কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বৈষম্যপূর্ণ কর্মসংস্থানের অভিযোগ তুলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ তাদের দলের বাইরে কারো চাকরি দিতে চায়নি, যা সমাজে বড় বৈষম্যের উদাহরণ। মাদ্রাসার ছাত্রদের পুলিশে চাকরি দেয়া হয়নি, বিরোধী দলীয় কর্মীদের নিয়োগে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে পুলিশ, আর্মি, বিজিবি, এবং র্যাবের মতো বাহিনীগুলোর মাধ্যমে পুরো সমাজে বৈষম্যের শাসন তৈরি করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর আদর্শ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, জনগণের করের অর্থ দিয়ে পুলিশ বেতন নেয়, অস্ত্র ও বুলেট কিনে। কিন্তু সেই পুলিশই জনগণকে হত্যা করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার বৈষম্যের নীতি নিয়ে চলেছে এবং এটাকে একটি 'খুনি সরকার' বলেও আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার শুরু করেছে। কিন্তু প্রশাসনের যেসব অংশ পঁচে গেছে তাদের শুধুমাত্র স্থানান্তর করে সমাধান আসবে না। প্রশাসনে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনের কাঠামোতে আল্লাহ ভীরু লোকদের নিয়োগ দিতে হবে। সৎ নেতৃত্ব ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যের বিষয়টি নতুন নয়। ১৯৭১ সালের আন্দোলন বৈষম্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল। তবে, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা কেউ বৈষম্য দূর করেনি। এই বৈষম্য চলতেই আছে। আমার কাছে মনে হয় আল্লাহ তাআলার সেই কথা- আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে কেবল এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। তাই আল্লাহর গোলামি যতদিন প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন বৈষম্য চলছে, চলতেই থাকবে। এটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। তাই কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপরই জোর দেন তিনি।
নায়েবে আমির বলেন, আমরা বৈষম্যহীন সমাজ মানি। কোরআন-সুন্নাহর সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত কোরআন এবং সুন্নাহ দ্বারা এই রাষ্ট্র পরিচালিত না হবে, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন বৈষম্য চলতেই থাকবে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, আল্লাহর ভয় যাদের আছে তাদের দিতে হবে। প্রয়োজন হলে নতুন পুলিশ, নতুন আর্মি, নতুন বিজিবি নিতে হবে। প্রশাসনের যত কাঠামো আছে সেখানে নতুন লোক, যারা আল্লাহর ভয়ে ভীত তাদের নিতে হবে। যারা ন্যায় ও ইনসাফ করতে পারবে এমন লোক না বসানো পর্যন্ত এই পঁচা সমাজ ভালো হবে না।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আবদুল লতিফ। প্রধান আলোচক ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী। প্রবন্ধকার ছিলেন রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদ আলম। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার বিবির বাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিজিবির সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লার বিবির বাজার সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে তাকে থানায় সোপর্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষতার মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট গঠন এবং সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার সময় রাজধানীর আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে আসেন তিনি। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন নেতাকর্মীদের ঘুরে ঘুরে খোঁজ খবর নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরিদর্শন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসিনা সরকারের নির্যাতনের কারণে শত শত আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। শত শত মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ভয়াবহ একটি গণহত্যা করা হয়েছে হাসিনা সরকারের আমলে। আমরা আজকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি যারা এখানে ভিকটিম আছে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি ভিকটিমদের পাশে দাড়ানোর। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব তাদের সহযোগিতা করার।
মহাসচিব বলেন, আমরা এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছেও আবেদন জানিয়েছি যে প্রত্যেকটি পরিবারকে যারা আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন তাদেরকে পুর্নবাসন করার জন্য। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এবং যারা এই গণহত্যার সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের সামনে যেটা বলতে চায় একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জনগণের সরকারকে সামনে নিয়ে আসার। অর্থাৎ এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষতার মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট গঠিত হয় এবং সরকার গঠিত হয়। নুন্যতম নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার করা দরকার। সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের একটা সরকার গঠন করা হয় এই আহ্বান আমি জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি মহল কাজ শুরু করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির আয়োজনে 'দ্বি-কক্ষ পার্লামেন্ট- উচ্চকক্ষ গঠন' আলোচনায় সভায় তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি মহল কাজ শুরু করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে। তারা নাকি একবারে দেশটাকে সংস্কার করে দেশটাকে পরিবর্তন করে ফেলবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই পার্লামেন্টের দরকার নাই। একটি পত্রিকায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট জরিপ করে দেখিয়েছে যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। আমি জানিনা তারা কিভাবে এই জরিপ করলো। কিন্তু জনগণ তো এটা মেনে নেবেনা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট প্রয়োজন। পার্লামেন্ট না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবেনা। ফলে দ্রুত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সেই সরকার সিদ্ধান্ত নিবে কোথায় কোন জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে। তখন সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে নাকি সংশোধন হবে সেটা সংসদ সিদ্ধান্ত নিবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এই দেশে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে ফেলছে। নির্বাচন করার জন্য নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন তা করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র জনতার বুকের রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য একটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্য সমাজের গুরুত্বপূর্ণ লোক বিভ্রান্তমূলক কথা বলছে। এই সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে তাদের মধ্য অনেকে বলছে নতুন দল করতে হবে। আমাদের বিস্মিত লাগে নতুন দল গঠনের দায়িত্ব এদের কে দিয়েছে। তাহলে বলেন জনগণে কিভাবে বুঝবে এরা নিরপেক্ষ কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার পরে ১৫ থেকে ১৭ বছর নির্যাতিত হয়েছি। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্যাতিত হয়ে বিদেশে আছেন। আমাদের নেতাকর্মীর নামে ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে যারা আহত নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন।