'সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর'
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার দায়ী। সেনাবাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহারের ফলে এই নিষেধাজ্ঞা। সরকারের কারণে সেনাবাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করা করা হলে দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু দেশের সাধারণ নাগরিক নয়, আওয়ামী লীগের ‘কথিত’ সংসদ সদস্যরাও সরকারের বন্ধুরাষ্ট্রের (ভারত) কাছে নিরাপদ নয়। ভারতে এমপি হত্যার পেছনে দুর্নীতি বা অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ নেই। প্রকৃতপক্ষে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়েই আগ্রহ নেই।
আন্দোলনের মাধ্যমেই গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হবে : দুদু
গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বুধবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ধারাবাহিক প্রহসনের নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্য কোনো দেশ আমাদের আন্দোলন করে দিয়ে যাবে এটা বিশ্বাস করার কনো কারণ নেই। গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে। বড়-ছোট সকল দলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে পরিপূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই। এই সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে একটি দলের আওতায় নিয়ে এসেছে।
এসময় আলোচনা সভায় গণফোরামের মহাসচিব অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী বলেন, একটা দানবীয় শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সামনের কর্মসূচিগুলোতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। বাংলাদেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। অরাজকতার বিরুদ্ধে বিপ্লব করে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমরা আবার রাজপথ কাঁপাবো। সরকারের পতন ঘটাবো।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, শেখ মুজিবের আমলে দেশ যেমন ছিল আজকে তার কন্যার হাত ধরে দেশ সেদিকে যাচ্ছে। গত ১৬ বছরে আ. লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেনি। বিরোধী দলের কৌশল, দূরদর্শিতার অভাবে আ. লীগ এখনো ক্ষমতায় বসে আছে। বাংলাদেশ আরেকটা ফিলিস্তিন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আমেরিকার আশায় আন্দোলন করলে হবে না। আমাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদেরকে আন্দোলন করতে হবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামি জোটের প্রেসিডেন্ট মো.শওকত আমিন প্রমুখ।
আমরা গণতন্ত্রকামী মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি: রিজভী
আমরা গণতন্ত্রকামী মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২২ মে) পল্টনে জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের শান্তি শোভাযাত্রা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সত্যের পথে গৌতম বুদ্ধের আত্মনিবেদন স্মরণ করে স্বৈরাচার সরকার পতনে প্রত্যয় দীপ্ত হতে হবে।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, গৌতম বুদ্ধের যে বানী 'আত্মদীপ হও'- সেই অন্তরের আলোতেই আমরা চলি এবং চলতে চাই। এই চলায় কারও বাধা দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু সরকার আজ আমাদের সমাবেশ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানুষের চলাচলের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
রিজভী বলেন, আগে জমিদাররা রাজনীতি করলে জমিদারী শেষ হয়ে যেত কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যে, ছাত্রলীগ করলে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করা যায়, যুবলীগ করলে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। আর এদিকে আমাদের কিভাবে চলতে হবে সে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সভা-সমাবেশ করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা।
গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরে রিজভী আরও বলেন, গৌতম বুদ্ধের বাণী সর্বজনীন। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিটি দেশের সরকার যদি গৌতম বুদ্ধের বাণী অনুযায়ী মেনে চলত তাহলে কোনো ধরনের হানাহানি, হিংসা বিদ্বেষ, রাহাজানি থাকত না।
জাতীয়তাবাদী বুদ্ধ ফোরামের শান্তি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী এবং সব বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী তার বক্তব্য শেষ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছাত্র যুবফ্রন্ট সভাপতি জয়দেব রায়, সদস্য সচিব প্রার্থ প্রতীম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।
সরকার অসাধু কালোবাজারি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি: ইরান
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চরম ব্যর্থ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, সরকার অসাধু কালোবাজারি ও মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২২ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, সরকার দলীয় লুটেরা সিন্ডিকেট চক্র দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চোখে সরষে ফুল দেখছে। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা শোচনীয়। গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন হাঁসফাঁস করছে। সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে সফল হলেও দেশের জনগণের দুর্ভোগ, দুর্দশা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কাছে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত বলে মন্তব্য করে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সরকার ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ক্ষমতা দখল করে সব ওয়াদা বেমালুম ভুলে গেছে। জনদুর্ভোগ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস্তুপে পরিণত করেছে। জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন ও লুটপাট থেকে বাঁচতে চায়।
মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, অর্থ সম্পাদক রাসেল সিকদার লিটন, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।