ছাত্রলীগের এমন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ ধরণের ঘটনায় কঠোর হওয়ার বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সংগঠনটির সাবেক কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারাও বিব্রত হচ্ছেন। বলছেন, অনেক ভাল কাজও একটি-দুটি মন্দ কাজের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই তারাও চান, ছাত্রলীগ যেন ভুলগুলো শুধরে নিয়ে ছাত্রদের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে কাজ করে।

শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতিবাচক ঘটনা এড়াতে ছাত্রলীগের কর্মী সংগ্রহ ও কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এরপরেও যদি কোন ঘটনা ঘটে যায় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সংগঠনটি এই দুইটি ক্ষেত্রে সচেতন থাকে তাহলে অনেকক্ষেত্রেই অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। অভিভাবক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগেরও দায়িত্বের কথাও তুলে ধরেন তারা। ছাত্রলীগের যে কোন অন্যায় কাজ যেন প্রশ্রয় না পায় সে বিষয়ে নজর রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পথ বিচ্যুতির কারণ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছাত্রলীগে ছাত্র পরিচয়ে এমন কিছু ব্যক্তি ঢুকে গেছে তারা ছাত্র কি না সন্দেহ আছে। তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিন্দুমাত্র নেই। তারা এখানে ঢুকেছে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য। আওয়ামী লীগ যেহেতু এখন ক্ষমতায় এবং ছাত্রলীগ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন তাই ক্ষমতার সুযোগ সুবিধাগুলো নেওয়ার জন্য এখানে ঢুকেছে।

ছাত্রলীগ পরিচয়ে অপকর্মরোধে কর্মী সংগ্রহে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যারা অপকর্মে জড়িত তারা বাণিজ্যিক স্বার্থে বা ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রলীগে প্রবেশ করছে। ছাত্রলীগে ঢুকে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সুনামও ক্ষুন্ন করছে এরা।

ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ যেনো অপকর্ম না করতে পারে সেজন্য পরামর্শ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ যেহেতু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই হয় তাই নেতৃবৃন্দের উচিত হবে ছাত্রলীগকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য যে ধরণের নেতৃত্বের প্রয়োজন হবে সে ধরণের নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেয়া। নেতৃত্বে গিয়ে কেউ যদি বিচ্যুত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সে নেতৃত্বকে বহিষ্কার করা। ছাত্রলীগ ও তার প্রতিটি ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব হবে সংগঠনে যে অনৈতিক কার্যকলাপ হচ্ছে সেগুলো যারা করে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

ছাত্রলীগ ছাত্রদের নিয়ে কাজ করুক এটাই প্রত্যাশা জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছাত্রলীগ ভাল থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টা আমাদের না, পদক্ষেপ নেবে ছাত্রলীগ। আমরা পরামর্শ দিতে পারি। ওরা চেষ্টা করছে। আমাদের পরামর্শ থাকবে ভালভাবে চলবে। নিয়মনীতির মধ্যে থাকবে, দেশপ্রেমের মধ্যে থাকবে, শিক্ষাঙ্গন নিয়ে কথা বলবে, ছাত্রদের নিয়ে এগিয়ে যাবে।

ছাত্রলীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে, সবরকম নেতিবাচক বিষয় থেকে দূরে রাখার স্বার্থে আমরা সংগঠনের গঠনতন্ত্রকে কঠোরভাবে পালন করছি। নিজেদের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মুজিববাদের চেতনাকে আরও জাগ্রত করে যেন সুন্দর একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা নিবেদিতভাবে কাজ করছি।

   

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন: ২৫ মনোনয়ন বিক্রি করে আ.লীগের আয় সাড়ে ১২ লাখ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য তিনদিনে ২৫টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে সাড়ে ১২ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল পর্যন্ত এ ফরম বিক্রি হয়েছে। দলের উপ-দপ্তর সায়েম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এম আব্দুল হাকিম আহমেদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোছা. সেলিনা পারভীন, মো. নজরুল ইসলাম, সাইদুল করিম মিন্টু, মো. রেজাউল ইসলাম, সাইদুর রহমান, পারভেজ জামান, মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার ও কাজী আশরাফুল আজম, তানভীর হাসান, মোসা. কামরুন্নাহার, মোসা. সুলতানা বুলবুলি, মো. আবেদ আলী, মো. সালাউদ্দিন জোয়দ্দার ও মো. সফিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান, মো. ইফতেখার আলম, নজরুল ইসলাম, মোসা. ফেরদৌসী খাতুন, সো. হুমায়ুন কবির, মো. লিটন আহমেদ, মো. বাদল আলম ও মো. ইনামুল হোসাইন প্রমুখ।

এর আগে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ফরম বিক্রি শুরু হয়। যা শেষ হয় সোমবার বিকেলে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে গত শনিবার সকাল থেকেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।

;

স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আসন্ন উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, স্বাধীনতার সকল অর্জন আওয়ামী লীগ সরকার ম্লান করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। মানুষের মৌলিক অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। এই ডামি সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তাই বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনী কার্যক্রমকে প্রত্যাখান করেছে।

উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ কাদের ভোট দেয়। আওয়ামী লীগতো জাতীয় নির্বাচন খেয়ে ফেলেছে, এখন স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কী করবে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও জনগণ। তাই সাজানো নির্বাচন বন্ধ করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, ডামি ভোটে ক্ষমতায় এসে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের লোকজন। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর প্রভাব ভোক্তার উপর পড়ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকায় সুবিধাভোগীরাই এসব ফায়দা লুটছে। যতদিন পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দুর্ভোগ জনগণের উপর চেপে বসবে।

ভিপি হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদেরকে সরকার বলা যাবে না। তারা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে শুধু লুটপাট করার জন্য। ডামি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

এতে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সারোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অধ্যাপক আজম খান, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কতুব উদ্দীন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত প্রমুখ।

;

দেশকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ অন্যান্য নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ ভিন্ন মত ও পথের মানুষের ওপর দমন—পীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;

‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে 'সিম্প্যাথি কার্ড' খেলার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি একথা বলেন। এতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন; প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন। জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে 'সিম্প্যাথি কার্ড' খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতৃবৃন্দ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাঁর সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে! বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল।

সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোঝা উচিত, বিরোধী দল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয় হবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে।

আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। সে সকল কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনও শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

;