জাপা প্রার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্র থেকে আর্থিক সহায়তা না পেলে অনেক প্রার্থীই বসে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে।

পার্টির নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সঙ্গে যারাই যোগাযোগ করছেন, তাদের কমন নির্বাচনী তহবিল দেওয়া হবে কিনা। নির্বাচনী তহবিল দেওয়া না হলে সরে যাওয়ার কথাও জানাচ্ছেন অনেকেই। তাদের বক্তব্য হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ২৬টি আসন নিয়েছে জাতীয় পার্টি। সমঝোতার সময় তাদের কথা চিন্তা করা হয়নি, এখন তারা নিজের গাঁটের টাকা খরচ করতে যাবেন কেনো। অনেকেই আর দু’চার দিন পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান। ইতিমধ্যেই কয়েকটি আসন থেকে প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।

২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাকির হোসেন। তিনি জাতীয় পার্টির রায়গঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে ছিলাম বেশ কয়েকটি নির্বাচনী অফিস করা হয়েছিল। নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার পর থেকে সব শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর শেষ মুহুর্তে ২৬ আসনের সমঝোতার কথা ইঙ্গিত করেছেন।

অন্যদিকে ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের প্রার্থী আলাউদ্দিন মৃধা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ও নাটোরের অন্যান্য আসনে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নতুনদের মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষের কথা জানান তিনি।

নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বেশিরভাগ ফোন আসছে নির্বাচনী খরচের টাকা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য। অনেকেই ক্ষুব্ধ ২৬ আসনে সমঝোতার খবরে। নির্বাচনী তহবিল না পেলে সরে যাওয়ার কথাও জানাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে বলেছি, এখনও তহবিল বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পার্টি ফান্ড দেবে এটাও সিদ্ধান্ত হয়নি, আবার দেবে না এমন সিদ্ধান্তও হয়নি। কয়েকজন প্রার্থী আমাকে বলেছে, তহবিল না পেলে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। সর্বোচ্চ ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি থেকে প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অনেক সময় প্রার্থীরাও নানা বিষয়ে যোগাযোগ করছেন। কিছু জায়গা থেকে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেনো দ্রুত পদক্ষেপ নেন। ওই আসনের মোগড়াপাড়া ইউনিয়নটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় ইসি উদ্যোগী হবে বলে আমরা আশা করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কিংবা কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচরণায় বিভিন্ন আসনে যাবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চেয়ারম্যান ও মহাসচিব তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন। ঢাকায় ফিরলে তারপর আলোচনা হবে এসব বিষয়ে।

অনেক প্রার্থী সরে যাওয়ার গুঞ্জন প্রসঙ্গে বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। এখন পর্যন্ত শুধু নাটোর-৪ আসনের প্রার্থী সরে যাওয়ার কথা অফিসিয়ালি জেনেছি।

জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দেওয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীদের কোনো দিক নির্দেশনা দেয়নি। এ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বাড়ছে। পার্টির চেয়ারম্যান ২২ ডিসেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৩ (সদর) আসনে গেলেও আর কোন এলাকায় যাওয়ার কর্মসূচি রাখা হয়নি। এমনকি তার আসনের সীমানা ঘেষা রংপুর-১, ২, ৪ ও ৫ আসনেও যাচ্ছেন না। আপন ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারের রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনটি কয়েক মিনিটের দূরত্ব হলেও সেখানেও যাচ্ছেন না। সোমবার সকালে তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যানের এই আচরণে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না স্থানীয় নেতারা। তারা অনেকেই ভেবেছিলেন জিএম কাদের রংপুর গেলে অন্তত আশপাশের কয়েকটি আসন ঘুরে আসবেন।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টি। ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় গত ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। দলটি ২৯৪ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে (১৭ ডিসেম্বর) কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত ২৬৫ আসনে প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পান বলে জাপা সূত্র জানিয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলে নাটকীয়তা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয় জাপা। একই সময়ে আওয়ামী লীগ পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে জাপাকে ২৬ আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। সিনিয়র নেতা এবং বর্তমান কয়েকজন এমপি সমঝোতার তালিকায় না থাকা, বিপরীতে জিএম কাদেরের সহধর্মিনীর ঢাকা-১৮ আসন পাওয়া নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বেড়েছে। আবার ২৬ আসনের বাইরে থাকা অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে।

   

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

;

‘শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মানুষ আবারও জেগে উঠেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ আবারও জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু ডান আর বাম নয় সব পন্থির মানুষই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ আজ দানবের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। যা বুঝেও না বুঝার ভান করে সরকার। শুধু ডান বা বাম নয় সব পন্থির মানুষ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের অপরাধ, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশটাকে তামাশায় পরিণত করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে। শুধু বিএনপি নয়, সব গণতান্ত্রিক মানুষ আবারও জেগে উঠছে। তারা আন্দোলনের বিপ্লব করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

;

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

বুধবার (০১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পর্কে ভিতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চায় না, বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরম নাই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, আর বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পিছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আদমজীর মত জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে শ্রমিকের ওপর কোন নির্যাতন নাই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

;

নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে আ. লীগকে আমন্ত্রণ জানাল বিজেপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সাতটি ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

সায়েম খান জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

তিনি জানান, বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

আরও জানান, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

;