বেকার ভাতা দিতে চায় জাতীয় পার্টি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেকার ভাতা দিতে চায় জাতীয় পার্টি

বেকার ভাতা দিতে চায় জাতীয় পার্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করলে, সরকারিভাবে বেকার ভাতা চালু, প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে দপ্তর উপজেলা পর্যা‌য়ে স্থাপন করতে চায়। এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যস্থির করা হয়েছে দলটির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে।

চব্বিশ দফা ইশতেহারে অনেকগুলো উপ-দফা রয়েছে। পুরাতন অধিকাংশ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে নতুন কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে আরও রয়েছে, বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১০ লাখ লোকের স্থান সংকুলান করে স্থায়ী ব্যবস্থা করা। বাজেট ও অনাস্থা প্রস্তাব ব্যতীত ৭০ ধারা সংশোধনের মাধ্যমে সকল জনপ্রতিনিধিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আওতায় এনে কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তৃতায় ৭০ ধারা বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন। তিনি একাধিক সভায় বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। সংবিধানকে এমনভাবে সংশোধন করা হয়েছে যাতে দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রায় ৯৯ ভাগই সরকার প্রধানের হাতে। এতে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যা গণতন্ত্রের পরিপন্থি। আমরা সংবিধানের ৭০ ধারার বিলুপ্তি চাই।

২১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। বিগত দু’টি সংসদে বিরোধীদলের আসনে থাকা দলটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৬৫ আসনে লড়ছে। আওয়ামী লীগ তাদের ছেড়ে দিয়েছে ২৬টি আসন।

জাপার ইশতেহারে বলা হয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে ভাতা দেওয়া হবে। দেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহরের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে বেকার যুবক-যুবতীদের তালিকা করা হবে। তাদের যোগ্যতা অনুসারে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র নিরূপণ করা হবে।

বিদেশে শ্রম বাজার খুঁজে বের করা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হবে শ্রম বাজার সন্ধান করা। প্রত্যেক উপজেলায় কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দপ্তর স্থাপন করা হবে। কৃষি শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চায় জাতীয় পার্টি।

বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। এতে দুই স্তর বিশিষ্ট সংসদ, প্রাদেশিক সরকার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের ঘোষণা রয়েছে। দেশকে আটটি প্রদেশে বিভক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রঙ্গপুর প্রদেশ, বরেন্দ্র প্রদেশ, জাহাঙ্গীরনগর প্রদেশ, জালালাবাদ প্রদেশ, জাহানাবাদ প্রদেশ, চন্দ্রদীপ প্রদেশ, ময়নামতি প্রদেশ এবং চট্টলা প্রদেশ।

নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিধান করতে চায় জাতীয় পার্টি। পুরোনো এই দফাটি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামনে এনেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল- আসন ভিত্তিক প্রার্থী নয়, প্রত্যেক দল ৩০০ প্রার্থী ঘোষণা দেবে। ভোটের অনুপাতে তারা আসন পাবে। এতে করে কোনো একটি আসনে জেতার জন্য কেউ আর ভোট ডাকাতি করার চেষ্টা করবে না।

জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে উপজেলায় আবার কোর্ট ফিরিয়ে আনবে। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের হাতে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা প্রদান করা হবে। দারিদ্র নিরসন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে প্রয়োজন শিল্পায়ন, এ জন্য জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

জাতীয় পার্টি দশম সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত করার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এবার সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছেন জিএম কাদের। তিনি ১৬ নম্বর দফায় বলেছেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে।

ইসলামী আদর্শ ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদ এবং বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে একটি ইসলামিক কমিশন গঠন করবে।

খেলাধুলার বিকাশে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ থাকা বাধ্যতামূলক করা। খেলার মাঠ বিহীন প্রতিষ্ঠানকে বিশেষত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে চলতে না দেওয়ার বিগত সময়ের ঘোষণা থেকে সরে এসেছে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের তুলনায় এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট অনেক বেশি। জনগণ ভোট দিতে পারলে এন্টি ভোটেই জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করবে।

   

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

;

‘শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মানুষ আবারও জেগে উঠেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ আবারও জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু ডান আর বাম নয় সব পন্থির মানুষই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ আজ দানবের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। যা বুঝেও না বুঝার ভান করে সরকার। শুধু ডান বা বাম নয় সব পন্থির মানুষ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের অপরাধ, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশটাকে তামাশায় পরিণত করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে। শুধু বিএনপি নয়, সব গণতান্ত্রিক মানুষ আবারও জেগে উঠছে। তারা আন্দোলনের বিপ্লব করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

;

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

বুধবার (০১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পর্কে ভিতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চায় না, বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরম নাই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, আর বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পিছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আদমজীর মত জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে শ্রমিকের ওপর কোন নির্যাতন নাই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

;

নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে আ. লীগকে আমন্ত্রণ জানাল বিজেপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সাতটি ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

সায়েম খান জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

তিনি জানান, বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

আরও জানান, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

;