নির্বাচনে বাধা নিয়ে চুপ কেন ইউরোপ-আমেরিকা, প্রশ্ন কাদেরের
![আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2023/Nov/29/1701242083269.jpg)
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে বিএনপি। এখন নির্বাচনে বাধা নিয়ে চুপ কেন ইউরোপ-আমেরিকা প্রশ্ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের।
তিনি বলেন, নির্বাচনে বাধা প্রশ্নে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হরতাল ডাকছে, অবরোধ ডাকছে। তারা প্রকাশ্যে হামলা করে পুলিশ হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। এসব কর্মকাণ্ড যারা করছে নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার জন্য আমাদের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছে। এটা কি আন্দোলন? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। তাদের বিরুদ্ধে তো নিষেধাজ্ঞা আসার কথা।
তিনি বলেন, এটা কি আন্দোলন? এটাতো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসার কথা। এই সব যে চলছে, এ ব্যাপারে কারো কোন কথা নেই, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ অনেক বিষয়ে কথা বলে, কিন্তু এখানে নিরব কেন?
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধা দিচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধা দিচ্ছে, তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, ট্রেনে হামলা করছে, প্রতিনিয়ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বাসে অগ্নিসংযোগ, এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বিএনপি অবরোধ কার বিরুদ্ধে করছে প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা হরতাল ডাকছে কার বিরুদ্ধে, এটা তো নির্বাচনের বিরুদ্ধে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, বাংলাদেশের সুশাসনের কথা বলে, যারা ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের কথা বড় গলায় বলে, তারা আজকে একটা পক্ষের এসব অপকর্ম, গণতন্ত্র বিরোধী, সংবিধান বিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কেন নিরব। এটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। নির্বাচনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে তারা কেন নিরব। আমাদের দেশে যারা সুশীল সমাজ যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন।
আমরা শুনেছিলাম আন্তর্জাতিকভাবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে এমন কোন কর্মকাণ্ড হলে, সেটা নির্বাচন বিরোধী কর্মকাণ্ড বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। এখন তো সবাই নিরব। এখন কেউ কিছু বলে না। ইউরোপও কিছু বলেনা, আমেরিকাও কিছু বলে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হরতাল অবরোধকে কি কোন ভাবে ঢেকে রাখা যায়? পুলিশ হত্যাকে কি কোন ভাবেই ঢেকে রাখা যায়? প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আজকে অগ্নি সংযোগ করছে, বাসে আগুন দিচ্ছে, এগুলো কি অন্ধকারে ঢেকে রাখা যাবে? এগুলো তো প্রকাশ্যে হচ্ছে। আজকের বিশ্বে এখানকার খবর সারা দুনিয়া ছড়িয়ে যেতে কতক্ষণ লাগে? এখানকার কোন খবর ল্যাটিন আমেরিকার কোন দেশ বা দক্ষিণ আফ্রিকার কোন দেশে পৌঁছতে কী দেরি হচ্ছে? ওয়াশিংটনের পৌঁছতে কি দেরি হচ্ছে? এসব নিয়ে তো কোন কথা আমরা শুনছি না।
তিনি বলেন, বাধা দেওয়ার ব্যাপারে দেশে বিদেশে কত কথা শোনা গেল, এখন প্রকাশ্যে তারা বাধা দিচ্ছে, প্রকাশ্যে তারা নির্বাচনে বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা অপকর্ম করেছে, শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা তো হবে। আপনি প্রকাশ্যে পুলিশকে খুন করেছেন, সেটার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না? তাদেরকে জেলে পাঠানো হবে না? এটা কোন সভ্য দেশ আছে।