বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১২১ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার যেকোনো সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত মহাজোট মনোনীত ১২১ বৈধ প্রার্থী যেকোনো মুহুর্তে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ার লিজ নেইনি। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, সরকার তার ক্ষমতাকে আরও দীর্ঘায়িত করতে বানরের রুটি ভাগের মতো যেভাবে সংসদের আসন ভাগাভাগি করছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এই ভাগাভাগির মধ্যে নেই। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুত পরিবেশ না পেলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না। তাই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের সময়োপোযোগী সিদ্ধান্ত আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সম্মিলিত মহাজোট প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেস মূলত একটি নির্বাচনমুখী দল বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। আমরা আমাদের জান মাল, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েও শুধুমাত্র একটি গণমুখী দল বলেই নির্বাচনে এসেছি। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে আমরাও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম নির্বাচনকালীন সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ার লিজ নেইনি। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় মনে হচ্ছে আমরা সরকারের একতরফা নির্বাচনের আয়োজনে বৈধতা দেওয়ার অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। এছাড়া দৃশ্যত মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আমাদের দলীয় জোটের প্রার্থীদের কোনো মূল্যায়ন করছে না।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মূলত নির্বাচনের নামে তামাশার খেলা চলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। আর তাদের এমন নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে সরকার নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের এমন একচোখা নীতি ও আচরণের ফলে কার্যত নির্বাচন কমিশনের সকল নির্দেশনাই বাগাড়ম্বর বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীকে নির্বাচন করতে ১৪০ জনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। যাচাই বাছাই শেষে ১২১ জন চূড়ান্তভাবে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুসহ অর্ধশত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

   

সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে এ তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

এর আগে গত ৩০ মার্চ দিনগত রাত ২টা ৫৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে।

;

ব্যাপকভাবে হীরক জয়ন্তী পালন করবে আওয়ামী লীগ: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুন মাসে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর এর হীরক জয়ন্তী উৎসব ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে গণভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট এর কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মূল আলোচনা হয়েছে দলের হীরক জয়ন্তী, ৭৫ বছরের কর্মসূচি নিয়ে। আমরা আমাদের দলের হীরক জয়ন্তীতে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করবো।

উপজেলা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, না, হয়নি। তাহলে উপজেলায় নির্দেশ অমান্যকারীদের কোনো শাস্তি কি হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সেটা বলবো, পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমি আপনাদের বরাবর একই কথা বলেছি যে, সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে। ত্রিশ তারিখে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে এবিষয়ে কিন্তু আমি কিছু বলিনি। এখনো একই কথা বলবো, সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

;

মে দিবসে গুলিস্তানে জনসভা করবে শ্রমিক লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মে দিবসে গুলিস্তানে জনসভা করবে শ্রমিক লীগ

মে দিবসে গুলিস্তানে জনসভা করবে শ্রমিক লীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

০১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক জনসভার আয়োজন করেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমজীবী মেহনিত মানুষের রক্তস্নাত আন্দোলন-সংগ্রাম ও সাফল্যের ঐতিহাসিক দিন ০১ মে ‘মহান মে দিবস’। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ কন্যা শ্রমিক-বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ-স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এ বছর বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ১৩৮তম আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (০১ মে) বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।

শ্রমিক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন

সভায় সভাপতিত্ব করবেন- জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান এবং সঞ্চালনা করবেন- সাধারণ সম্পাদক কে.এম. আযম খসরু।

;

মে দিবসে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে শ্রমিক দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও র‌্যালি করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক দল। বুধবার (১ মে) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ শেষে পল্টন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত র‌্যালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে সমাবেশে উপলক্ষ্যে এক যৌথ সভা করা হয়।

রিজভী বলেন, মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক দল আগামীকাল (বুধবার) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে শ্রমিক সমাবেশ করবে এবং সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শ্রমিক র‌্যালি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হবে। এ বিষয়ে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে।

সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী ১২ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক। শ্রমিক সমাজের মর্যাদার জন্য একটি দিন বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে, মে দিবস। বাংলাদেশে আজ সবচেয়ে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, বাজার মূল্যের সঙ্গে অসংগতি ও কম মজুরিতে শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এছাড়াও সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাব ও অগণতান্ত্রিক শ্রম আইনে মালিকপক্ষের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ায় শ্রমিক সমাজ সর্বত্র হয়রানিসহ নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল ২০২৩ এর মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি উত্থাপনের অধিকারকে আইন করে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

;